হরর মুভি রিভিউ: "মুম্বাই ১২৫ কি.মি"
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই সুস্থ, স্বাভাবিক আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আমি আপনাদের সাথে একটা হরর মুভি রিভিউ শেয়ার করবো। এই হরর মুভিটি একটা ইন্ডিয়ান মুভি। এই মুভিটির নাম হলো "মুম্বাই ১২৫ কিলোমিটার"। এই হরর মুভিটি মূলত একটা ফ্যামিলির দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে। কাহিনীটা মোটামুটি ভালোই, তবে কিছু কিছু জায়গায় একটু ভীতিকর টাইপ এর আছে। মুভিটা যদি দেখেন তাহলে আপনারা বিষয়টা আরো ভালো বুঝতে পারবেন। আশা করি এই মুভি রিভিউটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
☬কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:☬
✔মূল কাহিনী:
কাহিনীর শুরুতে দেখা যায় একটা মেয়ে হসপিটালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় হঠাৎ স্বপ্নের মধ্যে ভয় পেয়ে চিৎকার করে ওঠে। মূলত এখানে তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে আর সেইজন্য একটু অস্বাভাবিক আচরণ করে বসে। যাইহোক এরপর তার সাথে কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো শুরু হয়। মূলত তারা কয়েকজন বন্ধু, বান্ধব মিলে একটা পার্টি তে যায় এবং সেখানে সবাই মোটামুটি বেশ মোজ-মস্তি করে। এরপর সেখান থেকে তারা সকালের দিকে সবাই গাড়িতে করে মুম্বাই এর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এরপর রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে পুলিশ রাস্তা আটকায় এবং সবাইকে গাড়ির থেকে নেমে আসতে বলে। এরপর তারা নেমে আসলে একটা মেয়ে বেশ ভালো অভিনয় করে পুলিশ কে পটানোর চেষ্টা করে এবং বলে আমাদের যেতে দিন। এরপর পুলিশ বলে তোমরা সবাই মদ খেয়ে গাড়ি চালাচ্ছ আবার ছেড়ে দেওয়ার কথা বলছো!? কত বড়ো সাজা হতে পারে তোমাদের জানো। এরপর গাড়ির থেকে আরেকটা ছেলে নেমে এসে কিছু টাকা দিলে তারপর ছেড়ে দেয়। আসলে আজকাল সমাজে এটাই হয়। যাইহোক এরপর সেখান থেকে তারা যেতে যেতে অনেক রাত হয়ে যায় এবং রাস্তাটা তখন খুবই নির্জন। আর যে রাস্তা দিয়ে তারা যাচ্ছিলো সেই রাস্তার দুই পাশে ঘন জঙ্গল মতো ছিল । এরপর যে গাড়ি চালাচ্ছিলো তার ধ্যান অন্যদিকে হঠাৎ করে চলে যায় এবং গাড়ির স্টিয়ারিং ঘুরে গিয়ে রাস্তার পাশে একটা ছোট গাছের সাথে ধাক্কা খায় আর সবাই তাকে ঝাড়ি দিতে লাগে যে কিভাবে গাড়ি চালাও, এইভাবে কেউ গাড়ি চালায়! এরপর সবাই গাড়ির থেকে বেরিয়ে আসে এবং তারা আশেপাশে কিছু একটা দেখতে লাগে। এরপর আবার তারা গাড়ি ব্যাক করে শর্টকার্ট রাস্তা ধরে মুম্বাই এর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে রাস্তার মাঝখানে তারা একটা হুইল চেয়ার দেখতে পায় এবং গাড়ির থেকে নেমে একজন সেই হুইল চেয়ার এর কাছে যায় এবং সবাইকে ভয় দেখানোর জন্য একটা মজা করে কিন্তু গাড়ির ভিতরে থাকা সবাই মনে করেছে সত্যি কিছু একটা হয়েছে এবং সাথে সাথে তারা বাইরে এসে কি হয়েছে জিজ্ঞাসা করে এবং বলে আমি জাস্ট মজা করছিলাম। কিন্তু সবাই বিরক্ত বোধ হয় ওই রাতে নির্জন রাস্তার মাঝখানে। এরপর সেই চেয়ারটিকে ছুড়ে বাইরে ফেলে দেয় এবং তারা আবার গিয়ে গাড়িতে বসে পড়ে। তবে তারা যখন গাড়ি স্টার্ট দিতে যায় তখন দেখতে পায় সেই হুইল চেয়ার আবার হঠাৎ রাস্তার মাঝে প্রকট হয়ে যায় এবং সেটা দেখে একটু ঘাবড়িয়ে যায় । এখানে হুইল চেয়ার বলতে ওই বাচ্চাদের রাখে যেসব চেয়ারে আর কি। যাইহোক এরপর তারা তাও গাড়ি জোরে চালিয়ে সেই চেয়ারটিকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায় এবং তখন বাচ্চার কান্নার স্বর শোনা যায়। এখানে এই রাস্তায় এই বাচ্চা সহ তার বাবা এবং মায়ের এক্সিডেন্ট হয়েছিল। যাইহোক এরপর তারা সামনের দিকে এগিয়ে যায় এবং হঠাৎ করে সামনে একজন লোক চলে আসে আর এসে ভয়ে ভয়ে বলতে লাগে সামনে কেউ যেও না, সামনে সবার জন্য বিপদ আছে। কিন্তু কেউ তার কোথায় তেমন গুরুত্ব দেয় না। এরপর গাড়ির থেকে তারা বেরিয়ে লোকটিকে সেই পুলিশের কোয়ার্টার মতো জায়গায় এগিয়ে দেওয়ার কথা ভাবলো। গাড়িতে জায়গা না থাকায় দুইজন বেরিয়ে সেখানে দাঁড়ালো এবং বাকি কয়জন মিলে সেখানে নিয়ে গেলো । কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখে খুবই ভয়ানক অবস্থা, সেখানে সারা জায়গায় রক্তাক্ত অবস্থা এবং ওই লোকটা বলতে লাগে যে ওকেও মেরে দিয়েছে । এরপর সেই অবস্থা দেখে সবাই ভয়ে আবার গাড়ির দিকে যায় । এরপর তারা গাড়িতে করে আবার সেই দুইজনের কাছে চলে যায় এবং তখন তাদের ফোনেও নেটওয়ার্ক চলে যায়। যে দুইজন গাড়ির থেকে নেমে জঙ্গলের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে তারা হঠাৎ করে একটা শব্দ শুনতে পায় এবং সামনে একটা বড়ো গর্ত মতো দেখতে পায়। সামনের দিকে তারা এগিয়ে যাচ্ছিলো আর তখন বাকি কয়জন এসে তাদের ডেকে নিয়ে যায়।
সেখানে জঙ্গলের পাশে তারা সবাই কিছুক্ষন সময় কাটায় এবং তারা চিন্তা করতে লাগে যে এই লোকটাকে নিয়ে কি করা যায় এখন। এরমধ্যে সামনের দিক থেকে একটা ট্যাক্সি আসতে দেখে এবং তারা ভাবে যে এই গাড়িতেই লোকটাকে ট্রান্সফার করে দেই। এই ট্যাক্সিটা কিন্তু সেই ট্যাক্সি যেটাতে এক্সিডেন্ট হয়েছিল। যাইহোক এরপর তারা সেই ট্যাক্সি দাঁড় করানোর জন্য সামনের দিকে গিয়ে দাঁড়াতে বলে কিন্তু দাঁড়ায় না। এরপর সেই ট্যাক্সির দিকে তাকিয়ে দেখে সেই পুলিশ টাকে ভীষণ খারাপ অবস্থায় মেরে ফেলে দিয়ে যায় তাদের সামনে। এরপর তারা ওই পুলিশ অফিসারের ফোন দিয়ে অন্যান্য পুলিশ অফিসারকে ইনফর্ম করার চেষ্টা করে কিন্তু সেই ফোনে হাত দেওয়ার সাথে সাথে অদ্ভুত শব্দ বের হয় আর তারা সাথে সাথে সেটিকে ফেলে দেয়। এরপর তাদের গাড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে সেই লোকটাও নেই। এরপর জঙ্গলের ভিতর থেকে কিছুক্ষন আওয়াজ আসতে লাগে এবং তারা ভাবে এটা সেই লোকের আওয়াজ। ওখানে তাদের মধ্যে একজন অসম্ভব ভয় পায় এবং দ্রুত সেখান থেকে যেতে বলে। এরপর তারা গাড়িতে করে সামনের দিকে যেতে লাগে কিন্তু একজন গাড়ি থামাতে বলে এবং বাইরে বেরিয়ে আসে সবাই আর তাকে জিজ্ঞাসা করে কি সমস্যা। তখন বলে আমরা যখন চলতে শুরু করেছিলাম তখন থেকে মুম্বাই যাওয়ার রাস্তা মাত্র ১ ঘন্টার ছিল কিন্তু ১ ঘন্টা ধরে গাড়ি চালানোর পরেও আমরা আবারো সেই জায়গায় অর্থাৎ তারা সেই মুম্বাই ১২৫ কিলোমিটার পোস্টারের কাছে। এটা দেখে সবাই অত্যন্ত ভয়ভীতি হয়ে যায়। আর সেখানে সেই একটা মেয়ের আত্মা গাছের উপরে বসে থাকে। এরপর তারা আবার গাড়িতে চলা শুরু করে এবং যে গাড়ি চালাচ্ছিলো সে ওই মেয়ের আত্মাকে কাঁচের ভিতর দিয়ে জঙ্গলের ভিতরে হেঁটে যেতে দেখে এবং সাথে সাথে গাড়ি থামিয়ে তাদের সেইটা বলে কিন্তু কেউ বিশ্বাস করে না এবং এই নিয়ে তাদের মধ্যে একটু কথা কাটাকাটি হয়। এরপর সেই আত্মাটি তাদের গাড়ির সামনে চলে আসে এবং গাড়ির দরোজায় চড়াতে থাকে বিনা কথা বলে। এরপর গাড়ির থেকে দুইজন নেমে যায় এবং সেই আত্মা মতো দেখতে মেয়েকে গাড়িতে তুলে হাসপাতাল এর দিকে নিয়ে যেতে লাগে। এরপর যেতে যেতে জঙ্গলের মধ্যে একটা পুরানো বাড়ি দেখতে পায় আর তারা গাড়ি নামিয়ে সেই বাড়ির ভিতরে যায়। এরপর সেখানে কাউকে তারা পায় না, একপ্রপকার আজব জায়গা মতো দেখতে। গাড়িতে সেই মহিলাকে আর একটা ছেলে থাকে এবং ছেলেটি তাকে জিজ্ঞাসা করে আপনার কোলে এটা ছেলে না মেয়ে। তখন তার হাতে দিয়ে দেয় এবং বলে এ মারা গিয়েছে এবং তখন তার চিল্লানো এরা দুইজন শুনতে পায় আর দৌড়িয়ে সেখানে চলে যায়।
গাড়ির কাছে গিয়ে তাদের কাউকেই দেখতে পায় না এবং তখনি তারা গাড়ি স্পিডে চালিয়ে তাদের দুইজনের কাছে চলে যায় এবং তাদের কাছে গিয়ে ঘটনাটা বলে। এরপর সামনের দিক থেকে আবার সেই ট্যাক্সি আসতে লাগে এবং গাড়ির পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখতে পায় সেই লোকটাকে এবং তারা ট্যাক্সির পিছনে দৌড়ায়। এরপর তারা আবার ফিরে এসে গাড়িতে উঠে সেই ট্যাক্সিকে ধরার জন্য স্পিডে যায় কিন্তু যেতে যেতে তাদের গাড়ির চাকার সামনে সেই লোকটা পড়ে অর্থাৎ তাকে মেরে সেখানে ফেলে দিয়ে যায়। এরপর সবাই এসে তাকে ডাকে এবং শোকাহত হয়ে পড়ে। আর সেই আত্মা মেয়েটি তাদের পাশে একটা স্থানে দাঁড়িয়ে থাকে কিন্তু দেখতে পায় না। এরপর তারা আবার গাড়িতে করে সামনের দিকে যেতে লাগে কিন্তু তারা গাড়ি দাঁড় করিয়ে বলে রাস্তা শেষ হওয়ার নামই নিছে না আর এদিকে পেট্রোলও শেষ হওয়ার পথে। আর বেশিদূর যাবে না, বড়োজর ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত গাড়ি চলবে। এরপর তারা ভাবে জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাবে আর এইজন্য তাদের মধ্যে দুইজন জঙ্গলের মধ্যে রাস্তা দেখার জন্য যায়। তবে তাদের মধ্যে একটা পুরানো ইস্যু নিয়ে ঝগড়া বাধে এবং মারামারি হয়। এরপর তারা দুইজন আলাদা হয়ে যায় জঙ্গলের মধ্যে এবং একজন জঙ্গলের মধ্যে হাটতে হাটতে সামনের দিকে যায় । এরপর সেই আত্মা দেখতে মেয়েটিকে দেখতে পায় এবং তার পিছনে পিছনে যেতে যেতে একটা ঘরের মধ্যে চলে যায়। এরপর সেই ঘরের মধ্যে আজব আজব শব্দও হতে লাগে। সিঁড়ি দিয়ে যখন সে উপরের দিকে উঠতে লাগে তখন সেই আত্মা তার সামনে চলে আসে এবং সে ভয় পেয়ে পিছনে জলের মধ্যে পড়ে যায়। এরপর সেই আত্মা তাকে ধরে নিয়ে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে যায় এবং তাকে একটা বড়ো কাঠের ভাঙা গুঁড়ির গায়ে ধাক্কা দিয়ে দেয় আর সেই হুল মতো গুঁড়িটা তার পেটের মধ্যে চলে যায় আর সে মারা যায়। এরপর বাকি কয়জন তাদের খুঁজতে এলে উপরের থেকে রক্ত পড়ার শব্দ শুনতে পেয়ে উপরের দিকে তাকায় এবং রক্ত দেখতে পায়। এরপর সেই ট্যাক্সিটা তাকে নিয়ে আবার তার সঙ্গীদের সামনে ফেলে দিয়ে যায়। এই নিয়ে তাদের দুইজনকে মেরে ফেলে।
এরপর সেই হসপিটালে দেখা যায় মেয়েটি সেই আত্মা মেয়েটির ছবি আঁকতে লাগে এবং এক নার্স কে জিজ্ঞাসা করে একে চেনে কিনা। তারপর বলে চিনি, এর নাম পুনম। এরপর অনেক রাতের দিকে হসপিটালের অনেকগুলো ফাইল এর মধ্যে তাদের ফাইলটা পায় এবং সেই এডড্রেসটা নিয়ে নেয়। এরপর সেই এডড্রেসে একটা ট্যাক্সি করে চলে যায়। এরপর আবার পুনরায় সেই ঘটনার কাহিনীতে চলে আসে। তারা তাদের দুইজনের দেহটাকে গাড়িতে করে নিয়ে সামনের দিকে এগোতে লাগে এবং সবাই তাদের শোকে ভেঙে পড়ে। এরপর যেতে যেতে গাড়ির পেট্রোল শেষ হয়ে যায় এবং পিছনে বসে থাকা একটা মেয়ে ভয় পেয়ে গাড়ির থেকে নেমে যায় এবং তারা দুইজন বেরিয়ে দেখে সেই মেয়েটাও উধাও হয়ে যায়। এরপর পুনরায় আবার সেই ট্যাক্সি এসে মেয়েটিকে ফেলে চলে যায়। এরপর সেখানে আরেকটা ছেলে ঐরকম রেগে গিয়ে তাকে মারার জন্য বন্দুক নিয়ে জঙ্গলের ভিতরে একটা কবরস্থানে চলে যায় এবং সেখানে তার সব বন্ধুদের দেখতে পায় আর পিছনে সেই আত্মা কে দেখতে পায়। এরপর তাকেও তারা মেরে ফেলে। এক এক করে সবাইকে মেরে ফেলে এবং একটা মেয়ে বেঁচে থাকে। এরপর আবার এই মেয়েটিই হাসপাতাল থেকে ঠিকানা নিয়ে সেই বাড়িতে গিয়েছিলো অর্থাৎ যাদের এক্সিডেন্ট হয়েছিল। তাদের বাড়িটাও ছিল অনেক বড়ো বাগান বাড়ির মতো। সে বাড়ির ভিতরে যেতেই সেই আত্মা মেয়েটিকে দেখতে পায় এবং তার পিছন পিছন উপরের দিকে চলে যায়। কিন্তু তাকে দেখতে পায় না তখন সেখানে তার মায়ের সাথে দেখা হয়ে যায় এবং পুরো ঘটনাটা তাকে খুলে বলে যে কিভাবে কি হয়েছিল। এরপর বলার পরে সে যখন তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে তাহলে আমাকে কেন ছেড়ে দিয়েছিলো। তখন বলে যে তুমি প্রেগনেন্ট ছিলে তাই তোমাকে মারেনি। আর এই কথা শোনার পরে সে যখন আবার হসপিটালের দিকে যাচ্ছিলো তখন তার বাবা ফোন করে বলে যে তোমার এবোরশন করানো হয়েছে। এরপর তার সাথে সেই অঘটন ঘটলো অর্থাৎ তখন সেই মেয়ের আত্মা চলে আসে তার সামনে আর তাকে মেরে ফেলার জন্য ধরে ধরে এদিকে ওদিকে ছুড়ে দেয়। এরপর নিচে পড়ে থাকা একটা কাইচি তার অলৌকিক শক্তির দ্বারা চড়কির মতো বন বন করে ঘুরাতে লাগে এবং অবশেষে তার গলা কেটে ফেলে।
✔ব্যক্তিগত মতামত:
এই মুভিটি হরর হলেও এর কাহিনীটা আমার কাছে মোটামুটি ভালোই লেগেছে। এই মুভিটির লাস্টের দিকে থ্রিলার মুড বেশি। মূলত এই মুভিতে যে ঘটনাটা ঘটেছিলো সেটা হলো তাদের এক্সিডেন্ট হয়েছিল এদেরই গাড়ি ভুলভাবে চালানোর কারণে। আর তাদের এই ভুলের সাজাটাও পেয়েছে সবাই এক এক করে। হরর মুভিটি যেরকম হওয়ার দরকার সেই হিসেবে ভালো ইন্টারেষ্টিং আছে। আপনারাও যদি দেখে থাকেন মনে হয় ভালোই লাগবে আপনাদের কাছে।
✔ব্যক্তিগত রেটিং:
৫/১০
মুভির ট্রেইলার ভিডিও লিঙ্ক:








দাদা হরর, অ্যাডভেঞ্চার থ্রিলার মুভি গুলো সব সময় আমার পছন্দের তালিকায় থাকে ।তবে আজ আপনি যে হরর মুভি রিভিউ করেছেন সেটি আমি আগে কখনো দেখি নাই। তবে আপনার রিভিউটি পড়ে মনে হল সত্যি হরর থ্রিলার মুভি স্বাদ পাওয়া যাবে ।খুব শীঘ্রই মুভিটি দেখব আপনি। অনেক সুন্দর মুভি রিভিউ করেছেন। দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার মতো এগুলোও আমার খুব পছন্দের। বিশেষ করে এখন আমি বেশিরভাগ সময় হরর মুভি দেখি। রাতের দিকে দেখে আমি বেশ মজা পাই। এই মুভিটি আমি এই নিয়ে ৩ বার দেখেছি, মুভিটি অনেক ভালো । সাউন্ডগুলো সেই লাগে হেডফোন খাটিয়ে দেখলে। যাইহোক সময় করে দেখবেন। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
হরর মুভি দেখতেই কেমন যেনো ভয় একটু বেশিই লাগে আমার। তাই জন্য আমি হরর মুভি খুব কম ই দেখি। তবে কেও যখন রিভিউ লিখে তখন আর না পড়ে আমি থাকতেই পারিনা। যেহেতু রিভিউটি গল্প আকারে লিখা থাকে সেহেতু পড়তে খুব বেশি ভালো লাগে। কারণ আমি গল্প পড়তে অনেক বেশি ভালোবাসি।
আমি কিন্তু বেশ মজা পাই দেখে। হেডফোনে সাউন্ড মারাত্মক লাগে। হ্যা এটা ঠিক আসলে মুভি বলুন আর বই রিভিউ বলুন সবই গল্প আকারে থাকে। গল্প আকারে যেকোনো বিষয় পড়তে অনেক ভালো লাগে। আর আমার এইসব মুভি আকারে গল্পগুলো লিখে তুলে ধরতে অনেক ভালো লাগে।
ভাই রিভিউ দেয়ার আর কিছু পেলেন না, এমনিতেই ভয়ে বাঁচি না তার উপর আবার হরর মুভি, আমি কিন্তু নাই এখানে।
কি যে বলেন না! আমিতো এইসব রাতে মাঝে মাঝে দেখে বেশ মজা নেই। আপনি ভয় পান এইজন্য আপনাকে বেশি করে হরর সিন দেখাবো ভাবছি 😄।
এই ধরনের হরর মুভিগুলো আমাকে ভালো লাগে।আপনার পোস্ট করা মুভি রিভিউটি পড়ে ভালোি লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আপনি রিভিউটি সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং পড়ে যে আপনার ভালো লেগেছে তার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ওয়াও দাদা আপনি দারুন লিখেন ,আপনি হুবুহ লিখেছেন , আমি এই মুভি টি দেখেছি ,অনেক সুন্দর কাহিনী ছিল আর অনেক ভয়ানক , পরোটা কাহিনী রাস্তায় ঘটে গেছে , তারা এক এক করতে করতে সবাইকে হারিয়েছে। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে মুভি টি। আপনিও দাদা খুবই সুন্দর করে লিখেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
হ্যা এই মুভির পুরো কাহিনী মুম্বাই এর রাস্তার উপরে ঘটে গেছে। এই মুভিটি আমি ৩ বার দেখেছি আর কাহিনী মুখস্ত হয়ে গেছে একপ্রকার। সব থেকে বড়ো কথা রাতে হেডফোনে হরর সাউন্ডটা বেশ মজার ছিল শুনতে। যাক আপনি মুভিটা দেখেছেন আর বিষয়টা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামতের জন্য।
দাদা,আমি এই মুভিটি দেখেছি খুবই ভয়ানক একটি মুভি। সবচেয়ে বেশি ভয়ানক লেগেছে যখন গাড়ির সামনে একটি লোক এসে হঠাৎ দাড়িয়ে যায় এই অংশটি আমার খুবই ভয় লেগেছিলো।
কারণ হঠাৎ করে যদি সামনে কোন কিছু এসে যায় দেখলে স্বাভাবিক সবার ভয় লাগবে।দাদা, এমনি তে আমি একটু ভীতু টাইপের এইসব ছবি আমি দেখতে চাই না। তারপরও মাঝেমধ্যে সবাই যখন থাকে তখন আমি এই ছবিগুলো দেখি। ধন্যবাদ দাদা,এত সুন্দর একটি মুভি রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
গাড়ির সামনে হঠাৎ করে যে লোকটা আসে মূলত ওই লোকটা হলো ওই মেয়ের স্বামী। এরা সবাই একসাথে এক্সিডেন্ট করে মারা গিয়েছিলো ওই রোডে । আপনি যদি হরর সিন্ সপ্তাহখানিক দেখেন তাহলে এই ভয়টা কেটে যাবে এক সময়। ধন্যবাদ মুভির রিভিউটি আর দেখে এতো ভালো মন্তব্য করার জন্য।
হরর মুভি আমার অনেক বেশি পছন্দের।
এইজন্য আমি প্রায় সময় ভুতের মুভি গুলো বেশি দেখি কিন্তু রাতে ভুতের মুভি আমার খুব একটা দেখা হয় না। আজকে হঠাৎ রাতে দুইটা বাজে আপনার মুভি রিভিউ চোখে পড়ল এবং পড়ে ফেললাম এখন আমার নিজেরই ভয় লাগতেছে।
আমারও অনেক ভালো লাগে হরর মুভিগুলো দেখতে। আমিতো সময় পেলে রাতের দিকে দেখি। দেখেননি তাই ভয় লাগছে আপনার, দেখলেতো ঘুমাতে পারতেন না। রাতে সাউন্ড শুনেই ঠান্ডা হয়ে যেতে হয়, আমিও হয়ে গেছিলাম। যাইহোক আপনি মুভি রিভিউটি পড়েছেন তার জন্য ধন্যবাদ।