রাতে উঠানো বেশ কয়েকটি এলোমেলো কাঁচা মালতার ফটোগ্রাফি।।

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

প্রিয় হিন্দু ভাই-বোনদের জন্য আদাব ও ভালোবাসা 💗🙏। আমার প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্নেহ। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি, মহান আল্লাহর রহমতে এবং একে অপরের ভালোবাসায় আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও বেশ ভালো আছি।আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য,এই প্ল্যাটফর্মের সাথে আমার যাত্রা প্রায় এক বছর ধরে। সত্যি বলতে, এখানে আসতে পেরে আমার মনে হচ্ছে ! যেন নিজের আর একটি নতুন পরিবার খুঁজে পেয়েছি। প্রতিটি লেখা, প্রতিটি মন্তব্য, প্রতিটি বন্ধুত্ব আমাকে দিয়েছে আনন্দ, ভালোবাসা এক নতুন অধ্যায়ের স্বাদ।আজকে আমি আপনাদের সাথে রাতে উঠানো বেশ কয়েকটি এলোমেলো কাঁচা মালতার ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো ।আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

রাতের বেলায় নানা কোণে নেয়া এই সবুজ মালতার ফটোগ্রাফি গুলো একদিকে যেন নিস্তার কেটে ফেলে । ফোনের ফ্ল্যাশের হঠাৎ আলোতে ফলগুলো যেন তাঁর নরম, মসৃণ এবং কিছুটা ডিম্বাকৃতির ছালকে উন্মোচন করে রেখেছে। অন্যদিকে সেই একই আলোই পেছনের অন্ধকারকে গভীর করে দেয়। ফলে ফটোগ্রাফি খাঁটে খাঁটি ভাবে ফল এবং পাতার উপরই পড়ে। প্রতিটি ছবি যেনো একে অপরের সঙ্গে কথোপকথন করছে ।কখনও দুটি ফল পাশাপাশি ঝুলে আছে, কখনও একক এক ফল ডগায় দোলা দেয়, কখনও পাতার আড়ালে কিছু কিছু অর্ধ-আবিষ্কার থেকে যায়। নিশি-আলোর এই নাটকীয়তা ছবিগুলোকে চিন্তাশক্তি বাড়ায়।এখানে কেবল ফলের দৃশ্য নয়, বরং রাতের নির্জনতায় বাগানের নিঃশব্দ শৈলী, মানুষের স্পর্শ বা অনুপস্থিতির ছাপও আছে।

ফলের রং ঘন সবুজ ,ছাল একটু ঘন ও টেকসই দেখায় । সূক্ষ্ম অমসৃণতা এবং ছোট ছোট দাগ বা খোসার আঁচিলি স্পট আছে, যা দূরের আলোয় আলোকোজ্জ্বল লেন্সে একটু বড় হয়ে দেখা দেয়। এই ধরনের টেক্সচার সাধারণত কাঁচা বা আধ-পাকা মালতার পরিচয় দেয়। তবে ট্রপিক অঞ্চলে অনেক মালতা ক্ষেত্রেই পরিপক্ক অবস্থায়ও বাইরের ছাল সবুজই থাকে । কারণ ছালের ক্লোরোফিল রঙ ঠিক মতো ওখানে নষ্ট হয় না। ফলে শুধু আকার বা সবুজ দেখে ঝটপট সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়। গন্ধ, নরমত্ব, ও ভেতরের রসের স্বাদই শেষ কথা বলে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ ফল গোলা বৃত্তাকার, হালকা বড় আকারে, এবং একটানা সংযোগকারী ডাঁটা তাদের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে জোড়া লাগানো। কাণ্ডের কাছে থাকা পাতাগুলো সাধারণত অতিরিক্ত চটচটে ও চকচকে , হয়তো ফ্ল্যাশের কারণে ততটাই চোখে পড়ছে । কিছু পাতায় সতেজ সবুজ, কিছুতে হালকা মর্দন বা খসখসে দাগও লক্ষ্য করা যায়, যা পরিবেশগত চাপ, পোকামাকড়ের কামড় বা পুষ্প উৎপাদন-পর্যায়গত স্বাভাবিক ক্ষতচিহ্ন হতে পারে।

ফটোগ্রাফির দিক থেকে এই ছবিগুলোতে ফ্ল্যাশ-লাইটিংয়ের চরিত্র স্পষ্ট। রাতে খোলা আকাশের পরিবর্তে কালো ব্যাকগ্রাউন্ড ফলে বিষয়বস্তুকে আলোকিত করে।কনট্রাস্ট বাড়ায় এবং ফলের নকশা, বৃত্তাকার আকৃতি, ছায়া সবকিছু প্রস্ফুটিত করে। তবে এর ফলে পাতার সূক্ষ্ম শেড এবং অলংকারী নরম আলো হারিয়ে যায়। স্বাভাবিক দিনের হালকা ছায়া-শেডিং, রঙের নরম মিশ্রণ অনুপস্থিত। ক্যামেরার সরাসরি আলো ফলের ছালকে চকচকে করে তুলেছে ।একপ্রকার কাঁচের মতো প্রখরতা দেখা যায় । যা বাস্তবতায় স্পর্শ করলে এতটা চকচকে মনে হবে না। তাই এই ছবিগুলো একটি বাস্তব চিত্রটি নয় বরং উৎস-আলো দ্বারা গঠিত একটি নাট্য রূপে রূপান্তরিত চিত্র বললেই বেশি সঠিক হবে।

বাংলাদেশ এখন এই কচা মালতা চাষ বাসের বাস্তবতা-ভিত্তিক পর্যবেক্ষণও এখন বেশ ভালো উৎপাদন হচ্ছে। খাদ্যগত ও ব্যবহারের দিক থেকে এক মুহূর্ত চিন্তা করলে বোঝা যায়।এই পর্যায়ের মালতা সাধারণত তীব্র টক-খাসা, রসাল এবং কাঁচা গন্ধযুক্ত হতে পারে।বয়স বাড়লে মিষ্টি স্বাদ আসতে শুরু করে। এই সবুজ মালতা গুলো যদি ইতোমধ্যেই বাগানে ঠিকভাবে পরিচর্যা করা হচ্ছে। এমন ফলের জুস বা মারমালেড করা হলে তীব্র টক-মিষ্টি টোন ভাল লাগে।প্রতিটি ফটোগ্রাফিগুলোর মধ্যে মানবীয় স্পর্শও বোঝা যায়। এটি ছবিগুলোকে ব্যক্তিগত করে তোলা। রাতের বাড়ির উঠোনের পাশে হাতে ধরে দেখা মালতার এই চিত্রটি অভিজ্ঞতা বেশ ভালো একটি মুহূর্ত উপভোগ করায়। তাজা ফসলের সম্পদের প্রশান্তি এবং একপ্রকার আত্মিক সম্পর্কের স্মৃতি জাগায়। এমন ছবিগুলো শুধু ভৌত পর্যবেক্ষণ নয়, এগুলো গল্পও বলে ।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।