বাবুর অসুস্থতা।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আমি @rahimakhatun
from Bangladesh

১৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।

৪নভেম্বর ২০২৪খ্রিস্টাব্দ ।


এখন ষড়ঋতুর হেমন্তকাল ।

462557156_3677893549190001_1990361459111585425_n.jpg

আজকে আপনাদের সাথে আমার মেয়ের অসুস্থত্যতা কথা শেয়ার করবো।আপনারা জানেন আমি বেশ কিছু দিন যাবত ইনএকটিভ ছিলাম।আসলে বাচ্চারা অসুস্থ থাকলে মায়ের মাথা ঠিক থাকে না।আমার মেয়ে এবং ছেলের আরো দুই তিন মাস ডেঙ্গু হয়েছিলো।বেশ ঝামেলা এবং টেনশনে ছিলাম।

যাই হোক সেগুলো রিকভাবি করে কেবল উঠলাম। তারপর দেখি মেয়ের আবার জ্বর সর্দি। ভেবেছিলাম হয়তো সর্দির কারনে জ্বর এসেছে, কিন্তু কিসের কি যতই দিন যাচ্ছে জ্বর এবং সর্দি বেড়েই যাচ্ছে। আস্তে আস্তে গলার স্বর ও ভেঙে গিয়েছে। কান্না করতে পারে না। কথা তো বলতে পারে না কান্নাটাই বুঝা যায় না,এই দিকে আমারও একই অবস্থা। গলা ভেঙে কথা বলতে পারি না।তারপর দেখি মেয়ের শরীরে ছোট ছোট ঘামাচি এর মত।তারপর তো টেনশন বেড়ে গিয়েছে কি করবো না করবো বুজে উঠতে পারছি না।


এই দিকে সারাক্ষন আমার কোল ছাড়া কারো কোলে যায় না।তারপর চিন্তা করলাম শিশু বিশেষজ্ঞ পরিবর্তন করবো।যেই ভাবা সেই কাজ এর আগেও ডাক্তার দেখিয়েছি জ্বর ভালো হলেও গায়ের রেশ কমেনি।যাই হোক ডাক্তার সিরিয়াল দিতে পারিনি, তবে ডাক্তারের চেম্বারে যেয়ে হাজির সেখানে যেয়ে দেখি অনেক অনেক রোগী আমাদের সিরিয়াল হবে প্রায় পঁচাওর এর মত কি আর করার বসে রইলাম কারন ডাক্তার তো দেখাতে হবে।অনেক পরে আমাদের সিরিয়াল নিলো তারপর বাচ্চার ওজন নিলো ডাক্তারের সহকারি আমার মেয়ের ওজন শুনে তো ডাক্তার অবাক পরে আবার মাপাতে বললো কারন বয়সের তুলনায় ওজন অনেক কম।


পরে দেখে একই মাপ আছে পরে ওকে দেখেই ডাক্তার বললো ওকে টেস্ট করাতে হবে। ওজন কেন বাড়ছে না জানার জন্য। যাই হোক টেস্ট গুলো লিখে দিলো। আমি ও দেরি করিনি কারন টেস্ট করার জন্য গেলাম ট্রপিকেল হাসপাতালে। সেখানে যাওয়ার পর একটু বাসতে বললো আমরা রিসিট কেটে সামনের দিকে এগুলাম।রক্ত পরীক্ষা করাবে আমি তো ভয় পাচ্ছি আমার বাচ্চা এমনি ছোট তার উপর অনেক গুলো রক্ত পরীক্ষা দিয়েছে। যাই হোক তারা একটি রুম নিয়ে গেলো সেখানে বাবুকে শুইয়ে দিলো ,আমি ভয়ে সামনে যাচ্ছি না ,তাই ওর বাবা ওকে ধরেছে আর প্যাথলজিস্ট ওর সুই দিয়ে রক্ত নিচ্ছি এই দিকে আমার বাবু কি কান্না কিন্তু রক্ত আসছে না ,তাই তারা চেপে চেপে রক্ত নিচ্ছি ওর কান্না দেখে নিজেকে সামলাতে পারছিলাম না।যাই হোক আজ এই অব্দি বাকিটুকু আপনাদের সাথে পরে একদিন শেয়ার করবো।


আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।

এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ

আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।

Banner.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht

20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Sort:  
 last year 

বাচ্চাদের বিভিন্ন সর্দি কাশি জ্বর হচ্ছে। তাই এই মুহূর্তে দেরি না করে অসুস্থতা দেখলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। আর আপনি ঠিক তেমনটাই করেছেন। বাবর সুস্থতা কামনা করি। জামাইবাবুকে দেখে শুনে রাখবেন।

 last year 

এখন প্রায় বাচ্চাদের জ্বর ঠান্ডা হচ্ছে।শুধু বাচ্চাদের নয় বড় বড় মানুষেরও জ্বর ঠান্ডার প্রবণতা অনেক বেড়ে গেছে।ঋতু পরিবর্তনের ফলে এমনটা হচ্ছে।আপনার বাবুর সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। ওষুধগুলো ঠিকমত খাওয়ান, আল্লাহর রহমতে খুব শীঘ্রই আপনার বাবু সুস্থ হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ।

 last year 

সন্তানের অসুস্থতার সত্যি নিজের কাছে খুবই দুঃখজনক বিষয়। আর এখন তো আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে এই জন্য বেশি বেশি অসুস্থ হচ্ছে বাচ্চারা। তাই সব সময় কাগজের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে এবং দেরি না করে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়াতে হবে। জয় হোক আপনার সচেতনতা দেখে ভালো লাগলো আমার, দোয়া করি বাবুর জন্য।

 last year 

ওরে বাবা এত ছোট শিশুর এত অসুস্থতা। ওর উপর দিয়ে অনেক ধকল গেল। ভীষণ কষ্ট হচ্ছে শুনে। কত মিষ্টি মিষ্টি ছোট ছোট হাত। কিন্তু সেখানে ইনজেকশন পুশ করছে। দেখে খুব কষ্ট হলো আপু। সবকিছুর পরে ওরা যে সুস্থ হয়ে উঠেছে এটাই আশীর্বাদ। সবাই সুস্থ থাকুন আপু।

 last year 

আপনার মেয়ের অসুস্থতার কথা শুনলে বেশ খারাপ লাগলো। যেহেতু ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে তাই এগুলো এখন কম বেশি দেখা যায়। তবে এখন যে কোন অসুস্থতা নিয়ে বসে থাকে ঠিক না। আপনি টেস্টগুলো করিয়েছেন। আশা করি সবকিছু ভালই আসবে। দোয়া রইল আপনার বাবুর জন্য।

 last year 

আপু আপনি এবং আপনার মেয়ে দুজনই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শুনে খুবই খারাপ লাগলো। দুজনের সুস্থতা কামনা করছি আমি। আশা করছি দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং আবারো আগের মত জীবন যাপন করবেন।