ওয়েব সিরিজ রিভিউ ( রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি- ৫,৬ এপিসোড )
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
Youtube থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
ওয়েব সিরিজ এর কিছু তথ্য
------ | ------ |
---|---|
নাম | রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি |
লেখক | মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন |
পরিচালক | শ্রীজিৎ মুখার্জী |
প্লাটফর্ম | হইচই |
মুক্তি | ২০২১ |
অভিনয়ে | আজমেরি হক বাঁধন, অনিবার্ন ভট্টাচার্য, রাহুল বোস, অঞ্জন দও, অনিবার্ন চক্রবর্তী। |
শুরুতেই দেখা যায় নিরুপম তার এক সিনিয়র স্যার এর কাছে এই কেসের ব্যাপারে সাহায্য চাইছেন। তবে ফালুর খবর অগ্রিম কবর খুড়ে রাখার ব্যাপারে সে খুব আগ্রহ দেখাই। অন্যদিকে আতর কে মেরে কবরে মাটি দিয়ে চাপা দিয়ে দেয় ফালু। কারণ তার ঘরে যে কঙ্কাল রয়েছে এটা আতর জেনে যায়। তারপর নিজের ঘর থেকে কঙ্কাল নিয়ে সে পালিয়ে যায়। এরপর দেখাই কয়েক বছর আগের দৃশ্য। যখন গ্রামে তেমন মানুষ মরছিল না। এইজন্য ফালুর ইনকাম ভালো হচ্ছিল না। তাই একজনের বুদ্ধিতে ফালু কঙ্কাল চুরি করে বিক্রি করা শুরু করে। একদিন কঙ্কাল চুরির জন্য কবর খুড়ছিল ঐসময় গ্রামের কয়েকজন দেখে ফেলে। এবং কাকতলীয় ভাবে ঐদিনই গ্রামে একজন মারা যায় । গ্রামে প্রচার হয়ে যায় ফালু আগেই কবর খুড়ে রেখেছে। অর্থাৎ সে আগেই জানত কেউ মরবে।
নিরুপম আতর এর খোঁজ করতে থাকে। পরে রমাকান্তকামার মাস্টারের কাছ শুনে সে চলে যায় কবরস্থানে। এরপর বুঝতে পেরে নিরুপম এবং গ্রামের কয়েকজন মিলে কবর থেকে আতর কে তোলে। আতর তখনও বেঁচে ছিল। অন্যদিকে মুশকান জুবেরি নিরুপম কে ফোন করে। কারণ ততক্ষণে সে জেনে গিয়েছে নিরুপম একজন বড় অফিসার। মুশকান জুবেরি ফোন করে নিরুপম কে বলে দেখা করার জন্য। নিরুপম সেটা স্বীকার করে নেয়। এখানেই শেষ হয় এই এপিসোড টা।
এই এপিসোডের শুরুতেই দেখা যায় রাতে মুশকান জুবেরির বাড়ি চলে যায় নিরুপম। এবং মুশকান জুবেরির বাড়ির বাইরে দুইজন পুলিশের গার্ড ছিল। ভেতরে যেতেই আরেকবার মুশকান জুবেরির সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয় নিরুপম। মুশকান নিরুপম কে কফি অফার করলে সে অস্বীকার করে। এরপর নিরুপম মুশকান কে জিজ্ঞেস করে আপনি কে কোথা থেকে এসেছেন। তবে নিরুপম অনেক টাই জানত। কিন্তু মুশকান নিজে থেকে বলে ও একসময় ওরিয়েন্ট হাসপাতালে ডাক্তার হিসেবে ছিল। ওখান থেকেই পরিচয় হয় ক্যান্সার পেশেন্ট রাশেদ জুবেরির সাথে। রাশেদ জুবেরি মুশকান এর থেকে বয়সে অনেক বড় হওয়া স্বত্ত্বেও একপর্যায়ে গিয়ে দুজন বিয়ে করে। এবং মুশকান জুবেরি রাশেদ জুবেরির সাথে থাকা শুরু করে।
এরপর নিরুপম জিজ্ঞেস করে ঐদিন রাতে ঐরকম মাটি কেন খুড়ছিলেন। জবাবে মুশকান হেসে জবাব দেয়। আপনি কী মনে করছেন আমি কাউকে মেরে মাটিতে পুতে রেখেছি। পরবর্তীতে বলে আঙ্গুরের ওয়াইন তৈরি করার জন্য একটা বড় পাএে সেটা রেখে ঐখানে চাপা দিয়ে রেখেছি। ঐটা আমার রেসেপিতে লাগে। অন্যদিকে নিরুপম এর স্যার যায় ওরিয়েন্ট হাসপাতালের একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলতে যিনি মূলত মুশকান এর খুবই নিকট মানুষ এবং মাঝে মাঝে রবীন্দ্রনাথের ঐ রেস্টুরেন্টে আসতেন। একপর্যায়ে সিবিআই ঐ সিনিয়র অফিসার একটু কৌশলে ভয় দেখাই ডাক্তার কে। এবং বলে মুশকান জুবেরি সব স্বীকার করেছে এবার আপনিও বলে ফেলুন না হলে আপনার সাথে ভালো হবে না। ডাক্তার বেশ ভয় পেয়ে যায়। সে ঠিক কী করবে সেটাই চিন্তা করতে থাকে। এখানেই শেষ হয় এপিসোড টা।
ব্যক্তিগত মতামত
অবশেষে মুশকান জুবেরির সাথে কথা বলার সুযোগ পেয়েছে নিরুপম। তবে সে প্রথমেই নিখোঁজের ব্যাপারে জানতে চাইনি। সে প্রথমে মুশকান সম্পর্কে জানতে চাই। কিন্তু সে খুব সামান্যই বলে। যদিও নিরুপম সবকিছুই জানত আগে থেকে। অন্যদিকে নিরুপম এর স্যার মুশকান এর সবচাইতে ঘনিষ্ঠ ঐ ডাক্তার কে গিয়ে ধরে। ডাক্তার একপর্যায়ে ঘাবড়ে যায়। এখানেই শেষ হয় এপিসোড টা। হয়তো পরবর্তী এপিসোডে জানা যাবে হাসিব সহ কয়েকজনর নিখোঁজ হওয়ার কারণ গুলো।
অফিশিয়াল ট্রেলার
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
"রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি" সিরিজটি প্রতিটি পর্বেই নতুন রহস্য ও উত্তেজনা তৈরি করে। নিরুপমের মুশকান জুবেরির সাথে সম্পর্কের জটিলতা এবং ফালুর কঙ্কাল চুরির ঘটনা গল্পে এক অদ্ভুত দিক যোগ করেছে। মুশকানের সম্পর্কে আরও জানার চেষ্টা, সেই সাথে সিবিআই অফিসারের ভয় দেখানো, সব কিছু মিলিয়ে সিরিজটি একাধারে রোমাঞ্চকর এবং ভাবনামূলক। পরবর্তী পর্বে নিশ্চয়ই আরও অনেক অজানা রহস্য উন্মোচিত হবে।