চুলের যত্নে গরম তেল।
কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
শীতকাল পড়ে গেছে, চারিদিকে ঠান্ডা ঠান্ডা বাতাস বইছে। এই সময় যেমন আমাদের ত্বক ফেটে যায় এবং শুষ্ক হয়ে যায় আর তার জন্য ত্বকের যত্ন নিতে হয় ত্বক ভালো রাখার জন্য তেমনি আমাদের চুলও শুষ্ক হয়ে যায় এবং অনেক বেশি ঝড়ে পড়ে। ঠান্ডার সময় দেখা যায় মাথার ত্বকে ও চুলের গোড়ায় খুশকি হতে দেখা যায় এছাড়াও আমাদের চুল অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে থাকে এই শীতের সময়। তাই আমরা যদি আমাদের চুলকে যত্ন করে রাখতে চাই এবং সুন্দর ঘন ও বড় করতে চাই আর তার সাথে খুশকি যেন আমাদের চুলকে এবং মাথার ত্বককে নষ্ট করে দিতে না পারে সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে চাই তবে আমাদের অবশ্যই চুলের যত্ন নেওয়া দরকার। শীত আসলে আমি এই হট তেল ম্যাসাজ করে থাকি আমার চুলে যেটা খুবই উপকারী। আরে শীতের সময় যদি এই ভাবে গরম তেল তৈরি করে ম্যাসাজ করা যায় তবে যেমন খুশকি পালাবে তেমন চুল শুষ্ক হওয়া থেকেও দূরে থাকবে, চুল হবে মসৃণ এবং সুন্দর সিল্কি। শীতকালের জন্য খুবই উপকারী এই গরম তেল আমি প্রতিবছর তৈরি করি এবং আমি ব্যবহার করে অনেক বেশি উপকার পেয়েছি। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথেও শেয়ার করে দিয়ে কারণ খুবই কম উপকরণে খুবই সহজে কম সময়ের মধ্যে তৈরি করা যায় এবং আমাদের চুলকে অনেক বেশি সুন্দর এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এই ঠান্ডা শীতের সময়টাতেও। তবে চলুন শুরু করা যাক আজকের গরম তেল তৈরি করা।
-:গরম তেল তৈরির উপকরণ:-
খাঁটি সরষের তেল
পেঁয়াজ
অ্যালোভেরা
-:গরম তেল তৈরির পদ্ধতি:-
যেহেতু শীতকালে নারকেল তেল জমে যায় এবং নারকেল তেল অনেক বেশি ঠান্ডা হয়ে থাকে তাই শীতকালের সময় সরষের তেলটা ব্যবহার করা অনেক বেশি উপকারী হয়ে থাকে। তাই আমি এখানে আমার চুলের লম্বা অনুযায়ী পরিমাণ মতো সরষের তেল নিয়ে নিলাম একটি স্টিলের বাটিতে। একটি মাঝারি আকারের পেঁয়াজ এবং এক বিঘেত মত লম্বা অ্যালোভেরা নিয়ে নিলাম।
পেঁয়াজ এবং অ্যালোভেরা কুচি করে মিক্সার জারে মিক্স করে নিলাম। ভালো করে পেস্ট হয়ে গেলে ছাকনি দিয়ে ছেকে রসটা নিংড়ে নিলাম ওই সর্ষের তেলের বাটির মধ্যে।
এবার সরষের তেলের বাটির থেকে বড় বাটিতে নিয়ে নিলাম অল্প পরিমাণ জল। জলটা ওভেনে দিয়ে দিলাম গরম করতে। ওই জলের উপর বসিয়ে দিলাম তেলের বাটি। ডবল বয়েল প্রসেসের মাধ্যমে তেলের সাথে এলোভেরা আর পেঁয়াজের জুস একটু নাড়াচাড়া করে মিশিয়ে গরম করে নিলাম। এক মিনিটের মধ্যেই তেল ভালোভাবে গরম হয় সুন্দরভাবে মিশে গেছে।
এবার তেলটি নামিয়ে একটা চিরুনির মতো দাতওয়ালা বোতলের মধ্যে তেলটি ঢেলে নিলাম। এবার এই তেল ব্যবহারের জন্য একদম প্রস্তুত, তবে একটু ঠান্ডা করে নিতে হবে তেলটি, উষ্ণ গরম অবস্থায় অর্থাৎ না একদম ঠান্ডা আর না একদম গরম সেই অবস্থায় তেলটি ব্যবহার করতে হবে, নয়তো একদম গরম অবস্থায় ব্যবহার করলে মাথা পুড়ে যেতে পারে। প্রতি সপ্তাহে একবার যদি এমনভাবে তেল গরম করে চুলে মাখা যায় তবে চুল অনেক সুন্দর এবং মসৃণ হয়ে যাবে আর তার সাথে খুশকির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।









বাহ! দারুণ একটা আইডিয়া শিখে নিলাম আজ, অনেক ধন্যবাদ পুরো প্রক্রিয়াটি শেয়ার করার জন্য।
চুলের যত্নে অনেকেই অনেক কিছু ব্যবহার করে। আপু আপনার পোস্ট দেখে ভালো লাগলো।
আপু আপনার পোস্ট দেখে শিখে নিলাম একদিন অবশ্যই তৈরি করব।সত্যি এটা মনে হয় চুলের জন্য অনেক ভালো হবে।