মেট্রোতে একদিন!!

in আমার বাংলা ব্লগlast year


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ সোমবার, ২৮ ই অক্টোবর, ২০২৪।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000564183.jpg


গত শুক্রবারের কথা। আমার একটু নীলক্ষেত যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। তবে ঠিক করলাম মেট্রো দিয়ে যাব। ইদানিং শুক্রবারেও মেট্রো চলাচল করে। আমার ইউনিভার্সিটি থেকে ফার্মগেট মেট্রো টা বেশি দূরে না। ঐ কিছুক্ষণ হেঁটে যাওয়া লাগে আর কী। ক্লাস শেষ করে আমি এবং তিন বন্ধু চলে গেলাম ফার্মগেট মেট্রো স্টেশনে। তে গিয়ে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল আমাদের। আমাদের গন্তব্য ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোস্টেশন। টিকিটের জন্য দেখি স্বয়ংক্রিয় টিকিট মেশিনের সামনে লম্বা লাইন। তিনটার মধ্যে একটা টিকিট মেশিন খারাপ। এবং অন্য দুইটা স্বচল। তখন সন্ধ‍্যা ৬ টা বাজে। মিনিট ২০ লাইনে দাঁড়িয়ে কিছুটা যখন এগিয়ে গেলাম হঠাৎ শুনতে পারি স্বয়ংক্রিয় টিকিট মেশিন কাজ করছে না। অর্থাৎ যে দুইটা স্বচল ছিল দুইটাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।


1000564188.jpg

1000564187.jpg

1000564186.jpg


তক্ষণাৎ কতৃপক্ষকে জানানো হলে তারা বলে টিকিট নেই। অন্য অন‍্যদের জানাতে। এভাবে বেশ কয়েকজন কে বললে তারা কেউই গুরুত্বের সাথে নিচ্ছিল না বিষয়টা। শুধু একজন অন‍্যজনকে দেখিয়ে দিচ্ছিল। এটাই হলো অবস্থা। আরও ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর শুরু হয়ে গেল বিশৃঙ্খলা। তখন সবাই হুড়োহুড়ি শুরু করল ম‍্যানুয়াল যে স্থানে টিকিট দিচ্ছে ঐখানে। আমার দুই বন্ধু পিছনে দাঁড়িয়ে ছিল এবং আমি টিকিট নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। অনেকক্ষণ কেটে যাওয়ার পরেও কতৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। ফলে আমি একটু চতুরতার আশ্রয় নেয় বাধ‍্য হয়ে। আমি কখনোই লাইনের বাইরে গিয়ে কোন সুবিধা নেয় না। এটা আমার কাছে ভালো লাগে না। কিন্তু ঐদিন বাধ‍্য হয়ে কাজটা করার দরকার হয়।


1000564180.jpg

1000564177.jpg

1000564183.jpg

1000564179.jpg


যাইহোক একটু ধাক্কাধাক্কি করে আমি চলে যায় সামনের দিকে। একটু চিকন হওয়াই এটা আমি খুব ভালো পারি ভীড়ের মধ্যে সামনে এগিয়ে যেতে। গিয়ে বহুকষ্টে তিনটা টিকিট কাটতে পারি। টিকিট হাতে পাওয়ার পর ঐটা নিয়ে চলে যায় মোট্রো স্টেশন এর উপরে। অনেকদিন পরে আবার মেট্রোতে গিয়েছিলাম। বেশ ভালোই লাগছিল। বেশ কিছুক্ষণ পর চলে আসলো মেট্রো। আমাদের গন্তব্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেট্রো স্টেশন। ছুটির দিন হওয়ার পরেও বেশ ভীড় ছিল। যাইহোক মেট্রো তে উঠে গিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। যেহুতু পুরোটা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এইজন্যই ভীড় হলেও খুব একটা সমস্যা হয়নি। গরম লাগেনি।

ফার্মগেট থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোর মাঝে দুইটা স্টেশন কারওয়ান বাজার এবং শাহবাগ। খুব বেশি সময় লাগেনি আমাদের যেতে। মেট্রোর এই ব‍্যাপারগুলো বেশ ভালো লাগে আমার। প্রতিটা স্টপেজে একেবারে সময়ে চলে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রো স্টেশনে নেমে নিচে এসে একটা রিক্সা নিয়ে আমরা চলে যায় নীলক্ষেত। যদিও আমি গিয়েছিলাম অন্য একটা কাজে। কিন্তু নীলক্ষেত গেলে আমার ভূতে ধরে। বই দেখলে কোনভাবেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। আর কী কাজটা শেষ করে লেগে যায় বই দেখতে। কাছে টাকা ছিল না। তবুও একটা বই কিনেছি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ‍্যাত উপন‍্যাস শেষের কবিতা বইটা কিনে নেয়।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png


Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

মেট্রোরেলের মধ্যে ম্যানুয়াল টিকিট কাটতে কিছুটা কষ্টকর । যাইহোক আপনি দেখছি লাইনের মধ্যে দাঁড়িয়ে হুড়াহুড়ি করে টিকিট কেটেছেন। আপনি অল্প কিছু সময়ের মধ্যে ফার্মগেট থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। আসলে মেট্রোরেলের মাধ্যমে অল্প কিছু সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছে যায়। আপনি খুবই অল্প সময়ের মধ্যে আপনার গন্তব্যে পৌঁছেছিলেন।

 last year 

আমি ঢাকায় যে চার দিন ছিলাম তার মধ্যেই মেট্রো চড়েছিলাম। আমি উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত গিয়েছিলাম। আপনার পোস্ট পড়ে মনে পড়ছে সেই জার্নির কথা। ঢাকা মেট্রো যথেষ্ট আধুনিক একটি পরিষেবা। আমি কলকাতা মেট্রোয় চড়ি, এবং ভারতের অনেকগুলি শহরে মেট্রো চলেছি বলে বলতে পারি ঢাকায় এই মেট্রোও অতি আধুনিক একটি পরিষেবা বাংলাদেশের মানুষকে দিয়ে আসছে। আর ঢাকার রাস্তায় যা যানজট, সেখানে মেট্রো ছাড়া সত্যিই চলাফেরা করা বড় কঠিন।

 last year 

ম্যানুয়াল টিকিট কাটার জন্য লাইন পড়ে না? এখানে লম্বা লাইন পড়ে। আপনি চিকন হোন বা মোটা আপনার গুঁতিয়ে সামনে যাবার কোন উপায়ই থাকবে না৷

যাইহোক অল্প ঝক্কি পোহালেও অবশেষে যে মেট্রোতে করে ঢাবি গেলেন সেইটে আনন্দের। জীবনে এক একদিন এক এক অভিজ্ঞতা হয়। সব মিলে যেন দিনলিপির ডাইরি।

 last year 

নীলক্ষেত বইপ্রেমীদের জন্য একটি আবেগের জায়গা! অন্য কাজে গেলেও, বই এর দোকান গুলো দেখলেই, যেন টানে! পকেটে টাকা না থাকলেও বইগুলো হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখতে ইচ্ছে হয়, দরদাম করতে ইচ্ছে হয়! আমার তো ওই রাস্তায় রিক্সায় জ্যামে আটকে থাকা অবস্থাতেও বইয়ের দোকান গুলো দেখলে দৌড়ে গিয়ে বইগুলো হাতে নিয়ে নাড়তে ইচ্ছে হয়! সাথের জন আটকায় আর কি! 🙄 তবে মেট্রোতে যাতায়াতে সময় কম লাগলেও, এমন কিছু অব্যবস্থাপনার জন্য সময় লেগে যায় এবং ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে ইদানীং! আমিও কিছুটা ভুক্তভোগী।

 last year 

আমি এটা প্রায়ই করি। পছন্দের বইগুলো উল্টেপাল্টে দেখি। দাম জিজ্ঞেস করি দামাদামি করি হি হি হি।