গল্প—আদুরি....
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আজকের নতুন ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করব। আমি আপনাদের মাঝে সবসময় সত্য কাহিনী শেয়ার করার চেষ্টা করি। তাহলে চলুন গল্পটি শুরু করি —
পরপর তিন ভাইয়ের জন্মের পর এক দম্পতির কোল জুড়ে আসলো একটি কন্যা সন্তান। আদর করে নাম রাখল তার আদুরি। আদুরি মেয়েটা যেহেতু তিন ভাইয়ের পরে জন্মগ্রহণ করেছে তাই তার বাবা-মায়ের কাছে সে খুবই আহ্লাদী ছিলো। আদুরি মেয়েটি ছিল দেখতে খুবই সুন্দরী। বড় হওয়ার সাথে সাথে তার জন্য অনেক বিয়ের প্রস্তাব আসতে থাকলো। একদিন একটি ছেলেকে আদুরির বাবা-মা এবং তার বড় তিন ভাইয়ের অনেক বেশি পছন্দ হয়ে গেল পাত্র হিসেবে। সে ছিল মূলত একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। ছেলেটি দেখতে অনেক সুন্দর এবং মার্জিত ব্যবহার। যেহেতু তাদের বাড়ি গ্রামে তাই অল্প বয়সেই আদুরির বাবা-মা তাকে বিয়ে দিয়ে দিতে বাধ্য হল।
আদুরির বিয়ে হয়ে যায় একটি মাদ্রাসা শিক্ষকের সাথে। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর জানতে পারে ছেলেটি কোন মাদ্রাসার শিক্ষক নয়। সে ঢাকায় একটি মাদ্রাসায় ইমামতি করেন।বিয়ের আগে আদুরির বাবা মাকে মিথ্যা কথা বলে আদুরিকে বিয়ে করেছিলেন। এটা জানার পর আদুরিরর বাবা-মা এবং আদুরি খুবই কষ্ট পান। কিন্তু পরে যখন শুনল যে ছেলেটি মসজিদে ইমামতি করে এবং ইসলামিক দৃষ্টিতে খুবই সম্মানজনক একটি কাজ তাই তারা আদুরির স্বামীকে ক্ষমা করে দিলেন। প্রথম দিক থেকেই ভালোভাবে আদুরির সংসার চলছিল। কিন্তু দিন যত যাচ্ছিল ততই আদুরির শ্বশুর বাড়ির লোকদের আসল চেহারা বের হয়ে আসছিল। বিয়ের এক বছর হতে না হতেই তাদের কোলজুড়ে একটি ছেলে সন্তান আসলো। আদুরির স্বামী ঢাকাতে থাকতো এবং আদুরি তার শ্বশুরবাড়িতে থাকতো। আদুরির শাশুড়ি, ননদরা এবং তার জা রা তার সাথে খুবই বাজে ব্যবহার করত।
তাদের এসব অত্যাচার আদুরি মুখ বুজে সহ্য করতো। আদুরির স্বামী যখন বাড়িতে আসতো তখন আদুরির শাশুড়ি এবং ননদরা মিলে আদুরির নামে তার স্বামীর কাছে বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা অপবাদ দিত। যার ফলে আদুরির স্বামী আদরীকে অনেক মারধর এবং বকাঝকা করত। আদুরি এসব অত্যাচার খুব কষ্টে সহ্য করে তার স্বামী সংসার করে যাচ্ছিল। আদুরির শ্বশুরবাড়ি থেকে পাওয়া এসব অত্যাচার আদুরির বাবা-মা জানতে পারে এবং খুবই কষ্ট পায়। তারা যতটা সম্ভব আদুরির সংসার সুন্দর মত গুছিয়ে দিতে থাকে যাতে আদুরি তার শ্বশুরবাড়িতে শান্তিতে থাকতে পারে। তারপরও কোন কাজ হচ্ছিল না দিনের পর দিন স্বামী, শাশুড়ি, ননদের হাতে মার খেয়ে দিন পার করতো।
চলবে...!!
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আদুরী গল্পটার প্রথম পর্ব পড়তে তো আমার কাছে ভালোই লাগছিল, কিন্তু শেষের দিকটা পড়ে খুব খারাপ লেগেছে। মেয়েদেরকে অথবা ছেলেদের কে বিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করাটা একেবারেই উচিত না। বয়স তো আর শেষ হয়ে যাচ্ছে না। তাই আসতে ধীরে দেখেশুনে তারপর তাদেরকে বিয়ে দেওয়া উচিত। আদুরীর বাবা মা ভাইয়েরা তাকে বিয়ে দিলেও, তার শ্বশুরবাড়ির এবং স্বামীকে এরকম আচরণ দেখে তো সত্যি খুব খারাপ লেগেছে। তার গায়ে হাত পর্যন্ত তুলত তারা এটা ভাবতেই খারাপ লাগছে। তাদের উচিত ছিল মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সবকিছু ভালোভাবে দেখে শুনে নেওয়া। যাই হোক দেখা যাক এখন কি হয় পরবর্তীতে।
ঠিক বলেছেন আপু, ছেলে হোক কিংবা মেয়ে কারোরই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য বেশি তাড়াহুড়ো করা একদমই উচিত নয়।
বাবা মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান আদুরীর সত্যিই ভীষণ কষ্ট। প্রথমত স্বামী তো তাকে মিথ্যে বলে বিয়ে করছে এখন আবার পরিবারের সবাই মিলে মানসিকও শাররীক নির্যাতন করছে আদুরীকে। সব মিলিয়ে আদুরীর বেশ ভালোই অশান্তির সংসার অশান্তির জীবন পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
জ্বী আপু, আদুরি তার শ্বশুরবাড়িতে ভীষণভাবে মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন সহ্য করছে।
আপনার লেখা আদুরী গল্পটার প্রথম পর্ব পড়ে আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে। মেয়েটার জীবনটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে এরকম একটা ফ্যামিলিতে বিয়ে হয়। এতকিছুর পরেও সে এই ফ্যামিলিতে থাকতেছে এটা ভাবতেই অন্যরকম লাগছে। সবকিছু মেনে নিয়ে সংসার করছে। কিন্তু তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এতটাই নিষ্ঠুর এবং খারাপ মানুষ যে, তাকে সংসার করতে দিচ্ছে না। এরকম মানুষদের সাথে একসময় অনেক খারাপ কিছু হয়। মেয়েটাকে সব সময় তার হাজবেন্ড মারে এটা সত্যি খারাপ বিষয়।
জ্বী ভাইয়া,,,গল্পটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।