কয়েকটি খাবারের ফটোগ্রাফি পোস্ট
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
কয়েকটি খাবারের ফটোগ্রাফি পোস্ট
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে। নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই তো সপ্তাহে একটি করে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তবে এখন ব্যস্ততার জন্য তেমন বাইরে যেতে পারি না।আসলে আমরা যদি ইচ্ছে করি তাহলে হয়তো আমরা ঘরে বসে ফটোগ্রাফি করতে পারি।আমারা প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের খাবার রান্না করি। আসলে রেসিপি করতে সময় আর ধৈর্যের প্রয়োজন। তবে অনেক সময় আমি খাবারের মেইন টা ফটোগ্রাফি করে রাখি। আসলে আমার বাংলা ব্লগের সবাইকে ফটোগ্রাফি করা দেখে অনেক ভালো লাগে। যদিও ফটোগ্রাফি করা আগে ও ভালো লাগতো। তবে এখন একটু বেশি ভালো লাগে মনে হয়। যাইহোক নিজের হাতে তৈরি খাবার সব সময় সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হয়ে থাকে।তাহলে চলুন দেখে নেয় আমি কি কি খাবারের ফটোগ্রাফি করেছি।
এই খাবার গুলো হয়তো অনেকের প্রিয়। বিশেষ করে যারা ডিম পছন্দ করেন।আসলে আমরা ডিম যেভাবেই রান্না করি না কেন খেতে অনেক ভালো লাগে। আর ডিমের যেকোন আইটেম সহজে রান্না করে নেওয়া যায়। আবার খেতে ও অনেক মজার। তবে এভাবে খেতে আপনার ভাই একটু বেশি পছন্দ করে। তাই মাঝে মাঝে রান্না করি।
এগুলো হচ্ছে পাঙ্গাস মাছ ভুনা রেসিপি। আসলে আমার শাশুড়ির পাঙ্গাস মাছ অনেক প্রিয়। তবে সে পাঙ্গাস মাছ ভেজে রান্না করলে খেতে চায় না। তবে এভাবে ভুনা করলে অনেক ভালো লাগে। আর সাথে যদি একটু লেবুর রস দেওয়া যায় তাহলে তো কথায় নেই। আমি সব সময় ভুনা করলে লেবুর রস দেয়। সত্যি অনেক মজা লাগে এভাবে ভুনা খেতে।
এগুলো হয়তো আমাদের অনেকের প্রিয় খাবার। আসলে পোলাও এর সাথে এভাবে বেগুন ভাজা হলে একেবারে জমে যায়। এই বেগুন ভাজা মাংসকে হার মানায়। গতকাল এভাবে বেগুন ভাজি করেছিলাম সাথে ছিল পোলাও। সত্যি সবাই অনেক মজা করে খেয়েছিল।
এগুলো হচ্ছে শুটকি মাছ ভুনা রেসিপি। আসলে আলু দিয়ে এভাবে শুটকি ভুনা করে খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে বাচ্চাদের জন্য শুটকি তেমন খাওয়া হয় না। আসলে ওরা শুটকির ঘ্রাণ সহ্য করতে পারে না।তাই মাঝে মাঝে তারা বাড়িতে না থাকলে রান্না করি। সত্যি শুটকি অনেক প্রিয় খাবার।
এটি হচ্ছে দেশি মোরগ রান্না রেসিপি। আমার নিজের পালিত মোরগ। আসলে দেশি মোরগ মুরগির স্বাদ অনেক। আমি বাড়িতে কয়েক হাঁস মুরগি পালন করি। যদিও মাঝে মাঝে অসুখ হয়ে মারা যায়। তারপরেও না পালন করলে ভালো লাগে না। যাইহোক গতকাল থেকে ইচ্ছে করল তাই আলু দিয়ে মোরগ রান্না করেছি।এর রেসিপি ও করেছি হয়তো আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।আসলে এগুলো খেতে অনেক মজার।
এগুলো হচ্ছে আলু বেগুন দিয়ে টাকি মাছের চচ্চড়ি।আসলে আপনার ভাই বাজার থেকে বেশ কিছু টাকি মাছ এনেছে। তারপর তারা তারাতাড়ি করে কেটে ধুয়ে এভাবে চচ্চড়ি করেছি।সত্যি গরম ভাতের সাথে এমন চচ্চড়ি হলে আর কিছু লাগে না। আশাকরি আমরা খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | উপকরণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1959976746549399591?t=PCmGsnGPwrpRIWgikSHdjg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1959978050969579591?s=19
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1959978582127861933?t=iTPdEHuTRuwfbVn5wLt5XQ&s=19
দারুন দারুন সব খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে লোভ লেগে গেল আপু। প্রত্যেকটা খাবার অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে। দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি ফটোগ্রাফি গুলো উপস্থাপন করেছেন।
আজকে আপনি দারুন দারুন খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। এ ধরনের মজার খাবার গুলোর ফটোগ্রাফি দেখলে বারবার দেখতে মন চায়। ধন্যবাদ মজার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।