গল্প :- বাবা তুমি কেমন। (প্রথম পর্ব )

in আমার বাংলা ব্লগ2 days ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

IMG_20251216_195954.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বাবা তুমি কেমন বাস্তবে একটি গল্প। ছেলেমেয়েদের বড়ই পরিচয় হতে বাবার পরিচয়। আর এই বাবা যদি সঠিক না হয় তাহলে ছেলে মেয়েদের জন্যই তো বিপদে। আর কিছু কিছু মা বাবা এরকমই আছে। তাদের ভুলের কারণে ছেলে-মেয়ে গুলো কষ্ট করতে হয়। আর একসময় ছেলেমেয়েগুলো এই মা-বাবাকে পরিচয় দেয় না। আমার শ্বশুর বাড়ির এক আত্মীয়র ঘটনা। যদিও ঘটনাটি আমি আমার শাশুড়ির মুখ থেকে শুনেছি। আমার শ্বশুরবাড়ির একটি মেয়ে অনেক বছর আগে তাকে দিয়ে দিলেন। এবং তার বিয়ে হয়েছে অনেক দূরে আর ভালো ফ্যামিলি দেখে তাকে বিয়ে দিলেন তার মা-বাবা।

আর ওই মহিলার নাম হচ্ছে সালেহা। সালেহা কিন্তু দেখতে খুব সুন্দর এবং তার মা-বাবার অনেক টাকা পয়সা আছে। বিয়ের পর থেকে সালেহা অনেক সুখী এবং তার কোন কিছু কমতি নেই। এবং তাদের ঘরে একটি ছেলে একটি মেয়ে হয়েছে। বলতে গেলে সুখী পরিবার ছেলে মেয়ে দুইজন আর মা-বাবা। আর সালেহার হাসবেন্ড খুব সুন্দর করে কথা বলে মানুষকে দেখলেই ইজ্জত করে। হঠাৎ করে সালেহার হাসবেন্ড কিছু না বলে কোথায় চলে গেল। হয়তো অনেকে ধারণা করেছে হারিয়ে গিয়েছে। আর নয়তো বা তার ওয়াইফের সাথে কোন না কোন ব্যাপারে ঝগড়া হয়ে কোথাও চলে গেল। এদিকে সালেহা তার ছেলে মেয়ে দুইজন নিয়ে বাবার বাড়িতে বেশিরভাগ সময় থাকতেন।

কারণ হাজবেন্ডের বাড়িতে ছোট ছেলে মেয়ে নিয়ে থাকা তার জন্য কষ্টকর। কারণ বাবা থাকলে ইনকাম করবে এবং পরিবারের খরচ চালাবে। বাবার নাই বিধায় সালেহা ছেলেমেয়ে দুজন নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকেন বেশিরভাগ সময় ধরে। আর তার বাবার কিন্তু অনেক টাকা পয়সা আছে সালেহার। তবে সালেহার হাজবেন্ডের ও মোটামুটি জায়গা সম্পত্তিও আছে। এভাবে সালেহার দিন যাচ্ছিল বাবার বাড়িতে কখনও বা স্বামীর বাড়িতে থেকে। আর সালেহার মা-বাবা ভাই সবাই তাকে অনেক খোঁজা খুজি করেছে। কোথাও তাকে খুঁজে ফেলো না। যদিও এই ঘটনা আরো বিগত ২০ বছর আগের ঘটনা।

আর এভাবে যেতে যেতে প্রায় দশ বছর পরে সালে আর হাজবেন্ড বাড়িতে ফিরলেন। এবং ১০ বছর কোথায় ছিল সেটি সবাই ভুলে গেছে। এবং সেই বাড়িতে আসলো এই কারণে বাড়ির সবাই অনেক খুশি হয়ে গেছে। যদিও এই ১০ বছর সে কারো সাথে যোগাযোগ করে নাই কোথায় ছিল সেই কথাও বলে নাই। শুধু এই কথা বলেছে সে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল বিধায় কোথায় ছিল সেই জানেন না। আর এই কথা কিন্তু পরিবারের সবাই বিশ্বাস করে যে। কারণ সে বিয়ের আগে খুব ভদ্র একদম মানুষ ছিল বিদায় সবাই তার কথাকে বিশ্বাস করেছে। আর এই দশ বছরে তার মা-বাবা দুনিয়া থেকে চলে গেল।

মা-বাবাকে দেখেও নাই তার খোঁজখবরও সেই নেই নাই। আর সালেহার হাসবেন্ড যখন বাড়িতে আসলো খুব সুন্দর করে পরিবারের সাথে মিলেমিশে চলতে লাগলো। ছেলে মেয়ে দুইজনকে সে অনেক আদর করত আসার পর। এবং যেদিকে যেতে ছেলেমেয়ে দুজনকে সাথে নিয়ে যেতেন। যদিও ওই সময় ছেলেমেয়ে দুইজন বড় হয়েছে। ওই সময় ছেলের বয়স ১৩ থেকে ১৪ বছর হবে। আর মেয়ের বয়স ১২ বছরের মতই হবে। আর তাদের বাবা আসার কারণে তারা কিন্তু অনেক খুশি হয়েছে। হঠাৎ করে একদিন সে বলতে লাগলো সেই বসুরহাট বাজারে যাবে। এ কথা বলে বাড়ি থেকে সেই বাইর হলো। বাইির হওয়ার পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া গেল না। আজ এ পর্যন্ত আশা করি আজকের পর্ব আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। পরবর্তীতে পরের পর্ব নিয়ে হাজির হব। (চলবে)

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
Loading...

Congratulations!

Your post has been manually upvoted by the SteemPro team! 🚀

upvoted.png

This is an automated message.

💪 Let's strengthen the Steem ecosystem together!

🟩 Vote for witness faisalamin

https://steemitwallet.com/~witnesses
https://www.steempro.com/witnesses#faisalamin