কঠিন স্মৃতি আর বাস্তবতা।
অজান্তেই কখন যেন জীবনের সেরা সময়টা শেষ করে কঠিন উঁচুনিচু বিধঘুটে পথে পা বাড়িয়েছি। সেই কালারফুল শৈশবের স্মৃতি আর সোনালী অতীতে ফিরতে না পারারও একটা কষ্ট আছে। এই শীতকালেরই কথা। বাড়ির পাশেই আখ মাড়াইয়ের খুলা বানানো হতো। মেঝ কাকা ছিলো শক্তিশালী কর্মঠ একজন লোক। সন্ধ্যার সময় আম্মু ৪-৫টা বাতিতে কেরোসিন তেল ভরে খুলায় নিয়ে যেতে বলতো।
খুলায় নিয়ে বাতিগুলো কাকাদের কাছে দিয়ে ঝালোটির (যে জ্বাল দেয়) পাশেই বসে পড়তাম। শীতের রাত, আগুনের পাশে বসতে আরাম লাগতো। সবচেয়ে আনন্দ পেতাম কাকাদের গল্প শুনতে। তারা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে যেত, সেসব জায়গার গল্পগুলো করতো তখন। সহজে আসতেই মন চাইতো না।
আজ দিনগুলোর কথা ভীষণ মনে পড়লো একজনকে দেখে। ছেলেকে কোলে করে পরন্ত বিকেলে মাঠের দিকে গিয়েছিলাম। অনেকগুলো বাচ্চা খেলা করছে। হইহুল্লোড় করছে। এরা নতুন প্রজন্ম। পাশেই ছোট কাকু আর আলতাফ কাকা ধানের জমিতে কাজে ব্যস্ত। সেই ছোটবেলার যে গল্পের আসরের কথা বললাম সেখানে এই আলতাফ কাকাও থাকতো। মেঝ কাকা আজ ২ বছর হয়ে গেল গত হয়েছেন। এরা ছিলো কাজপাগল মানুষ। একসাথেই কাজ করতো কত! একজনকে দেখলাম আজ, যে সেই প্রজন্ম, যাদের হারাচ্ছি আমরা। এই আলতাফ কাকারও হয়তো হাজারো স্মৃতি আছে মেঝ কাকার সাথে।
সময় এভাবেই চলে যায়। উপরে যিনি বসে আছেন তার কাছে যেতে আমরা ছুটে চলেছি সকলেই। মাঝখানে কত মায়া, কত স্মৃতি, কত রংতামাশা।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |





সত্যি ই তাই আমরা সবাই ছুটে যাচ্ছি ফিরে যেতে।সময় বয়ে যায় কোন না কোন মুহুর্তে পুরনো স্মৃতি গুলো মনে পড়ে যায়।আর মনে পরে গেলে সেই অতীতে ফিরে যেতে খুব ইচ্ছে জাগে মনে।কিন্তু বাস্তবতা থামিয়ে দেয়।