শীতের সকালে ভাপা পিঠার উষ্ণ আনন্দ
গল্প
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
শীতের দিন মানেই কুয়াশায় মোড়া সকাল, হালকা রোদের ছোঁয়া আর মন ভরানো কিছু মুহূর্ত। এমনই এক শীতের সকালে বন্ধুদের সাথে কাটানো ভাপা পিঠা খাওয়ার স্মৃতিটা আজও মনে পড়লে হৃদয় ভরে যায়। চারদিকে শিশির ভেজা বাতাস, শীতের মৃদু কামড় আর তার মাঝেই বন্ধুদের আড্ডা,সব মিলিয়ে যেন এক অনন্য আনন্দের ছবি।
সকালটা শুরু হয়েছিল খুব ভোরে। গ্রামের পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে আমরা সবাই এক বন্ধুর বাড়িতে জড়ো হলাম। উঠোনে তখনই জ্বালানো হয়েছে চুলা, আর হাঁড়ির ভেতর থেকে ভেসে আসছে ভাপা পিঠার মিষ্টি গন্ধ। চালের গুঁড়া, নারকেল আর গুড় মিশিয়ে বানানো সেই পিঠা তৈরির দৃশ্যই যেন আমাদের শীতের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দিল। কেউ চাল গুঁড়া ছেঁকছে, কেউ নারকেল কুরোচ্ছে, আবার কেউ গুড় ভাঙছে,সবাই মিলে যেন এক আনন্দময় কর্মযজ্ঞ।ভাপা পিঠা বানানোর সময়টুকু ছিল সবচেয়ে সুন্দর। চুলার আগুনের উষ্ণতায় শীত যেন একটু কমে এল। হাঁড়ির ঢাকনা খুলতেই সাদা ধোঁয়ার সাথে সাথে ছড়িয়ে পড়ল পিঠার ঘ্রাণ। আমরা সবাই অপেক্ষায় ছিলাম কখন পিঠা তৈরি হবে। বন্ধুরা মিলে হাসি-ঠাট্টা, গল্প আর পুরোনো স্মৃতিচারণে সময় কেটে যাচ্ছিল টেরই পাইনি।
অবশেষে যখন ভাপা পিঠা পরিবেশন করা হলো, তখন মনে হচ্ছিল এই স্বাদ যেন শুধু জিভে নয়, হৃদয়েও লেগে আছে। গরম গরম পিঠার ভেতরের নারকেল আর গুড়ের মিশ্রণ মুখে দিতেই এক অপার্থিব সুখ অনুভব করলাম। শীতের সকালে বন্ধুদের সাথে একসাথে বসে ভাপা পিঠা খাওয়ার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। কেউ মজা করে বলছিল, এই পিঠার স্বাদ শহরে আর পাওয়া যায় না, আবার কেউ বলছিল, এটাই তো শীতের আসল আনন্দ।
খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে চায়ের কাপে চুমুক, আড্ডা আর হাসিতে ভরে উঠেছিল পুরো উঠোন। সেই মুহূর্তে মনে হচ্ছিল, জীবনের সব ব্যস্ততা যেন হারিয়ে গেছে। শুধু আছে বন্ধুত্ব, উষ্ণতা আর শীতের দিনের এই সহজ আনন্দ।দিন শেষে যখন সবাই যার যার পথে ফিরে গেলাম, তখন মনে হচ্ছিল এই স্মৃতিগুলোই আমাদের জীবনের আসল সম্পদ। শীতের দিনে বন্ধুদের সাথে ভাপা পিঠা খাওয়ার সেই আনন্দময় মুহূর্ত আজও মনে গেঁথে আছে, যা বারবার মনে পড়লে মন ভরে যায় আর ঠোঁটে হাসি ফুটে ওঠে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।
👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

.jpg)

