শীতকালে বাবার সাথে খেজুরের রস খাইতে যাওয়ার অনুভূতি //পর্ব-২

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago

আসসালামুআলাইকুম/আদাব

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @alif111, বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


শীতকালে চারোদিকে খেজুরের রসের মিষ্টি গন্ধে মন যেন পাগল হয়ে যায়। আর এই খেজুরের রস খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। যার কারণে শীতকাল আসলেই বাবার সাথে খেজুরের রস খেতে গিয়েছিলাম, সেই স্মৃতিময় মুহূর্তে যেন মনে পড়ে যায়। আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ছিলাম। বাবার সাথে মোটরসাইকেলে করে খেজুর রস খেতে যাওয়ার স্মৃতিময় গল্প। আশা করছি আজকের এই পর্বটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। আসলে বাবার সাথে আমি প্রথমবার খেজুর রস খেতে গিয়েছিলাম। ভোরবেলা কুয়াশার মধ্যে। সেই দিনের মুহূর্তগুলো যেন আমার স্মৃতির পাতায় রয়ে গেছে। আপনাদের মাঝে এই স্মৃতিময় গল্পটি শেয়ার করতে পেরে আমার ভালো লাগে।


father-and-son-8828819_1280.jpg


তোর বাবার সাথে যখন আমি মোটরসাইকেল করে খেজুর রস খেতে যাচ্ছিলাম। রাস্তার ভিতরে মোটরসাইকেল থামিয়ে আমরা আগুন জ্বালিয়ে কিছুক্ষণ সেখানে আগুন তাপালাম। আবারও আমরা খেজুরের রস খাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল করে যাচ্ছিলাম। বাবাকে বললাম আর কত সময় লাগবে বাবা বলল যে 15 থেকে 20 মিনিট লাগবে। তারপরে আমরা সেই খেজুরের রস বাগানে চলে আসলাম। আসলে উল্লাপাড়াতে বিশাল বড় খেজুরের বাগান রয়েছে। এইখানেই খেজুরের রস খাওয়ার জন্য হাজার হাজার মানুষ দূর দূরান্ত থেকে আসে। তারা গাছে উঠে চোখের সামনে খেজুরের রস গুলো পেড়ে দেয় এবং এখানে খেজুরের গুড় তৈরি করা হয়। আমরা যখন আসলাম তখন আমাদের বসতে দিল এবং গাছে উঠে খেজুরের হাড়ি পারলো।আসলে খেজুর গাছে তারা সুন্দর সুন্দর হাঁড়ি বেঁধে দিয়েছে। এই হাঁড়িগুলোর মধ্যে খেজুরের রস টপ করে পরতো।


তারপরে আমাদের গ্লাসে করে খেজুরের রস দেওয়া হলো, বাবা একসাথে তিন গ্লাস খেজুর রস খেলো। আমি এক গ্লাসি খেতে পারলাম না। আসলে খেজুরের রস আমি এভাবে খেতে পারি না। জ্বাল দিয়ে ঘন করে দিলে আমি খেতে পারি। যার কারণে আমি খুব একটা বেশি খেলাম না। তবে বাবা খেয়ে অনেক প্রশংসা করল। তারপরে বাবা বলল যে তারা এই খেজুরের রস দিয়ে গুড় বানিয়ে নিয়ে যাবে। আসলে এখানকার গুড় অনেক ভালো মানের। যার কারণে আমাদের চোখের সামনেই খেজুরের রসগুলো তারা জ্বাল দেওয়া শুরু করে দিল। রস জ্বাল দিয়ে দিয়ে ঘন করে গুড় তৈরি করা হয়। সেটা আমি চোখে সামনে দেখলাম। আমার সত্যিই অবাক লেগেছে এই খেজুরের রস দিয়ে গুড় বানানোর দৃশ্য দেখে।


তারা খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে হুড় বানাতে লাগলো, আমি এই দৃশ্য চোখের সামনে দেখলাম। এভাবে কখনো আমি গুড় বানানোর দৃশ্য দেখিনি। যার কারণে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো। আসলে খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে যখন ঘনত্ব হয় তখন আমাকে খেতে দিয়েছিলো। সেই ঘনত্বের খেজুরের রসের গুড়ের খাবার যে মজা হয়, সেটা সত্যিই অসাধারণ ছিল। সেটা যেন এখন আমার জীবের সাথে লেগেই রয়েছে। এই খেজুরের রসের চাটনি যেন আর এখন পাওয়া যায় না। তবে সেটার যে মজা লেগেছিল সেটা আমি কোনদিন ভুলবো না।


তারপরে আমাদের খেজুরের রস দিয়ে গুড় বানানো হয়ে গেল। বাবা অনেকগুলো গুড় বাড়ির জন্য নিল এবং বোতলের মধ্যে খেজুরের রস নিয়ে নিয়ে নিলো। বাড়ির সবাইকে খাওয়াবে বলে। তাই আমরা সেখান থেকে আবার মোটরসাইকেল করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। তো বন্ধুরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার সময় পথের ভিতরে এক দুর্ঘটনা ঘটেছিলো সেই অংশটুকু আপনাদের সাথে আগামী পর্বে শেয়ার করবে ইনশাআল্লাহ।

banner-abbVD-1.png

আমার পরিচয়

IMG-20240117-WA0007.jpg
আমার নাম মোঃআলিফ আহমেদ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের একজন ছাত্র। আমি ছোট বেলা থেকেই আর্ট করতে পছন্দ করি।তাই অংকন করতে আমার খুব ভালো লাগে।তাই আমি সময় পেলেই বিভিন্ন চিত্র অংকন করি।বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করতে ও ফটোগ্রাফি করতে আমার খুবি ভালো লাগে।🌼💖🌼

সবার প্রতি শুভেচ্ছা রইল এবং আমার পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।🌹🌻

Sort:  
 3 months ago 

GridArt_20241209_190848738.jpg

 3 months ago 

বাবার সঙ্গে খেজুর রস খাওয়ার স্মৃতি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। এমন স্মৃতি কোনদিন ভোলা যায় না। খেজুর গাছ থেকে গুড় বানানো দেখেছেন এটাও একটা বড় ব্যাপার। তবে এক জায়গায় গুড় - হুর হয়ে গেছে। কয়েকটি বানান দেখে নেবেন। বাকি সমস্ত দিক থেকে স্মৃতিচারণটি দারুণ।

 3 months ago 

শীতকালে বাবার সাথে খেজুর রস খাওয়ার খুব সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার লেখা গল্পটি পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। আপনার গল্পের মাঝে মাঝে কিছু বানান ভুল আছে আশা করি ঠিক করে নিবেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি স্মৃতিচারণ গল্প শেয়ার করার জন্য।