কনটেন্ট মার্কেটিং।।Content marketingsteemCreated with Sketch.

in #marketing3 years ago (edited)

ARTICLE WRITING COURSE BY AA
Article about 1st Class

আর্টিকেল রাই্টিং বা কনটেন্ট রাইটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম প্রধান ও সহজ উপায়।বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং নিজেকে এনালগ মার্কেটিং থেকে এক অনন্য স্থানে নিয়ে গেছে। যার ফলে মার্কেটিং হয়ে গেছে সহজ এবং পন্য বিক্রয় হয়ে গেছে আগের চাইতে কয়েকগুন বেশি।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেশ কয়েকটি ধারন বা টাইম রয়েছে।যেমন ঃ
• কনটেন্ট বা আর্টিকেল রাইটিং
• ব্লগিং
• ফেসবুক মার্কেটিং(ফেসবুকে পোস্ট,কমেন্ট,এ্যাড ইত্যাদির মাধ্যমে প্রচার করা)
• ইউটিউব মার্কেটিং
• ইত্যাদি।
আজ আমরা কথা বলবো কনটেন্ট বা আর্টিকেল রাইটিং নিয়ে।।তাহলে শুরু করা যাক!!

কোন একটি পণ্য মার্কেট প্লেসে আনলে সর্বপ্রথম চিন্তা করতে হবে, পণ্য টি কিভাবে বাজারে বিক্রি করা যায়।পণ্য মার্কেটে নিয়ে আসার প্রধান কারন হলো যাতে পণ্য টি বিক্রয় করে বিনিয়োগ এবং লাভের অর্থ উত্তোলন করা যায়।
আপরদিকে ব্যাবসার একটি প্রধান শর্ত হলো প্রোডাক্টের প্রচার করা।আমরা সকলেই হয়তো জেনে থাকবো “প্রচারেই প্রসার”। সুতরাং ব্যাবসা ক্ষেত্রে প্রচার করা অতীব জরুরি।অর্থ্যাত দিনশেষে এমনটাই বলা যায়, মার্কেটিং ছাড়া ব্যাবসা অচল।
আর্টিকেল রাইটিংকে মার্কেটিং এর একটি ভিত্তি বলা যায়।বাজারে একটি পন্য আসলে সেই পন্য সমন্ধে সকল কিছু লিখিত আকারে ক্রেতাসাধারণকে জানানোই হলো আর্কেটিকেল মার্কেটিং এর মূখ্য উদ্দেশ্য।
মার্কেটিং এর জন্যে লিখিত আর্টিকেলে সাধারনত নিন্মোক্ত বিষয়াদি উল্লেখ থাকেঃ
• ক্রেতা সাধারনকে পন্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো
• পণ্য কে তাদের সামনে তুলে ধরা
• প্রোডাক্টের পজিটিভ ও লাভজনক দিকগুলোকে ক্রেতাদের সামনে নিয়ে যাওয়া
• পণ্য টি ক্রেতার কেন প্রয়োজন তা ক্রেতাকে অনুধারন করতে সাহায্য করা

এখন প্রশ্ন আসতেই পারে “কেন আর্টিকেলের মাধ্যমেই মার্কেটিং করতে হবে?”
এই প্রশ্নের উত্তরটা খুবই সহজ।ধরুন এডমিশন এসিসটেন্ট একটি নতুন কোড়সস এনেছে।।কোর্সটি স্টুডেন্টদের কাছে বিক্রি করতে হলে তাদের এই কোর্স নিয়ে জানাতে হবে।কিন্ত জানানোটা এত সহজ কাজ নয়।দেখা গেলো কোর্সটি আনা হয়েছে এডমিশনের উপরে ভিত্তি করে।কিন্ত দেশেতো লাখ লাখ এ্যাডমিশন স্টুডেন্ট আছে।তাহলে উপায় কি?
উপায় খুবই সহজ।কোর্স ডিটেইল নিয়ে একটি আর্টিকেল লিখে সেটি সোশ্যাল মিডিয়া বা বড় কোন প্লাটফর্মে পাবলিশ করে দেওয়া!
এখন এই আর্টিকেল দেখে স্টুডেন্টরা বুঝে যাবে কোর্সটিতে কিকি আছে।ব্যাস এক আর্কিটেকেলেই মার্কেটিং এর বেশিরভাগ কাজ হয়ে গেল!!

কিন্ত প্রশ্ন এখনো থেকেই যায়।স্টুডেন্ট আর্টিকেল দেখে কোর্সটি কিনবে কেন?কিভাবেইবা তাদের ইমপ্রেস করা যায় ?
এই সমস্যার সমাধান করে দিয়েছে কপিরাইটিং।কপি রাইটিং এর সজ্ঞায় উইকিপিডিয়া বলেছে,” Copywriting is the act or occupation of writing text for the purpose of advertising or other forms of marketing” সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে,কপিরাটিং মার্কেটিং এর একটি ধরন।
একজন কপিরাইটার তার লিখনির মাধ্যমে আর্টিকেল মার্কেটিং এর সকল বিষয় ফুটিয়ে তুলেন।
আর্টিকেল দ্বারা মার্কেটিংকে আর অনেক সহজ করে দিয়েছে AIDA model
এবারে আসুন AIDA model সমন্ধে বিস্তারিত জানা যাক। AIDA এর পূর্ণরূপ হলোঃ
A-Attention
I-Interest
D-Decision
A-Action

প্রথম A এর মাধ্যমে ক্রেতার মনোযোগ আকর্ষন করাকে বুঝায়।আর্টিকেলে এমন কোনকিছু বা এমন আকর্ষণীয় কিছু দিতে হবে যাতে ক্রেতা প্রথম দেখাতেই পণ্যের উপর মনোযোগ দান করেন।

I দিয়ে ক্রেতার পণ্যের প্রতি আকর্ষণ তৈরি করাকে বুঝায়।আর্টিকেলের ভিতরে এমন কিছু দিতে হবে যার দ্বারা ক্রেতা সেই পন্যটি কিনতে আকর্ষণ অনুভব করেন।

D এর মাধ্যে ক্রেতার ডিসিশন নেওয়া বুঝায়।এই ধাপে ক্রেতা ইমপ্রেসড হয়ে পণ্যটি কেনার ডিসিশোন নেন।

শেষ ধাপে A তে বুঝায় একশন। এই ধাপে ক্রেতা পণ্য কেনার জন্যে বিক্রেতার কাছে যোগাযোগ করেন।

উক্ত চার ধাপ মেনে চলেই একটি সফল আর্টিকেল মার্কেটিং করা সম্ভব হয় ।