নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের বহুল প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র ‘স্বপ্নজাল’।
প্রথম চলচ্চিত্রেই সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে দীর্ঘ ৯ বছর বছর পর বড়পর্দায় নিজের দ্বিতীয় নির্মাণ নিয়ে হাজির হলেন এ নির্মাতা। দেশীয় বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের গ্ল্যামার গার্লখ্যাত চিত্রনায়িকা পরী মনি ও নবাগত ইয়াশ রোহানকে নিয়ে নতুন বাজি ধরলেন তিনি।
সারাদেশের ২০টি হলে মুক্তি পেয়েছে ‘স্বপ্নজাল’। বৃহস্পতিবার প্রিমিয়ার শেষে স্বজনদের মুখে ফুটছে প্রশংসার খই। প্রশংসিত হয়েছে নির্মাণ ও অভিনয়।
শুক্রবারের প্রেক্ষাগৃহে ‘স্বপ্নজাল’ দেখতে দর্শকের উপচে পড়া ভীড়। কিন্তু নির্মাতা এতেই সন্তুষ্ট হতে চান না।
তিনি বললেন, “এখনও পর্যন্ত বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। যারা প্রিমিয়ারে ছবিটি দেখেছেন সবাই ইতিবাচক মন্তব্য-প্রশংসা করেছে। এখনও পর্যন্ত নেগেটিভ মন্তব্য পাইনি।
শুক্রবার হলগুলো ঘুরে দর্শকের উচ্ছ্বাসই দেখেছি। কিন্তু আমার অপেক্ষা রোববার পর্যন্ত। রোববারের হল রিপোর্ট দেখে বুঝতে পারবো দর্শক চলচ্চিত্রটি গ্রহণ করছে নাকি করছে না।”
দেশের ইতিহাসে অন্যতম ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম। তার নির্মিত ‘মনপুরা’-এখনও দর্শক মনে রেখেছে। অথচ সে নির্মাতারই দ্বিতীয় ছবি মাত্র ২০ প্রেক্ষাগৃহে? এমনকি চট্টগ্রাম, বরিশালের মতো বিভাগীয় শহরগুলোতেও নেই ‘স্বপ্নজাল’।
অন্যদিকে, এসএম শাহনেওয়াজ শানুর চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় কোনো প্রচারণা ছাড়াই চিত্রনায়িকা মাহি ও চিত্রনায়ক বাপ্পি অভিনীত ‘পলকে পলকে তোমাকে চাই’ শুক্রবার মুক্তি পেল ৭০টি প্রেক্ষাগৃহে।
কিছুটা হতাশা ব্যক্ত করে নির্মাতা সেলিম বললেন, “পরিবেশকরা যদি না নেয় আমিতো জোর করে দিতে পারি না। আমাদের কৌশল ছিল প্রথমে শুধু বড় হলগুলোতে মুক্তি দেওয়ার। কিন্তু পরিবেশকরা এগিয়ে না আসায় অনেক বড় হলেই ছবিটি পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়নি।
পরের সপ্তায় দর্শক রেসপন্স দেখে তারা যদি আগ্রহী হয় আমাদের দিতে আপত্তি নেই।”
নদীতীরবর্তী অঞ্চলে গড়ে ওঠা ইলিশ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে চলচ্চিত্রটির গল্প। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নদীবেষ্টিত চাঁদপুরে শুটিং শুরু হয় সিনেমাটির। কিছু অংশের চিত্রধারণ হয় কলকাতাতেও।
চলচ্চিত্রটিতে বাণিজ্যিক ঘরানা থেকে বেরিয়ে নতুন লুকে হাজির হয়েছেন পরীমনি। এটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশের বেঙ্গল ক্রিয়েশনস ও ভারতের বেঙ্গল বারতা।
চলচ্চিত্রটিতে অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু, শাহানা সুমী, শহিদুল আলম সাচ্চু, শিল্পী সরকার, ইরফান সেলিম, ফারহানা মিঠু, ইরেশ যাকের, মুনিয়া, শাহেদ আলী, আহসানুল হক মিনু প্রমুখ।
ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাস, শ্যামলী, বলাকা ও মধুমিতাসহ সারাদেশের ২০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে চলচ্চিত্রটি। এর পরিবেশনার দায়িত্বে আছে আশীর্বাদ চলচ্চিত্র।