গল্প :- সবার সাথে বন্ধুত্ব করা যায় না ।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব সবার সাথে বন্ধুত্ব করা যায় না। কারণ অনেক মানুষ আছে বন্ধুত্বর মর্ম বোঝেনা। আর বন্ধুত্ব কি জিনিস তারা সেটাই বুঝতে চায় না। স্বার্থের কারণে অনেক মানুষ আছে সাময়িক বন্ধুত্ব করে। আর স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে বন্ধুত্ব থাকে না। কিছু মানুষ আছে স্বার্থের জন্য মানুষের সাথে খুব আন্তরিকতা দেখায়। আর যখন স্বার্থ চলে যাবে তখন সে আপনাকে আর চিনবে না। এরকম মন মানসিকতা কিছু মানুষ আছে। আমাদের এইখানে রাসেল নামে একটি ছেলের সাথে এলাকার একটি ছেলে বন্ধুত্ব করেছে। যদিও রাসেল প্রথম তার সাথে বন্ধুত্ব করে নাই দূরত্ব বজায় রেখেছে।

আর ওই ছেলেটি সব সময় রাসেলের সাথে যোগাযোগ করে এবং রাসুলদের বাড়িতে আসে। এবং এভাবে আসতে আসতে রাসেলের সাথে তার বন্ধুত্ব হয়ে গেল। আর বন্ধুত্ব হয়ে যাওয়ার পর দুইজন একসাথে সব সময় চলাফেরা করতেন। আর ওই ছেলেটির নাম হচ্ছে মিজান। বলতে গেলে এক সময় তারা দুইজন ভালো বন্ধু হয়ে গেল। এবং একজনের বাড়িতে একজন সব সময় আসা-যাওয়া করতো। আর রাসেল মনে করলো তার প্রিয় একজন বন্ধু পেয়েছেন সেই। তবে রাসেলের একটি ছোট বোন আছে রাসেল থেকে বয়সে দুই বছরের ছোট। আর রাসেলের বন্ধুর লক্ষ্য ছিল রাসেলের বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করা।

আর রাসেলের বন্ধু মিজান সবসময় রাসেলদের বাড়িতে আসার কারণে। মিজান রাসেলের বোন এর সাথে কথা বলতো। এবং যে সময় রাসেল বাড়িতে থাকত না ওই সময় মিজান বাড়িতে আসতে রাসেলের খোঁজ করার জন্য। এভাবে আসতে আসতে রাসেলের বোনের সাথে মিজানের প্রেম হয়ে গেল। যদিও ব্যাপারটি প্রথমে কেউ বোঝে নাই। আর রাসেলের বাবা থাকে বিদেশ বিদায় মা বাড়িতে তেমন খেয়াল করে নাই। এভাবে কিছু মাস যাওয়ার পর হঠাৎ করে মিজান রাসেলের বোনকে নিয়ে পালিয়ে গেলেন। এদিকে মিজানদের ফ্যামিলি টাকা পয়সা দিয়ে সব দিক থেকে রাসেলদের থেকেও উপরে।

তবে রাসেলের বোনকে যখন মিজান নিয়ে বিয়ে করে ফেলেছেন তখন। রাসেলকে সবাই দোষারোপ করতে লাগলো তার কারণে মিজান তাদের বাড়িতে আসতেন। আর বন্ধুর কারণে রাসেল বাড়ি এবং পরিবারের কাছে বকাঝকা শুনতে লাগল। এদিকে মিজানের ফ্যামিলি রাসেলের বোনকে কখনো বউ হিসেবে মেনে নেবে না। তারা বলে দিল মিজানকে রাসেলের বোনকে যেন সে ডিভোর্স দেয়। তারা বউ হিসেবে তাকে মানবে না। রাসেল ওই সময় মিজানকে কিছু বলতেও পারলো না। কারণ একদিকে বোন অন্যদিকে বন্ধু। আর মিজান প্রথমে রাসেলের বোন রুপা কে নিয়ে সংসার বাধার চেষ্টা করলেন।

আর এইভাবে কিছু মাস যাওয়ার পর মিজান পরিবারের কথায় শুনে রাসেল এবং রুপাকে ডিভোর্স দিয়ে দিলেন। তবে মিজান কিছু মাস রুপাকে নিয়ে সংসার করেছে। একদিকে মিজানদের পরিবারের টাকা পয়সা আছে। অন্যদিকে রাসেলের পরিবারের টাকা পয়সা কম। এই কারণে মিজান এবং রুপার প্রেমের সম্পর্কের বিয়ে ভেঙে গেল। তবে এখন রাসেল মানুষের কাছে পরিবারের কাছে ছোট। অনেকে বলে এমন বন্ধুত্ব তুমি করেছো মিজানের সাথে সে তোমার ক্ষতি করেছে। সবাই কিন্তু বন্ধুত্বর মর্ম বোঝেনা। এবং অনেকে বলে রাসেলের কারণে মিজান এখানে আসতে আসতে তার বোনের সাথে প্রেম করলো। আর লাস্ট পর্যন্ত মিজান তার বন্ধুর এই মর্যাদা দিল। আশা করি আমার এই গল্প পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।