"শেষ পাতার আলো
শরৎকালের বিকেল। গ্রামের লাইব্রেরির জানালা দিয়ে ঢুকছিল কোমল আলো। ছোট্ট মেয়ে তিথি প্রতিদিনের মতো বই খুঁজছে। তার চোখে আজ একটু বেশি উত্তেজনা—কারণ সে শুনেছে লাইব্রেরিতে নাকি একটা জাদুর বই আছে। যে বই নাকি যে কেউ পড়লে তার ইচ্ছা পূরণ হয়।
তিথি তাকের পর তাক ঘুরে অবশেষে এক পুরোনো, ধূলো জমা বই পেল। নাম— “শেষ পাতার আলো”। বইটা খুলতেই প্রথম পাতায় লেখা—
“যে সত্যিকারের ইচ্ছা মনে রাখবে, সেই আলোকে দেখবে।”
তিথি হেসে বলল, “আচ্ছা দেখি, আমার ইচ্ছা কি পূরণ হয়!”
তার ইচ্ছা খুব ছোট—ওর মা শহরে কাজ করে, তাকে অনেকদিন দেখা হয় না। মা যেন আজকে হঠাৎ চলে আসে—এই ছিল তিথির মনভরা ইচ্ছা।
বইয়ের শেষ পাতা উল্টাতেই এক টুকরো নরম আলো বেরিয়ে এসে তিথির মুখে পড়ল। সে চোখ বন্ধ করল…
আর তখনই লাইব্রেরির দরজায় কারও হাসির শব্দ।
তিথি তাকিয়ে দেখে—তার মা! ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে আছে।
“অচমকেই এসে পড়লাম রে! সারাদিন তোমার কথা মনে হচ্ছিল,” মা বলল।
তিথি বইয়ের দিকে তাকিয়ে দেখল—শেষ পাতাটি সাদা হয়ে গেছে, যেন আলোটা নিজের কাজ করে বিশ্রামে গেছে।
তিথি ধীরে বইটি বন্ধ করে ফিসফিস করে বলল—
“ধন্যবাদ, শেষ পাতার আলো।”"