সারপ্রাইজ
গতকাল আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম আমার বাংলাব্লগের সদস্যদের সবাইকে নিয়ে ইফতার এই কিছু মুহুর্ত। গতকাল অনেক মজা করেছিলাম। শেষ সময়ে আমি মজা করে শুভ ভাইকে বলি, আপনার উচিত একদিন সবাইকে ইফতার করানো। শুভ ভাই এক বাক্যে রাজি। জানতে চাইল কবে আয়োজন করা হবে? সবাই বললাম শুভস্য শীঘ্রম।তাই আজকের দিনটাই ঠিক করা হয়েছিল।
মেনু ছিল কাকিমার ফেমাস খিচুড়ি, সেই সাথে মুরগীর মাংস।সেই অনুযায়ী আজ বাজার করতে হবে।।প্রথমে বাজার করার কথা ছিল বৃষ্টিচাকী কাকিমার।তবে কাকিমার হাতে আঘাত পাওয়ায় সে দায়িত্ব বর্তায় আমার উপর। শুভ ভাই সব টাকা দিয়ে দিয়েছিল। আমি কাকিমার থেকে লিস্ট নিয়ে দুপুরেই বাজার সেরে ফেলি। কারন বিকেলের মাঝেই রান্না শেষ করতে হবে।
এরপর বাকি দায়িত্ব কাধে তুলে নেন আমাদের সম্মানীয় সদস্য রিতু আমিন আর বৃষ্টি চাকী কাকিমার বড় মেয়ে ঐশী। ঐশীর দায়িত্ব নিয়েছিল তরকারী রান্না করার আর রিতু আন্টির দায়িত্ব ছিল খিচুড়ি রান্নার। আর সাহায্যে ছিলেন হীরা ভাবি। বৃষ্টিচাকী কাকিমা হেল্প করতে চাইলেও উনাকে কেউ কোন কাজ করতে দেয় নি।
আয়োজন ছিল সব বৃষ্টি চাকী কাকিমার বাসায়। আমি তো বাজার দিয়েই হাওয়া।তারপর আর কি হল সে খোজ ও নেইনি। তাই বিকেলে গুটি গুটি পায়ে হাজির হলাম।দেখলাম ওখানে তখন মহা ব্যস্ততা।দুই রান্না ঘরে দুইজন রান্নায় ব্যস্ত। চারদিক থেকে রান্নার সুগন্ধ ভেসে আসছে। সুগন্ধে পেটের মাঝে ক্ষুধা কয়েকগুণ বেড়ে গেল।
এরপর আমিও টুকটাক সাহায্য করতে লাগলাম।এর মাঝেই রান্না শেষ হয়ে আসল। হীরা ভাবি সব কিছু রেডি করে নিল। আমি আর নীলাক্ষী সবাইকে প্লেটে তুলে দিলাম। এরপর সবাই মিলে খাওয়াদাওয়া শুরু করলাম। খাওয়া শুরু করলাম মানে গেলা শুরু করলাম। খাবারের স্বাদ এত বেশি হয়েছিল যে সবাই আমার মতই খাচ্ছিল। সবাই প্রায় দুই তিনবার করে খাবার নিয়েছি।
খাবার শেষে সবাই মিলে রেস্ট,কারন সবাই এত বেশি খাওয়াদাওয়া করেছি যে নড়াচড়া করা মুশকিল। তাই খাবার শেষে সবাই আবার আড্ডা দেওয়া শুরু হল। এর মাঝেই রাত বেড়ে গেল। তাই অনিচ্ছা সত্বেও সভা ভঙ্গ করে সবাই বাড়ি চলে আসলাম। এর সুন্দর একটি ট্রিট এর জন্য শুভ ভাইকে ধন্যবাদ। ঐশী এবং রিতু আন্টিকে ধন্যবাদ এত সুস্বাদু রান্নার জন্য।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির অনেক সদস্য একসঙ্গে যখন ইফতার করেছে। সেই পোস্টগুলো ধারাবাহিকভাবে পড়েছি শুভ ভাই, হিরা মনি আপু, আজকে আপনি পোস্ট করলেন। সত্যিই ভালো লাগার একটা মুহূর্ত । আপনি বাজার করেছেন তারপরে উধাও এরকম স্বভাবের মানুষ আমিও । 🤩 যাইহোক, বিকেলে এসে সবাই একত্রিত হয়ে ইফতার করার পর দারুন সময় কাটিয়েছেন। সব মিলিয়ে ভালো মুহূর্ত ছিল।
হ্যা মুহুর্তগুলো অনেক সুন্দর ছিল।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আচ্ছা আচ্ছা তাহলে সারপ্রাইজটা কি তা বুঝলাম।শুভ ভাইয়া সবাইকে খাওয়াতে রাজি হয়ে গেলো।আর তাইতো সবাই মিলে আবার এক হলেন সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন সবাই মিলে।খাবার ও ভীষণ স্বাদের হয়েছিল। অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
হ্যা আপু,এটাই সেই সারপ্রাইজ। ধন্যবাদ আপনাকেও সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্যদের কে এক সাথে দেখতে পেয়ে খুশি হলাম। সবাই মিলে এভাবে একসাথে খেলে ভীষণ ভালো লাগে। সবাই মিলে কাজ গুলো ভাগ করে নিয়ে করেছেন। এজন্য কাজ গুলো তাড়াতাড়ি শেষ হয়েছে। শুভ ভাই কিন্তু আমাদের কেও দাওয়াত দেয়া উচিত ছিলো। আরো কিছু সদস্য বারতো। খাবার গুলো দেখা বোঝা যাচ্ছে সবাই মিলে জমিয়ে খেয়েছেন। খিচুরি আমার প্রিয় খাবার। আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পরিবার এর সদস্য দের দাওয়াত দিতে হয় নাকি? সময় বুঝে চলে আসবেন। সব সময় আমাদের দরজা খোলা।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
টুইটার লিংক
সারপ্রাইজটা তো ভালোই ছিল। আর সবাই মিলে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। একেকজন একেকটা দায়িত্ব নিয়েছেন এই বিষয়টা আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। সবাই মিলে এরকম একসাথে খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তগুলো বেশ মজার হয়ে থাকে। সুন্দর এই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
গতকালকে আপনার আরো একটা পোস্ট আমি পড়েছিলাম। যেখানে আপনি সারপ্রাইজের কথা বলেছিলেন কিন্তু কি সারপ্রাইজ এটা বলেননি। আর আমি তো এই পোষ্টের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। সারপ্রাইজ এর বিষয়টা জেনে খুব ভালো লেগেছে। শুভ ভাইয়া তাহলে এই ট্রিট দিয়েছিল। খিচুড়ি দেখেই তো লোভ লাগতেছে। রিতু আপু মনে হচ্ছে মজাদার খিচুড়ি তৈরি করে। ওনার হাতের খিচুড়ি খাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে এখন। যাইহোক এরকম মজাদার রেসিপি হলে তো সবাই ২-৩ বার করে খাবেই। মাঝেমধ্যে আমাদেরকে বলবেন আমরা যাব।
শুভ দা এর দেওয়া ইফতার পার্টি, বৃষ্টি চাকী দিদির বাসায়! ব্যাপারটা বেশ ইন্টারেস্টিং। আপনারা তো এই কয়দিন বেশ ভালোই আনন্দ মজা করছেন ভাই। তবে খিচুড়িটা দেখে কিন্তু আসলেই বেশ সুন্দর লাগছে। আর মাংস রান্নাটাও খুব সুন্দর হয়েছে মনে হচ্ছে। যাইহোক, সবাই মিলে এত সুন্দর সময় কাটিয়েছেন, এটাই সবথেকে বড় ব্যাপার। কারণ সুন্দর সময় কাটানোর সুযোগ অনেকেই পায় না। ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট টি পড়ে।
ইফতার পার্টি দেওয়ার কথাটা যদিও মজা করে শুভ ভাইয়াকে আপনি বলেছিলেন, কিন্তু তিনি তো দেখছি এক কথায় রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। বৃষ্টি চাকি দিদির বাসায় ইফতার পার্টিটা হয়েছিল শুনে ভালো লেগেছে। আপনাদের সবাইকে একসাথে দেখেই ভালো লেগেছে অনেক বেশি। খিচুড়ি দেখতে একেবারে লোভনীয় লাগতেছে। আমার তো মনে হয় আমি থাকলে আরো বেশিই খেতাম 😁। হা হা হা। দুইটা রেসিপি তৈরির দায়িত্বে তাহলে দুইজন ছিল এটা ভালোই করেছেন। ইফতারের সময় এগুলো হলে তো বেশ ভালোই জমবে।