প্রতিবেশী দিদির সাথে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
বাড়ি থেকে বেরোনো হয় না বেশ অনেকদিন হলো। আমাদের বাড়ির কাছেই প্রতি শনিবার করে হাট বসে।হঠাৎ করে আজ যেহেতু শনিবার তাই দিদি বলল একটু হাটে কেনাকাটা করতে যাবে সেই মতো আমিও বললাম যে তাহলে আমিও সঙ্গে যাবো এবং আমারও কিছু কাজ আছে সেগুলো করে আসবো। দিদির সাথে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল যে আমরা বিকাল বেলায় বের হবো হাটে কেনাকাটা করতে এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বাজার এবং তার সাথে একটু ঘোরাঘুরি করতে। কথামতো বিকাল হতেই বেরিয়ে পড়লাম দিদি আর আমি দুজন মিলে। হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম বাড়ির কাছেই অবস্থিত শনিবারের হাটে। হাটে ঢোকার আগেই রাস্তা দিয়ে দেখতে পেলাম ভীষণ ভিড়। আসলে শীত পড়েছে এবং মানুষ শীতের বিভিন্ন জামা কাপড় কম্বল সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করতে এসেছে। আমরা ঢুকে পড়লাম ধীরে ধীরে হাটের ভেতর। হাটের ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়লো প্রচুর পরিমাণে দোকান আর সব কটা দোকানেই প্রায় শীতের বস্ত্র, কম্বল ইত্যাদি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী। চারিদিকে রকমারি এবং ভীষণ সুন্দর দেখতে শীতের জামা কাপড় ঝোলানো রয়েছে।
দেখে ইচ্ছা করছে কিনে নিয়ে আসি কিন্তু বাড়িতে শীতের অনেক জামা কাপড় রয়েছে যা পড়ে এখনো নষ্ট করা হয়নি তাই আর অপচয়মূলক কেনাকাটা করলাম না। এখন যেহেতু বিয়ের সিজন চলছে এবং চারিদিকে বেশ বিয়ের ধুম দেখা যাচ্ছে তাই শীতবস্ত্রের পাশাপাশি সুন্দর বেনারসি শাড়ি এবং বিভিন্ন ধরনের শাড়ি এবং তার সাথে চোখ ধাঁধানো চমৎকার ব্লাউজ দেখতে পাওয়া গেল এই হাটে। যে দিদিটার সাথে গেছিলাম সেই দিনটা একজোড়া চটি কিনবে ঘরে পড়ার জন্য কিন্তু আমরা খুঁজে খুঁজে হয়রান হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও চোটের দোকান খুঁজেই পাচ্ছিলাম না। অবশেষে অনেক কষ্টে একটা দোকান চোখে পড়লো কিন্তু সেই দোকানেও ভালো তেমন কিছু পাওয়া গেল না। অবশেষে হতাশ হয়ে দিদির কেনাকাটা সম্পন্ন করে চলে এলাম আমার কেনাকাটা এবং কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য। সোজা চলে গেলাম বাজারে এবং সেখানে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস এবং শাক কিনে নিলাম। তারপর কেনাকাটা করে চলে গেলাম আজকে দিদির চেনা এবং আমার কাছে একদমই নতুন একটি ফুচকার দোকানে। এই দোকানটিতে বেশ ভালো এবং সুস্বাদু ফুচকা খেয়ে মনটা ভরে গেল।
এই দোকানটিতে আগে কখনো আসেনি তবে প্রথমবার খেয়েই বেশ ভালো লাগলো এই দোকানের ফুচকা। সুন্দর পরিবেশ পাশেই রয়েছে সোশ্যাল জলাশয় এবং তার পাশে এই ফুচকার দোকান। বিকাল এই ফুচকার দোকানটিতে আসলে চারপাশের সুন্দর পরিবেশটা ভালোভাবে দেখা যেত। এখন যেহেতু অন্ধকার হয়ে গেছে তাই চারপাশটা তেমন দেখা যাচ্ছে না পুরোই অন্ধকার হয়ে রয়েছে। বেশ মন ভরে এই ফুচকার দোকানটিতে বিভিন্ন রকমের ফুচকা খেয়ে আবার বাড়ির দিকের রাস্তায় রওনা দিলাম। বাড়ির দিকে আসতে আমাদের বাড়ির প্রায় কাছাকাছি রয়েছে একটি বড় ঠাকুরের মন্দির। আমরা ফেরার পথে দেখছিলাম বড় ঠাকুরের মন্দিরে পুজো হচ্ছিল তাই একটু দাঁড়িয়ে পূজো হতে দেখছিলাম। পুজো শেষ হওয়ার পরে প্রসাদ বিতরণ শুরু হয়ে গেল। এই মন্দিরের সামনে প্রসাদ গ্রহণের জন্য মোটামুটি একটা লাইন পড়ে। আমরা দুজন প্রসাদ নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে পড়লাম। পূজোর প্রসাদ মানেই ভীষণ সুস্বাদু, সেটা যেমন ভাবে প্রস্তুত করা হোক না কেন। তবে এই বড় ঠাকুরের মন্দির এর বিশেষ প্রসাদ হল ফলপ্রসাদ এবং ছিন্নি প্রসাদ।
বড় ঠাকুরের এই ফলপ্রসাদ এবং শিন্নি প্রসাদ খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। অবশ্য প্রত্যেক পুজোর প্রসাদ খেতে আমার বেশ ভালো লাগে আর তার সাথে খিচুড়ি প্রসাদের তো কোন তুলনাই হয় না। আমরা প্রথমে প্রসাদ নিয়ে দুজনে দুই বাটি ফলপ্রসাদ এবং শিন্নি প্রসাদ খেয়ে নিলাম। তারপর আবার গেলাম আরেকটু শিন্নি প্রসাদ আমি নিয়ে নিলাম বাড়িতে থাকা বাবার জন্য। যেহেতু হাজব্যান্ড তখন বাড়িতে ছিল না আর এই প্রসাদ ঘরের মধ্যে নেওয়া যায় না বাইরে বসেই খেতে হয় তাই আর হাসবেন্ডের জন্য রাখতে পারব না ভেবে নিলাম না। বাড়িতে ঢুকেই বাবাকে ডেকে বাইরে আনলাম এবং প্রসাদটা দিয়ে দিলাম খাওয়ার জন্য। আমি যেমন শিন্নি প্রসাদ খেতে পছন্দ করি তেমন আমার হাজব্যান্ড এবং আমার বাবা ও ভীষণ পছন্দ করে। কিন্তু হাজবেন্ড বাড়ি না থাকার কারণে খেতে পারল না তবে বাবাকে প্রসাদ খাওয়াতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। এভাবেই আজকের বিকাল থেকে সন্ধ্যা বেলাটা বেশ সুন্দরভাবে কেটে গেল ঘোরাঘুরি বিভিন্ন কাজকর্ম এবং খাওয়া-দাওয়ার মধ্য দিয়ে। আর এসবের মধ্যে সবথেকে ভালো লাগলো পুজো দেখে এবং পূজোর প্রসাদ গ্রহণ করে।
ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।









