টমেটো দিয়ে আলু এবং ফুলকপি ভাজি রেসিপি।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ২১শে ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার, ২০২৫খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার সকল ধরনের ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি আজকে আপনাদের সাথে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। নিজের খাবার নিজেই তৈরি করে খাওয়ার মাঝে আলাদা শান্তি রয়েছে। আজ আমি আপনাদের সাথে টমেটো দিয়ে আলু ফুলকপি একসাথে ভাজি করার রেসিপি শেয়ার করবো।আমি যেহেতু মেসে থেকে পড়াশোনা করি সাথে রান্না করে খাই তাই আমার রান্নার মেনুতে বেশিরভাগ সময় ভাজি এবং ভর্তা থাকে। কয়েকদিন আগে বেশ কিছু পরিমাণে টমেটো নিয়ে এসেছিলাম। টমেটো দিয়ে মাছের ঝোল খেতে খুব ভালো লাগে তাই ভাবলাম ভাজি খেতে কেমন লাগে দেখা যাক। সেজন্য টমেটো দিয়ে ফুলকপি এবং আলু একসাথে ভাজি রেসিপি তৈরি করেছিলাম। রেসিপিটি বেশ ভালোই হয়েছিলো। ভাতের সাথে খেতে আমার তো ভালো লেগেছিলো।চলুন তাহলে রেসিপিটি দেখে আসা যাক। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
কভার ফটো
সুন্দর করে কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
ক্রমিক | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | ফুলকপি | পরিমাণ মতো |
২ | আলু | পরিমাণ মতো |
৩ | টমেটো | পরিমাণ মতো |
৪ | পেঁয়াজ কুচি | পরিমাণ মতো |
৫ | লবণ | দুই টেবিল চামচ |
৬ | মরিচ | তিন থেকে চারটা |
৭ | হলুদ | এক টেবিল চামচ |
উপকরণ প্রস্তুত প্রণালী :
প্রথমে ফুলকপি গুলো ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়েছি। সেই সাথে আলু কেটে নিয়েছি। তারপর পরিষ্কার করে ধুয়ে ফুলকপি এবং আলু উঠিয়ে রেখেছে। টমেটো, পেঁয়াজ এবং মরিচ ভালো করে ধুয়ে পরিমাপ করে কেটে নিয়েছি। সবকিছু একসাথে গুছিয়ে নিয়েছি।
রান্নার পদ্ধতি
ধাপ-১
প্রথম ধাপে চুলা জ্বালিয়ে দিয়ে কড়াই বসিয়ে নিয়েছি। তাতে সামান্য পরিমাণ তেল দিয়ে তেল গরম করে নিয়েছি।
ধাপ-২
তারপর গরম তেলে পেঁয়াজকুচি এবং মরিচ দিয়ে ভালো করে ভেজে নিয়েছি। পেঁয়াজ গুলো দেখতে বেশ লাল লাল হয়েছে।
ধাপ-৩
তারপর কড়াইয়ে পেঁয়াজের মধ্যেই কেটে রাখা ফুলকপি এবং আলু দিয়ে নিয়েছি। ভালো করে নেড়েচেড়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
তারপর পরিমাণ মতো হলুদ এবং লবণ দিয়ে নেড়েচেড়ে নিয়েছি।
ধাপ-৫
তারপর কেটে রাখা টমেটো কুচি এর মধ্যে দিয়ে নিয়েছি। টমেটো কচি ভালোভাবে আলু এবং ফুলকপির সাথে মিশিয়ে নিয়েছি। বেশ কিছুক্ষণ এভাবে নাড়াচাড়া করে নেবো।
ধাপ-৬
তারপর ফুলকপি আলু সিদ্ধ হওয়ার জন্য সামান্য পরিমাণ জল দিয়ে অল্প একটু সময় ঢেকে রেখেছিলাম। তারপর ঢাকনা উঠিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৭
তারপর ঢাকনা উঠিয়ে বেশ কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নিয়েছে। রান্নাটি খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন
তারপর একটি বাটিতে ভাজি পরিবেশন করে নিয়েছি। এটাই ফাইনাল আউটপুট।
পোস্টের বিবরন
ক্যামেরাম্যান: @purnima14
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন: কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


শীত প্রায় শেষ হয়ে গেল এখন আর ফুলকপির আনাগনা কম পাওয়া যাবে।ফুলকপি এবং টমেটো দিয়ে এত সুস্বাদু একটা ভাজি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এরকম ভাজি আমার আম্মু মাঝে মাঝে তৈরি করে থাকেন তাই আমি জানি এই ভাজি খেতে কতটা সুস্বাদু।এরকম ভাজি হলে এক প্লেট ভাত অনায়াসে খেয়ে ফেলার সম্ভব।
হ্যাঁ বাজারে এখন ফুলকপির আনাগোনা অনেকটাই কমে গেছে। টমেটো দিয়ে এরকম সুস্বাদু ভাজি খেতে অনেক ভালো লেগেছিল। হ্যাঁ আপু, এভাবে ভাজি হলে এক থালা ভাত অনায়াসে খাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপু।
টমেটো আলু ও ফুলকপি দিয়ে এমন ভাবে ভাজি রান্না করে কোনদিন খাওয়া হয়নি ।একদিন রান্না করে খেয়ে দেখব রেসিপিটা কেমন লাগে ।ধন্যবাদ আপু রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমিও এই প্রথমবার খেলাম। খেতে বেশ ভালই লাগে। আপনার চমৎকার মন্তব্য পেয়ে খুশি হয়েছে আপু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আর ফুলকপি রান্নার থেকে এভাবে আলু দিয়ে ভাজা করলে আমার কাছেও বেশ ভালো। মাঝে মাঝে আমি এভাবে তৈরি করে থাকি। তবে তার সাথে শীতকালীন টমেটো দিলে রান্নার স্বাদ একদম ব্যতিক্রম হয়ে যায়। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমার কাছেও ফুলকপি রান্নার থেকে ভাজি করে খেতে বেশি ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আপনি তৈরি করেন যেন ভালো লাগলো। সত্যি আপু, শীতকালে টমেটো দিয়ে রান্না গুলো খেতে দারুণ লাগে। বেশ অন্যরকম একটা স্বাদ পাওয়া যায়। ভালো লাগলো আপু আপনার মন্তব্যে পেয়ে।
আপনি আজকে অনেক মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। যেটা দেখতে অনেক বেশি লোভনীয় লাগছিল। এই রেসিপিটা আগে কখনোই খাওয়া হয়নি। আজকে প্রথমবারের মতো রেসিপিটা দেখলাম। দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা খেতে কতটা ভালো লেগেছে। রেসিপিটা শেয়ার করলেন দেখে অনেক ভালো লাগলো আমার কাছে।
রেসিপিটা আপনি কখনো খেয়ে দেখেননি, অবশ্য একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। রেসিপিটি বেশ ভালো লাগে। আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো আপু।
আপু আপনার তৈরি করার রেসিপি টা দেখতে একদম মনে হচ্ছে সবজি দিয়ে নুডুলস রান্না করলে যেমন লাগে সেই রকম। খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আলু টমেটো একসাথে ভাজি করে খেয়েছি কিন্তু এর সাথে ফুলকপি কখনো রান্না করিনি। একদিন এই রেসিপিটা তৈরি করার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু, সবজি দিয়ে নুডুলস রান্না করলে এমনই হয়। এভাবেও ভাজি করলে খেতে বেশ চমৎকার লাগে। একবার খেয়ে দেখতে পারেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
টমেটো দিয়ে যেভাবে আলু এবং ফুলকপি ভাজা করে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন এক কথায় অসাধারণ হয়েছে বোন। এমন সুন্দর ভাষা পেলে অনেকখানি ভাত উঠে যায়। এই খাবার আমাদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় একটি খাবার। কিন্তু তাও আপনার পোস্টে সুন্দরভাবে গুছিয়ে এর রেসিপিটি দেখতে খুব ভালো লাগলো।
এই রেসিপিটা আমার কাছেও খুব ভালো লেগেছে। টমেটোর দিয়ে যেকোনো রান্নাই আমার কাছে অপূর্ব লাগে। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
আসলে আলু এবং টমেটো দিয়ে ফুলকপি ভাজির এই রেসিপিটা আমার কাছে একটা নতুন ধরনের রেসিপি। যেহেতু বাড়িতে ফুলকপির তরকারি খাই এবং আলাদা করে আলু ভাজা খেয়ে থাকি। কিন্তু এগুলো সব একসাথে ভাজি করে খাওয়া আমি এর আগে কখনো খাইনি। যাইহোক আপনার রেসিপি পরে পরবর্তীতে এই রেসিপিটা বাড়িতে তৈরি করার জন্য চেষ্টা করব।
আমিও বাড়িতে ফুলকপির তরকারি খাই। তবে তরকারি থেকে এভাবে ভাজি করে ফুলকপি খেতে বেশি ভালো লাগে। রেসিপিটা একবার তৈরি করে দেখতে পারেন। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
টমেটো দিয়ে আলু এবং ফুলকপি ভাজি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। টমেটো যদিও খেতে তেমন একটা ভালো লাগে না, তবে ফুলকপির সাথে ভাজি করে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে
আপনার টমেটো খেতে ভালো লাগে না। আমি কিন্তু টমেটো খেতে খুব পছন্দ করি। টমেটো দিলে খাবারের স্বাদ আমার মনে হয় বেশি হয়। যাইহোক অনেকেই টমেটো পছন্দ করে না জানি। তবে রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।
ফুলকপি সব সময় রান্না করে খাওয়া হয়েছে। এরকম ভাজি করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার আজকের রেসিপি টা দেখে খুবই ভালো লাগলো। দেখতে তো খুব লোভনীয় লাগছে। খেতেও নিশ্চয়ই সুস্বাদু ছিল। এই ধরনের ভাজি গুলো গরম ভাত কিংবা রুটির সাথে খেতে ভালো লাগবে। মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
রেসিপিটি বেশ ভালো লাগে আপু। একবার খেয়ে দেখতে পারেন।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।