গল্প :- বাবা তুমি কেমন। (শেষ পর্ব )

in আমার বাংলা ব্লগ2 days ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

IMG_20251216_195954.jpg

এর আগে আমি এই গল্পের প্রথম পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। তাই আজকে আবার পরের পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। এবং খোঁজাখুঁজির ফর তাকে কোথাও আর খুঁজে পেল না। আগের মতো সে যেন কোথায় হারিয়ে গেল। আর বাড়িতে আসার পর ৬ মাস পর সে আবার হারিয়ে যাওয়ার পর সবাই কিছু অনুমান করল। বলতে লাগলো ইতি তার মনের দুষ্টামি। হয়তো বা সে কোথাও গিয়ে নতুন করে বিয়ে করেছে। নয়তো বা সেই তার ওয়াইফ এবং পরিবার পছন্দ করে না বিদায় কোথায় চলে গেল। তবে এই নিয়ে কিন্তু নানার কৌতুহল সৃষ্টি হল। তার ওয়াইফ বলতে লাগলো সে বাড়িতে আসার পর সবার সাথে সুন্দর কথা বলল তার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি দেখি নাই। আমার সাথে খুব সুন্দর কথা বললেন এবং সুন্দরভাবে চলাফেরা করলেন।

এভাবে কয়েক মাস যাওয়ার পর তার জায়গা সম্পত্তি গুলো দেখতে লাগলো অন্যজনের চাষ করতে লাগলেন। তখন সালেহা তাদেরকে জিজ্ঞেস করল আমাদের সম্পত্তি আপনারা চাষ করতে লাগলেন কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করেন নাই। আর ওই সময় বাড়ির আশেপাশের লোকগুলো বলতে লাগলো এই জায়গা সম্পত্তিগুলো তোমার হাজবেন্ড আসার পর ৬ মাসের মধ্যে এগুলো বিক্রি করে কাগজপত্র পর্যন্ত সেই করে দিল। এই কথা শোনার পর সালেহার মাথার উপর আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। কারণ বাড়ি ছাড়া বাইরে জায়গা সম্পত্তি গুলো সে ওয়াইফ এবং ছেলে মেয়েকে না জানিয়ে মানুষের কাছে বিক্রি করে টাকাগুলো নিয়ে গেল।

যদিও সালেহা প্রথমে এই কথা বিশ্বাস করে নাই। পরবর্তীতে এলাকার লোকের কাছে গেলে থানা পর্যন্ত গেলেন। গিয়ে দেখে সত্যি জায়গা সম্পত্তিগুলো তাদের কাছে বিক্রি করে দিলেন এবং তাদেরকে কাগজপত্র পর্যন্ত বানিয়ে দিলেন। আর এতে করে বুঝা যায় সালেহার হাজবেন্ড কোথাও বিয়ে করেছে বিদায়। বাড়িতে এসে সুন্দর অভিনয় করে এদের সাথে চলে এদের জায়গা সম্পত্তি গুলো না জানিয়ে বিক্রি করে টাকা নিয়ে গেলেন। যদিও সম্পত্তির সালে আর হাসবেন্ডের তবুও ছেলে মেয়ের কথা সে একবারও চিন্তা করে নাই। কারণ তার দুটো ছেলে মেয়ে কোথায় যাবে কার কাছে যাবে কেমন থাকবে এই কথা একবারও সেই ভাবে নেই।

তার নিষ্ঠুরতা কিন্তু শুনে অনেকে হতবাক হয়ে গেলেন। এরপর কিন্তু সালেহার হাসবেন্ডকে খোঁজার জন্য তার বাবা অনেক চেষ্টা করেছে এবং অনেক জায়গায় গিয়ে খুঁজলেন। কোথাও খুঁজে পেলেন না তাকে। তবে ছেলে মেয়ে দুইজন কিভাবে চলবে এই কথা শেষ কিন্তু চিন্তা করে নাই। তাহলে আর হাজব্যান্ড নিজের সুখের জন্য ছেলেমেয়েদের জীবন নষ্ট করেছে। একবারও তাদের কথা ভাবে নাই তারা কিভাবে চলবে বাবা ছাড়া। শুধু বাড়ির যে ঘর আছে ওই জায়গাটি বিক্রি করে নাই আর সব সম্পত্তি সেই বাড়ির আশেপাশের লোকদের কাছে বিক্রি করেছে। যদিও বাড়ে অনেক লোক জানতো কেউ কখনো তার ওয়াইফ ছেলেমেয়েকে বলে নাই।

আর যে যেভাবে পারলেন জায়গাগুলো কিনে নিলেন কম দামে। সেই থেকে সালেহার হাজবেন্ডকে এখনো পর্যন্ত আর খুঁজে পাওয়া গেল না। জীবিত আছে না মারা গেছে তাও কেউ জানে না। তবে এখনো সালেহা ছেলে মেয়ে দুইজন নিয়ে আছে স্বামীর বিটাতে। শুধুমাত্র ছেলে-মেয়েদের সুখের কথা ভেবে সে হাসবেন্ডের বাড়ির উপরে এখনো রইল। যদিও তার ছেলে এখন বড় হয়েছে সেই ইনকাম করে। আর এক বছর আগে তার মেয়েকে সে বিয়ে দিলেন। ছেলে মেয়ে দুইজন এখন বাবার কথা একদম শুনতে পারে না। তারা বলে এরকম বাবা আমাদের কোন প্রয়োজন নেই। কারণ যে বাবা ছেলে মেয়ের কথা চিন্তা করে নাই। ঐরকম বাবাকে পরিচয় দেওয়া ঠিক না। এই হচ্ছে নিষ্ঠুর এক বাবার জীবন কাহিনী।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
Loading...

Congratulations!

Your post has been manually upvoted by the SteemPro team! 🚀

upvoted.png

This is an automated message.

💪 Let's strengthen the Steem ecosystem together!

🟩 Vote for witness faisalamin

https://steemitwallet.com/~witnesses
https://www.steempro.com/witnesses#faisalamin