গল্প :- জন্ম দিলে বাবা হওয়া যায় না।

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বাস্তব একটি গল্প। কিছু কিছু বাবা আছে তারা ছেলে মেয়ের কাছে নামমাত্র বাবা। কারণ জন্ম দিলে বাবা হওয়া যায় না এটা অনেকে বলে। আর সেরকম একটি ঘটনা আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আমাদের পাশে একটি পরিবার আছে। পরিবারে দুটি মেয়ে এবং একটি ছেলে আছে। আর ছোটকাল থেকে মা বাবা তিনটি ছেলে-মেয়েকে মানুষ করার চেষ্টা করেছে। আর ছেলেটি তাদের পরিবারের বড় এবং মেয়ে দুটি হচ্ছে পরিবারের ছোট। আর ছেলেটির নাম হচ্ছে সাইমন। সাইমন একটু দুষ্টামি একটু বেশি করে এবং মানুষের সাথে মজাও করে বেশি। তবে এখানে কথা আছে ছেলে মেয়ে তিনটি তার দুই পরিবারের ছেলে-মেয়ে।

সাইমন যখন জন্মগ্রহণ করল কিছু বছর যাওয়ার পর তার মা মারা গেল। এবং তার মা মারা যাওয়ার পর তার বাবা আবার নতুন করে বিয়ে করলেন। আর ওই সংসারে তার দুটি মেয়ে হয়েছে। সাইমন তার বোন জনকে অনেক আদর করতে। এবং বোন দুই জনও সাইমনকে অনেক সম্মান করতেন বড় ভাই তাই। আর সাইমন সৎ মা কখনো সাইমনকে আপন ভাবেন নাই। আর তার মা যখন দুনিয়া থেকে চলে গেল তখন সাইমন এর জীবন অন্ধকার আসলো। আর সৎ মা আসার পর থেকে তো তার কপালে দুঃখ আরো বেড়ে গেল। আর ওই সময় তার বাবা তাকে দেখতে পারতেন না। অল্প কিছু হলে সাইমনকে মারধর করতেন।

আর সাইমন এর সৎ মা যে কথা বলে ওই কথা তার বাবা বিশ্বাস করে। যদি বলে সাইমন খাওয়া-দাওয়া করে ঘর থেকে বাইরে গেল তখন তার বাবা ওই কথাই বিশ্বাস করতেন। কখনো ছেলেকে জিজ্ঞেস করতেন না সে খাওয়া-দাওয়া করেছে কিনা। আর বর্তমানে ছেলে-মেয়ে সবাই বড় হয়ে গেল। সাইমন বিয়ে করেছেন তার সৎ বোন দুজনের বিয়ে হয়েছে। আপ সাইমন বিয়ে করার পর থেকে তার বাবা তাকে বাড়িতে জাগা দিতে নাই। সেই বাহিরে তার ওয়াইফ কে নিয়ে থাকতেন। এদিকে বোন দুজন বিয়ে হওয়ার পর তার মা বলতে লাগলো তাদেরকে একটু খেয়াল রাখার জন্য। আর বিগত কয়েক মাস আগে জানতে পারলো তার বাবার সম্পত্তিগুলো তার দুই মেয়ের নামে দিয়ে দিলেন।

তবে বাবা এখনো জীবিত আছে। তবে তার বাবা সাইমন এর কথা একবারও চিন্তা করলেন না। সাইমন এর সৎ মায়ের কথা ধরে জায়গা সম্পত্তি বাড়ি দুই মেয়ের নামে দিয়ে দিলেন। আর এদিকে সাইমন অসহায় অসহায় রয়ে গেল। কারণ বাবার একটু ভুলের কারণে সায়মন এর জীবন অন্ধকার হয়ে গেল। তবে ইচ্ছা করলে বাবা সম্পত্তিগুলো তিন ছেলে মেয়ের নামে দিতে পারতেন। কিন্তু বাবা এই কথা চিন্তা করে নাই মা মরা ছেলেটিকে সেই কোন সম্পত্তি দিলেন না। তবে অনেকে বলে মা মারা গেলে সৎ মা কখনো আপন হয় না। আর সেটাই দেখতে পেলাম সাইমন এর জীবনে। তবে সাইমন তার বাবাকে জিজ্ঞেস করলেন কেন এই কাজ করলো।

আর আত্মীয়-স্বজন এলাকার লোক গুলো তার বাবাকে এই কথা জিজ্ঞেস করলেন। তার বাবা বলতে লাগলো তার সম্পত্তি সেই যাকে মন চায় তাকে দেবে। তখন তাকে আরও জিজ্ঞেস করা হলো তার ছেলের জীবন অন্ধকার বাবা হিসেবে কি করলেন। আর বাবা এই নিয়ে কথা বলতে রাজি না। আসলে কিছু কিছু বাবা আছে তারা জন্ম দিলে বাবা হওয়া যায় না। এবং সাইমন এর বাবা সেরকম একজন লোক হয়েছেন। নিজের সম্পত্তিগুলো দুই মেয়ের নাম দিয়ে দিলেন। ছেলের কথা একবারও ভাবলেন না। আর এরকম বাবা গুলোকে অনেকে সম্মান করে না। এই হচ্ছে বাস্তব একটি গল্প। আশা করি আমার এই পোস্ট পড়ে আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

ধন্যবাদ সবাইকে