উস্কানি!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
যেসব মানুষের আবেগ বেশি যারা কাজ করার আগে ভেবেচিন্তে কিছু করে না অথবা বলে না তাদের উস্কানি দেওয়া খুব সহজ। এবং তাদের যদি একবার উস্কে দেওয়া যায় তার ফলাফল মোটেই ভালো কিছু হয় না। পরবর্তীতে সেটা গিয়ে বড় ধরনের এক ঝামেলায় পরিণত হয়। আর বাংলাদেশে বরাবরই আবেগ দিয়ে চলা মানুষের সংখ্যা বেশি। আমাদের আবেগ অনূভুতি অনেক বেশি। একেবারে সহজ ভাষায় বলতে গেলে আমরা বেশ ইমোশোনাল। আর এই ধরনের মানুষদের খুব সহজেই ভুল পথে চালিত করা যায়। বিগত বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ বেশ অস্থিতিশীল। ইতিপূর্বে এমনটা খুব কম হয়েছে। কারণটা মোটামুটি আমরা সবাই অবগত আছি। জুলাই যোদ্ধা এবং বাংলাদেশের তরুণদের কন্ঠস্বর ওসমান হাদির নির্মম মৃত্যু। এটা যে কারো পক্ষেই মেনে নেওয়া বেশ কঠিন।
আমি হাদিকে স্যোসাল মিডিয়ায় দেখতাম। সে বিশৃঙ্খলা খুব একটা পছন্দ করতো না। সে নিজেই বলতো আপনার সাথে যে অন্যায় করেছে আপনি তার সাথে ইনসাফ করুন। যাইহোক সেসব বাদ দেয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে হাদির মৃত্যুর খবর আসার পরে বেশ উওেজনার সৃষ্টি হয়। ছাএরা রাস্তায় নেমে পড়ে। বিশেষ করে বলতে হয় ঢাকার শিক্ষার্থীদের কথা। এবং এই সুযোগ টাই নেয় কিছু মানুষ। ফেসবুকের মাধ্যমে তারা উস্কানি দেয় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষদের। বিশেষ করে আমাদের মতো তরুণদের। তারা কেউই বাংলাদেশে থাকে না। ইদানিং দেখি তাদের কাজই হচ্ছে বিভিন্ন উস্কানিমূলক কথা বলে সাধারণ মানুষকে উস্কে দেওয়া। তারা এর আগে এই রকম অনেক বার করেছে। এবং বার বার বলেছে বাংলাদেশের দুই পএিকা অফিস প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার এর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবারে হাদির খবর আসার পরে তারা আবার উস্কানি দেয়। ব্যাস ছাএ জনতার একটা অংশ গিয়ে হামলা করে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের অফিসে। চিন্তা করেন অবস্থা। যেটা মোটেই উচিত ছিল না। এরমধ্যে অনেক সুবিধাবাদী লোক ছিল। যারা মূলত এই বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিয়ে লুটপাট চালিয়েছে। আমার কথা হাদির সাথে যেটা হয়েছে সেটা মোটেই মেনে নেওয়ার মতো না। এর জন্য দায়ি আমাদের আইন ব্যবস্থা। হাদির খুনি কীভাবে খুন করে ৭-৮ ঘন্টা সময় নিয়ে পালিয়ে গেল?? তখন বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কী করছিল? এর উওর দেবে কে? এটা নিয়ে কেউ প্রশ্ন করছে না। আবার হাদির খুনি ছিল জেলে তাকে জামিন করালো কে? এটা নিয়েও কেউ প্রশ্ন করছে না। এদের রাগ গিয়ে পড়েছে এই সংবাদপত্র গুলোর উপরে। কারণ ঐ যে বললাম উস্কানি।
হাদির এমন বিদায়ে তার পরিবার যা হারিয়েছে আমরা কেউ হারায়নি। তার ৮ মাসের শিশু বাবা হারিয়েছে । আমাদের স্বভাব এইটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা উস্কানিতে খুব কান দেয়। অথচ নিজে একটুও চিন্তা করে দেখি না ঠিক কী কারণে এমনটা হলো। নিজের বিবেক খাটিয়ে দেখি না। আরে বাংলাদেশ কে তো এখন বিশৃঙ্খল করে তুলতে চাইবেই এটাই স্বাভাবিক। একটা অংশের উদ্দেশ্যই এটা। নানাভাবে বাংলাদেশ কে বিশৃঙ্খল করে তোলা যাতে করে তারা সুবিধা নিতে পারে। এমনকি সামনের জাতীয় নির্বাচন যেন না হয়। এবং বাংলাদেশের একটা অংশ এই উস্কানি তে পড়ে তাদের কথায় কান দিয়ে ঐ মানুষ গুলোর উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সাহায্য করছে। যাইহোক কিছু বলার নেই বলার ইচ্ছাও নেই। এইজন্যই আমি গণতন্ত্র পছন্দ করি না। ক্ষমতার লোভ মানুষকে পশু বানিয়ে দেয়। যেকোন কাজ করতে গিয়ে তারা ভাবে না।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।



.png)



Daily task
https://x.com/i/status/2003376420316413963