গল্প :- এই পৃথিবীতে কাউকে বিশ্বাস করতে নেই।

in আমার বাংলা ব্লগlast month

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


sculpture-3611519_1280.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বাস্তব একটি জীবন কাহিনী। এই পৃথিবীতে কাউকে বিশ্বাস করতে নেই। কারণ এই পৃথিবীতে বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস এর মর্যাদা দিতে পারে না। আর বিশ্বাসের মর্যাদা যদি না দেওয়াই যায় তখন দিনে দিনে বিশ্বাস হারিয়ে যায়। তবুও মানুষ কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছু না কিছু বিশ্বাস করে। এরকম কিছু ঘটনা আছে মানুষ যখন বিশ্বাস করে ওই মানুষ সেই বিশ্বাস নষ্ট করে। আমাদের এইখানে একই বাড়ি দুইটি ছেলে-মেয়ে তারা ছোটকাল থেকে একজনকে একজন ভালবাসতেন। শুনেছি তাদের প্রেম নাকি স্কুল জীবন থেকে হয়েছে। তবে এই ভালোবাসার মধ্যে প্রতারণা খুঁজে পাওয়া গেল।

কারণ স্বার্থের কারণে মানুষ ভালবাসা করে অনেক সময় তা বুঝা যায় না। আর স্বার্থের কারণে যারা ভালোবাসা করে তারা কিন্তু মানুষকে ছোট করে। আমাদের এইখানে যখন ছেলে মেয়ে দুইজন প্রেম করলো। হয়তোবা প্রথমে কেউ তেমন বুঝতে পারে নাই। আর মেয়েটির বাবা ছিল টাকা পয়সা ওয়ালা এবং প্রভাবশালী লোক। আর ছেলেটি ছিল নরমাল ফ্যামিলির একটি ছেলে। মেয়েটির নাম হচ্ছে রিনা। আর রিনাকে ভালোবেসেই গেলেন গ্রামের এক শহর সরল ছেলে। অনেকে বলে প্রেমে ধনী গরিব মানে না। তবে এখানে ধনী-গরীবের কারণে প্রেমের বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো। ছেলেটির নাম হচ্ছে ইমন। খুব শান্ত এবং ভালো একজন ছেলে ছিল।

ছেলেটির বাবা গ্রামে চাষা বাস করে এবং ছেলেকে লেখাপড়া করাচ্ছে। অন্যদিকে মেয়েটি বড়লোকের মেয়ে সুখে শান্তিতে পরিবারে বড় হয়েছে। তবে আস্তে আস্তে তাদের দুজনের প্রেমের কথা পরিবারের লোক গুলো জানতে ভালো। যদিও ওই সময় দুইজন কলেজে পড়ালেখা করতেন। তবে মেয়েটির বাবা মুখে খুব সুন্দর করে কথা বলে তার ভিতরে নাকি মানুষটি অনেক ভয়ঙ্কর। এই কথা অনেকে বলেছে হয়তোবা ইমন সেই কথা বিশ্বাস করতে পারে নাই। আর ছেলেটিকে দেখলে মেয়েটির বাবা খুব সুন্দর করে কথা বলে। তবে এইখানে মিষ্টি কথা ছেলেটিকে অনেক মনোবল দিয়েছে। আর মেয়েটি কিন্তু ছেলেটিকে ভালবাসলেও বাবার কারণে একটু পিছুটান ছিল।

তবে ছেলেটি ওই সময় বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে অনেকের ছেলে-মেয়ে পড়াতেন। একদিন রাত্রেবেলা যখন ছেলেটি আসতে লাগলো বাড়িতে। তখন ছেলেটিকে রাত্রেবেলা কে বা কারা এমনভাবে মারধর করল তার একটি হাত একটি পা ভেঙে দিলেন। আর ছেলেটি ওইখানে পরে রইল। পরে কিন্তু অজ্ঞান অবস্থা ছেলেটিকে ওইখানে পাওয়া গেল। এবং তাড়াতাড়ি করে ছেলেটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেল এলাকার লোকগুলো। আর ছেলেটির বাবা গরিব বিদায় ছেলেটিকে ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারেন না ও সময়। পরবর্তীতে এলাকা লোকদের হেল্প নিয়ে ছেলের চিকিৎসা করালেন। ছেলেটি অনেকদিন পর্যন্ত ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারে নাই।

যদিও প্রথম ছেলেটি তাকে কে মারল কাউকে বলে নাই। এবং সুস্থ হওয়ার পর ছেলেটি আস্তে আস্তে বলতে লাগলো কে তাকে মারলেন। পরবর্তীতে জানা গেল রিনার বাবা লোক দিয়ে ঈমানকে মারালেন। যদিও এই কথা এমন মার খাওয়ার পর বললেন। তবে মেয়েটির বাবা ইচ্ছা করলে ছেলের বাবার কাছে বিচার দিতে পারতেন। আর এভাবে ছেলেটিকে মারধর না করলেও পারতো। আর ছেলেটি মার খাওয়ার পরও প্রতিবাদ করতে পারে নাই। কারণ রিনার বাবা এতই ভয়ংকর কথা বললে আবারও বিপদে পড়বে। আর এই কারণে ভালবাসা করতে হলেও বুঝে শুনে করা দরকার। যদিও এখন তাদের মধ্যে কোন প্রেম এবং ভালোবাসা নেই। এই কারণে ভালবাসতে হলে চিন্তা-ভাবনা করা দরকার। আর সবাইকে কিন্তু বিশ্বাস করা যায় না।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  

Congratulations!

Your post has been manually upvoted by the SteemPro team! 🚀

upvoted.png

This is an automated message.

💪 Let's strengthen the Steem ecosystem together!

🟩 Vote for witness faisalamin

https://steemitwallet.com/~witnesses
https://www.steempro.com/witnesses#faisalamin

 last month 

আপু পৃথিবীটা স্বার্থে ভরা। আর কিছু মানুষ আসলে ভয়ংকর । তবে এভাবে ছেলেটিকে না,মারলেও পারত।বেশ মজার ঘটনা।সত্যি কাউকে বিশ্বাস করা উচিত নয় । ধন্যবাদ আপু

 last month 

আপু আপনি খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। আসলে বিশ্বাস বলতে জিনিসটা তার কেউ মূল্যায়ন করতে পারে না।আর সবাইকে বিশ্বাস করতেও নেই। তবে আপনার পোস্টে কাহিনি টি পড়ে সব কিছু বুঝতে পারলাম।ধন্যবাদ এতো সুন্দর ভাবে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।