মা-বাবা সন্তানের উপর ভরসা।(শেষ পর্ব)

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।

কিছুদিন আগে যখন বাবার সাথে খারাপ ব্যবহার করলে তখন অনেকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। বাড়ির সামনে সবাইকে সে আজে বাজে কথা বলতে লাগলো। যদিও আমি ওই সময় ওইখানে উপস্থিত ছিলাম। তার কথার কারণে মানুষ তাকে কিছুই বলল না। এবং বাড়ির এক লোক বলতে লাগলো যে কথা বলে তার সাথে সে খারাপ ব্যবহার করে। যখন বাবাকে সবার সামনে অপমান করল। এবং বাবার সাথে ঝগড়া করার পরের দিন বাবা। দোকান থেকে বিষ এনে খেয়ে ফেললেন। বিদ্য বয়সে এসে বাবা ছেলের অত্যাচারে বিষ পান করেছেন। তবে পরিবারের কেউ বুঝতে পারে নাই। কারণ কাওসারের মা অসুস্থ আর তার ওয়াইফ ঠিকমত খেয়াল করে না।

সকালবেলা ছোট ছেলে আসলো মা-বাবাকে দেখতে। যদিও তাদের দুই ভাইয়ের ঘর আলাদা আলাদা ভিদাই বড় ভাইয়ের ঘরে আসলেন দেখতে। তখন দেখে বাবা শুয়ে আছে। তাকে ডাকার পরও কথা বলতেছে না পরের ছেলেটি দেখতে লাগলো সে কথা বলতেছে না এবং মুখ হাত সব কিরকম হয়ে গেল। সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তার চিকিৎসা করলেন এবং ওয়াশ করলেন। তারপর তাড়াতাড়ি ফেনী হাসপাতালে পাঠিয়ে দিলেন। বলতে লাগলো তার অবস্থা খুবই খারাপ সে বাঁচে কিনা মরে কেউ জানে না। ছোট ছেলে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে এখনো পর্যন্ত তার চিকিৎসা করাতে লাগলো।

আর বড় ছেলে এখনো বাড়িতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মা-বাবাকে গালাগালি করে। এবং তাদের সাথে যারা কথা বলছে তাদেরকে নিয়েও আজেবাজে কথা বলতে লাগলো। আর বড় ছেলে এখনো পর্যন্ত তার বাবাকে দেখতে হাসপাতালে যাই নাই। এবং বড় ছেলের অত্যাচারে তাদের পরিবারের সবাই অতিষ্ঠ। তবে কাওসারের বাবা পড়ালেখা করেছেন এবং সে একজন আলেম মানুষ। এখন বাড়ির মধ্যে অনেকে বলতে লাগলো সে কাউসারের অত্যাচারে বিষ পান করেছে। কাউসার ঠিকমতো তাদেরকে দেখাশুনা করে না বরং বাবা ও মায়ের গায়ে হাত তুলে। আর লোকটি আলেম মানুষ বিধায় কাউকে শরমে কথা বলে না। ছেলে তাকে অত্যাচার করে এই কথা।

আর লোকটি দুই-তিন দিন হাসপাতালে থেকে যখন সুস্থ হয়ে বাড়িতে আসলো। তখন ছোট ছেলের ঘরে উঠলেন। আর বন্ধু যেন ছোট ভাইয়ের বাসায় উঠলেন। থেকে বড় ভাই কাউসার ছোট ভাইকে গালাগালি করতে লাগলো এবং তাকে মারার জন্য চেষ্টা করতে লাগলো। বলতে লাগলো বাবাকে চিকিৎসা করাবেন এবং তার জায়গা সম্পত্তি গুলো ছোট ভাই নিয়ে নেবে। এই কথা কাওসার সবাইকে বলতে লাগলো। তবে কাউসার কারো কথা শুনেনা এবং তাকে কেউ কিছু বললে সে উল্টো ভাবে কথা বলে। আর এরকম লোকগুলোর সাথে কথা বলতে গেল নিজের মান ইজ্জত থাকে না।

তবে কাওসারের চাচা এবং জ্যাঠা আছে তারাও পর্যন্ত তার সাথে কথা বলে না। কারণ তারা বলে তার সাথে কথা বললে তাদের মান ইজ্জত নষ্ট হয়ে যাবে। কারণ সে সবার সামনে আজে বাজে কথা বলে। আর তার কথাগুলো শুনলে এমনিতে তার সাথে কথা বলতে মন চায় না। তবে কাউসার এর ভুলের কারণে তার মার অবস্থা অনেক খারাপ। এখন বাবার অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে গেল। বলতে গেলে মা-বাবা দুইজন কাউসার এর কাছে এখন বোঝা হয়ে গেল। কিন্তু বাবা-মা চাইল ছেলের কাছে আশ্রয় এবং সুন্দরভাবে চলার জন্য। ছেলে এখন সবার সামনে মা বাবার গায়ে হাত তুলে এবং অত্যাচার করে। এরকম সন্তান গুলো সত্যিই মা-বাবার জন্য অনেক কষ্টকর। আশা করি আমার এই পোস্ট পড়ে বাস্তব কিছু কথা জানতে পারবেন।