বুক রিভিউ ( কবি- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় )!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
| ------ | ----- |
|---|---|
| বইয়ের নাম | কবি |
| লেখক | তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় |
| প্রথম প্রকাশ | ১৯৪৪ |
| প্রকাশনী | সূর্যোদয় |
| দাম | ৩০০ টাকা |
নিতাই ডোম সম্প্রদায়ের ছেলে। ডোম হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে নিম্ন শ্রেণির। এই ডোমের ছেলে কবি ব্যাপার টা ছিল তখন বামুনের চাঁদ ধরার মতো। একসময় এই ডোমরা ছিল বাংলার নবাবদের লাঠিয়াল। কিন্তু নবাবের শাসন শেষ হওয়ার পরে তারা এখন চুরি ডাকাতি করে বেড়ায়। সেটাই তাদের পেশা। তবে নিতাই ছিল আলাদা। সে এসব পছন্দ করতো না। মোটামুটি লেখাপড়া জানত। নিতাই নিজে নিজে গান লিখতে পারতো। সাধারণ গান না সেই সময়ের কবিগান। কিন্তু ডোমের ছেলের এসব করা চলবে না তার স্বজাতিরা তাকে তাড়িয়ে দেয়। ভাগ্যক্রমে নিতাই একটা সুযোগ পেয়ে যায়। গ্রামের মেলায় প্রথম কবিগানের মঞ্চে উঠে নিতাই। তারপর থেকেই শুরু। সাধারণত নিতাই স্টেশনে কুলির কাজ করতো। কিন্তু কবি হিসেবে পরিচয় পাওয়ার পরে সেটা সে বাদ দেয়।
নিতাইয়ের বন্ধু ছিল স্টেশনের পয়েন্টম্যান রাজা। নিতাই নিজের গানগুলো রাজাকে শোনাতো। রাজা তাকে উস্তাদ বলতো। রাজার বউয়ের বিবাহিত বোন ঠাকুরঝি। ঠাকুরঝিকে নিতাই পছন্দ করতো। এবং ঠাকুরঝি নিজেও নিতাইকে পছন্দ করতো। কিন্তু বিবাহিত ঠাকুরঝি এবং নিতাইয়ের সম্পর্ক সমাজ মেনে নেয়নি। এরপর নিতাইয়ের পরিচয় হয় একটা ঝুমুরদেলর সঙ্গে। সেই দলের প্রধান মাসি নিতাইয়ের গান শুনে প্রশংসা করে। এবং নিতাইকে বলে তাদের সঙ্গে যোগ দিতে। কিন্তু নিতাই প্রথমে রাজি হয় না। ঝুমুরদলের মেয়ে বসন্তকে পছন্দ করতে শুরু করে নিতাই। একপর্যায়ে বসন্তের জন্য সেই ঝুমুরদলে যোগ দেয় নিতাই। নিতাই ছিল গুণী মানুষ। সে ভালোবাসার গান লিখতো কবিগান পছন্দ করতো। কিন্তু ঝুমুরদলে চলতো অশ্লীল গান এবং নাচ। পাশাপাশি চলতো অসামাজিক কাজ। যেগুলো নিতাই মোটেই পছন্দ করতো না। এসবের জন্য সে চাই ঝুমুরদল ছেড়ে দিতে।
কিন্তু বসন্তের জন্য পারে না। কারণ সে বসন্তকে ভালোবেসে ফেলে। বসন্তের জন্য থেকে যায় ঝুমুরদলে।এভাবে অনেকদিন যায়। ঝুমুরদলের মেয়ে বসন্তের ছিল কিছু জটিল রোগ। একপর্যায়ে গিয়ে অসুস্থ্য হয়ে মারা যায় বসন্ত। বসন্তের মৃত্যুর পরে ঝুমুরদল ছেড়ে দেয় নিতাই। ঝুমুরদলের প্রধান মাসি অনেক বলেও নিতাইকে রাখতে পারেনি। বসন্তের মৃত্যুর পরে নিতাই একেবারে একা হয়ে যায়। সবকিছু ছেড়ে দিয়ে সে সন্ন্যাসী হতে চাই। কিন্তু সেটাও যেন তার অদিষ্টে ছিল না। এরপর কি হলো নিতাইয়ের সাথে সেটা জানতে হলে বইটা পড়তে হবে আপনাদের।
ব্যক্তিগত মতামত
একটা সময় বাংলায় বিখ্যায় ছিল কবিগান। এই কবিগানে ভোলা ময়রা এন্টনী ফিরিঙ্গির নাম বিখ্যাত। সেই সময়ের কাহিনী টা। একটা নিম্ন ডোম সম্প্রদায়ের ছেলে নিতাইয়ের কবি হয়ে উঠার কাহিনী। তার জীবনে আসা প্রেম সমাজের মানুষের বাঁধা ঐসময়ের সামাজিক পরিস্থিতি দারুণভাবে উঠে এসেছে এই বইয়ে। বইয়ের মধ্যে কবিগানের বিভিন্ন কবিতা রয়েছে। যেগুলো ঐসময়ের ঐতিহ্য বহন করে। সবমিলিয়ে একটা অন্য ধরনের কাহিনী নিয়ে লেখক এটা লিখেছে। সমাজের নিম্ন শ্রেণির একজন ছেলে যে কীনা কবি তার জীবনের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছে লেখক। তবে লেখক বইয়ের শেষে নিতাইয়ের জীবনের একটা বিষয়কে দিয়ে আমাদের জীবনকে বুঝিয়ে গিয়েছেন। বলে গিয়েছেন জীবন এতো ছোট কেন??
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।













.png)



Daily task
https://x.com/Emon423/status/1987429254305583286?t=ohLIrPSVFaMQPz9dhRW1Zw&s=19
great post