লাইফস্টাইল পোস্ট || পরিবার নিয়ে শপিং এবং খাওয়া দাওয়া করার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। গত পরশুদিন ওয়াইফ এবং বাচ্চাকে নিয়ে শপিং করতে গিয়েছিলাম। শপিং শেষ করে খাওয়া দাওয়া করে বাসায় ফিরেছিলাম এবং সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আসলে আমার ওয়াইফ নিজের জন্য শপিং করতে ততটা পছন্দ করে না। কিন্তু আমাদের টুইন ছেলের জন্য সে এটা সেটা কিনতে খুব পছন্দ করে। গত ২ মাসে ২/৩ বার শপিং করেছে ঠিকই, কিন্তু তার পছন্দের বেবি কিপার পায়নি। তাই সে বেবি কিপার কেনার জন্য আবারও শুক্রবার আমার সাথে বের হয়েছিল। আসলে বেবি কিপার তার নাকি খুবই পছন্দ। তো আমরা বিকেল ৪টার পর বাসা থেকে বের হলাম চাষাড়ার উদ্দেশ্যে। সাথে আমাদের ছেলে ওয়াফি কে নিয়ে গিয়েছিলাম। তো আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই চাষাড়া পৌঁছে গিয়েছিলাম।
তারপর আমরা লুৎফা টাওয়ারে চলে গেলাম। সেখানে বেশ কয়েকটি দোকানে ঘুরাঘুরি করে দুটি বেবি কিপার আমাদের পছন্দ হলো। ডোরেমন পয়েন্টের কালেকশন বেশ ভালো ছিলো। তো আমাদের টুইন ছেলের জন্য দুটি করে একইরকম চারটি বেবি কিপার কিনলাম সেই দোকান থেকে। শুধু সাইজ ভিন্ন ছিলো। তারপর সেই দোকান থেকে বের হয়ে তাদের জন্য জুতা,পায়ের মোজা,মাথার টুপি কিনলাম। শপিং করতে করতে আমাদের দুজনের ক্ষুধা পেয়েছিল। তাই আমরা খাওয়া দাওয়া করতে চলে গেলাম খানপুর রোডে। কারণ খানপুর রোডের দুই পাশে প্রচুর খাবারের দোকান রয়েছে। দোকান গুলো মূলত বিকেলে ওপেন করা হয় এবং সন্ধ্যার পর অনেকেই সেখানে যায় খাওয়া দাওয়া করতে। সন্ধ্যার পর লাইটিং এর কারণে খুব সুন্দর লাগে সেখানকার পরিবেশটা। অনেকে খানপুর রোডকে রাতের ব্যাংকক বলে থাকে হা হা হা। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, সেখানে ওপেন স্পেসে বসা যায়।
যাইহোক আমরা একটি ক্যাফের ওপেন স্পেসে বসলাম এবং মেনু কার্ড দেখে মিটবক্স,থাই স্যুপ এবং অনথন অর্ডার দিলাম। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর খাবার চলে আসলো আমাদের টেবিলে। অনথন এবং মিটবক্সের স্বাদ দারুণ ছিলো। কিন্তু থাই স্যুপের স্বাদ একেবারেই ভালো ছিলো না। বিল যেহেতু প্রথমেই পে করেছিলাম, তাই আমরা খাওয়া দাওয়া শেষ করে সামনের দিকে চলে গেলাম একটু হাঁটাহাঁটি করতে। হাঁটতে হাঁটতে ওয়াফিকে বেলুন কিনে দিলাম এবং সে বেলুনগুলো অল্প সময়ের মধ্যেই ফুটিয়ে ফেললো। তাছাড়া ওয়াফির জন্য একটি গ্যাস বেলুন কিনলাম। সেটা দোকানদার ওয়াফির হাতে বেঁধে দিয়েছে। যাইহোক তারপর আমরা বাসার দিকে রওনা দিয়েছিলাম। সবমিলিয়ে আমরা সেদিন দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছিলাম এবং এতো সুন্দর অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
| ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
| ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
| তারিখ | ৩০.১১.২০২৫ |
| লোকেশন | খানপুর,নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹















ডেইলি টাস্ক স্ক্রিনশট এবং লিংক:
https://x.com/mohin3242127/status/1995048977369362470?t=NcAc9JA6ZbS5bVGWAjWeMg&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1995049800895775191?t=YOA5n-N5E2vbQ00UAlo1Ug&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1995050110175330761?t=p0TBlZ1RaCvoE-hJ13f_TQ&s=19
X-promotion