"মেট্রোরেল ভ্রমণ কাহিনী- শেষ পর্ব"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৫ ই মে, শুক্রবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।কিছুদিন আগে আমি, আমার জীবনের প্রথম মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছি আমার এক ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে। নতুন নতুন জায়গা থেকে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা নেয়ার জন্য জীবনে ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আমি ভ্রমণ করতে খুবই পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকেই নতুন নতুন জায়গাতে ঘুরে বেড়ানোর প্রচন্ড অভ্যাস হয়েছে। কিন্তু এখন পড়াশোনার চাপে খুব একটা ভ্রমণ করা হয় না।তারপরও চেষ্টা করি নতুন নতুন জায়গাগুলো ভ্রমণ করে অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য।
কয়েকটি ছবি নিয়ে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
ঢাকার ভিতরে প্রচন্ড যানজট নিরসন করানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার মেট্রোরেল প্রকল্প হাতে নিয়েছিল অনেকদিন আগেই। মেট্রোরেল প্রকল্পের আগারগাঁও থেকে নর্থ উত্তরা পর্যন্ত কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পরে কারণে কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ এর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেল উদ্বোধন করেছেন। আর উদ্বোধনের পর থেকে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ মেট্রোরেল চলাচলের সুবিধাটা পাচ্ছে। ঢাকাতে মেট্রোরেল উদ্বোধন করার পর থেকেই ইচ্ছা ছিল মেট্রোরেলে ভ্রমণ করার।
আর কিছুদিন আগেই আমার সেই ইচ্ছাটা পূরণ করলাম। আমরা শুধুমাত্র মেট্রোরেল ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশন থেকে উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশন পর্যন্ত গিয়েছিলাম আবার সেখান থেকে ব্যাক এসেছিলাম। গত সপ্তাহে আমি মেট্রোরেল ভ্রমণ কাহিনীর - ১ম পর্ব, ২য় পর্ব এবং ৩য় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আর আজকে আমি আপনাদের সাথে মেট্রোরেলে ভ্রমণ কাহিনী - শেষ পর্ব শেয়ার করব।
.... স্বয়ংক্রিয় গেট পার হওয়ার পরে আমরা আবার টিকিট কাটার জন্য টিকিট বিক্রয় মেশিনের কাছে গিয়ে লাইন দিলাম টিকিট ক্রয় করার জন্য। উত্তর স্টেশনে টিকিট বিক্রয় মেশিনে বেশ ভালোই ভিড় ছিল। এটা শেষ স্টেশন তাই আর কি একটু ভিড় থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তারপর কিছু সময় অপেক্ষা করার পরে নিজেই টিকিট বিক্রয় মেশিনের সাহায্যে টিকিট ক্রয় করলাম।
টিকিট বিক্রয় মেশিন থেকে টিকিট ক্রয় করার সময় বেশ ভালোই ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। কারণ আমার কাছে ৫০০ টাকা আর ২০০ টাকার নোট থাকার কারণে কয়েকবার টাকা দিলেও টিকিট বিক্রয় মেশিন সেই টাকা ফেরত দিচ্ছিল।
এভাবে কয়েকবার টাকা ফেরত দেয়ার পরে একজন গাইড এসে বলল যে ভাংতি টাকা থাকলে টিকিট বিক্রয় মেশিন টাকা ব্যাক দিতো না, ভাংতি টাকা নেই বলে টাকা ব্যাক দিয়ে দিচ্ছে আপনার। তারপর আমার ভাই অর্ঘ্য এর কাছে ভাংতি টাকা ছিল সে টাকা দিয়ে শেষমেষ টিকিট বিক্রয় মেশিন থেকে টিকিট ক্র করতে পেরেছিলাম।
টিকিট ক্রয় করার সময় চকচকে বা নতুন টাইপের টাকা দিলে ভালো হয়। কারণ টিকিট বিক্রয় মেশিন পুরাতন টাকাগুলো ভালোভাবে রিসিভ করতে পারে না। আর টাকাতে কোন প্রকার ভাঁজ করা যাবে না।
টিকিট ক্রয় করার পরে আমরা ভিতরে ঘোরাফেরা করলাম। এখান থেকে আমার ভাই অর্ঘ্যর অনেকগুলো ছবি তুলে দিলাম। ছবি নিজে উঠার থেকে আমার ছবি উঠাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তারপর চলন্ত সিঁড়িতে উঠে উপরের স্টেশন প্লাটফর্মে গেলাম।
তারপর উত্তরা উত্তর প্ল্যাটফর্মে একটু সময় অপেক্ষা করতেই মেট্রোরেল চলে আসে। উত্তর প্ল্যাটফর্মে মেট্রোরেলে উঠার জন্য বেশ ভালই লোক হয়। তবে উত্তরা স্টেশন থেকে আসার সময় মেট্রোরেলের ভিতরে অনেক সিট ফাঁকা পড়েছিল।
উত্তরা উত্তর স্টেশনে যাওয়ার সময় যেহেতু আমরা দাঁড়িয়ে গিয়েছিলাম তাই আসার সময় দুজনেই ভাবলাম যে একটু বসে রিলাক্স করতে করতে যায়। আমরা যত সময় ভ্রমণ করেছিলাম তত সময় একের পর এক ছবি উঠাতেই থাকছিলাম। আর এদিকে আমার ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ কম যাওয়ার ফলে চার্জ প্রাই শেষ হয়ে আসছিল। তারপরেও ছবি তোলা বাদ দিয়েছিলাম না ছবি তুলতে তুলতে হঠাৎ করে ফোনটা আফ হয়ে গেছিলো।
হঠাৎ করে এভাবে ফোনটা অফ হওয়ায মনটা বেশ খারাপ লাগছিল কারণ আর ছবি তুলতে পারছিলাম না তখন। কি আর করার তারপরে আগারগাঁও স্টেশনে এসে নেমে আমার ভাই অর্ঘ্য কে ওর গন্তব্য স্থানে পৌঁছে দিলাম। তারপর আমি আবার আমার মেসে চলে আসলাম। জীবনের প্রথম মেট্রোরেল ভ্রমণের অনুভূতি বেশ মনোমুগ্ধকর ছিল। জীবনের ছোট ছোট স্বপ্নগুলো এভাবে পূরণ করতে বেশ ভালো লাগে আমার।
পোস্টের ছবির বিবরন
| ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
|---|---|
| ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
| ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
| তারিখ | ০৩ রা এপ্রিল |
| লোকেশন | ঢাকা, বাংলাদেশ |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার "মেট্রোরেল ভ্রমণ কাহিনী- ২য় পর্ব" ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon














মেট্রোরেল ভ্রমণ কাহিনী পড়ে ভালো লাগলো। ঠিক বলেছেন ঢাকা শহরে জ্যাম বেশি। কয়েকদিন আগে আমি আর আমার এক বন্ধু মিলে মেট্রোরেল ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। আপনার শেয়ার করা পোস্ট দেখে ভালো লাগলো।
আপনিও আমার মত মেট্রোরেল ভ্রমণ করেছেন জেনে ভালো লাগলো। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
মেট্রল ভ্রমনের শেষ পর্বে পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপনি খুবই দারুণভাবে প্রতিটি পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করে যাচ্ছেন। একটা ব্যাপার আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে যে ভেতরে ভাঙতেই টাকা না থাকায় বারবার আপনার নোট টাকা ফেরত দিয়েছিল এ থেকে বোঝা যায় তথ্যপ্রযুক্তির দিক দিয়ে বাংলাদেশ কিছুটা হলেও এগিয়ে গিয়েছে। ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর পোস্ট পড়ে।
হ্যাঁ ভাই আমিও এই বিষয়টাতে একটু অবাক করছিলাম। আসলে বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তিতে অনেক অগ্রসর হয়েছে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য প্রদান করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার মেট্রোরেল ভ্রমণের সবগুলো পোস্টই মোটামুটি আমি দেখেছি। সত্যি বলতে আপনার পোস্টগুলো দেখেই আমার মেট্রোরেলে চড়ার ইচ্ছেটা আরো বেশি বেড়ে গেছে। হিহিহিহি। প্রতিটা পোস্ট থেকেই কিছু না কিছু ইনফরমেশন জেনেছি। আজকেউ তাই। টাকা ভাঙ্গানোর ব্যাপারটা বেশ মজার লাগলো আমার কাছে। চাইলেই কেউ বড় টাকার নোট এবং পুরানো টাকা দিয়ে টিকিট কিনতে পারবে না। হিহিহিহি।
মেট্রোরেল ভ্রমণ কাহিনীর সকল পর্ব গুলো দেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। সুন্দর কথাগুলো মন্তব্য করে সব সময় পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।