অদৃশ্য ছায়ার শহর: পর্ব ৪
নমস্কার বন্ধুরা,
রোহন বেড থেকে আঁড় চোখে ঘরে দাঁড়িয়ে থাকা চারজনকে লক্ষ্য করতে থাকলো! দু পায়ে কিছুটা বল এসেছে, মনে মনে ভাবছে সুযোগ পেলে পালানোর চেষ্টা করবে। মিনিট দশেক পর নার্সের গাউন পরনে থাকা দুজন নিজেদের মধ্যে কথা বলতে বলতে বাইরে চলে গেলো। রোহন আরেকবার বলে উঠলো,
“আমাকে কেউ বাথরুমে নিয়ে চলুন…”
বাকি দুজন কোনো প্রকার উত্তর না দিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে বলতে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো। ঘর ফাঁকা! পরিস্থিতি বুঝে রোহন কোনমতে বিছানায় বসলো, তারপর কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর চেষ্টা করলো, কিন্তু ওর পা কাঁপছে। বসতে পারলেও পায়ে যেন শক্তিই নেই। এদিকে ভয়ানক প্রস্রাব চেপেছে। উপায় না পেয়ে বিছানায় বসেই ঘরের মাঝে প্রস্রাব করে ফেললো।
সেদিকে ভাবার সময় রোহনের নেই, বাঁচা মরার লড়াই। দরজা আধখোলা। ঘরে কেউ নেই, সূবর্ণ সুযোগ! বিছানার উপরে হাতের চাপ দিয়ে পা দুটো মাটিতে দাঁড়ালো। সময় হু হু করে পেরিয়ে যাচ্ছে, এই কেউ ঘরে চলে এলো। মনে জোর নিয়ে বিছানা থেকে হাত সরিয়ে দিলো, মনে হচ্ছিল সে মাটিতে পড়ে যাবে। কিন্তু নিজেকে সামলালো, তাকে পালাতে হবে। রোহন হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে দরজার দিকে এগোতে থাকলো। প্রতি ধাপে পায়ের শক্তি অল্প অল্প ফিরে আসছিল। দরজার একদম সামনে পৌঁছে গেছে তখনই বাইরে থেকে দুজন মেয়ের গলা ভেসে আসলো। রোহন দরজার একটা পাল্লার পেছনে দাঁড়ালো।
মেয়ে দুটো ঘরে ঢুকে এলো, রোহন সুযোগ বুঝে
দুজনকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে এক ধাপে ঘরের বাইরে চলে এলো। ঘরের ক্ষীণ আলো করিডরে পৌঁছেছে কিন্তু বাইরেটা ঘুটঘুটে অন্ধকার।
অন্ধকারে দৌড়। দূর থেকে আলোর রেখা দেখতে পাচ্ছিল সেটা লক্ষ্য করেই। বুকে ধড়ফড়ানি পাশের পাড়াতেও শোনা যাবে, পায়ে বিশেষ শক্তিও নেই। কিন্তু নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য দৌড়তে থাকলো, হঠাৎ এক পাড়ার রাস্তায় এসে পৌঁছাল। রাস্তা পেয়ে এখন সে শুধু দৌড়াচ্ছে। বুকে দম নেই, শ্বাস নেই, শুধু আছে মৃত্যুভয়। তাতেই কমপক্ষে ২০ মিনিট কিংবা তারও বেশি সময় দৌড়ালো। রাস্তা যেন শেষ হয় না,
অবশেষে, কোলকাতা পৌরসভার পথবাতি। এক লহমায় পার্ক স্ট্রিটের ব্যস্ত রাস্তার আলো…
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao $PUSS



