ভাগ করো,শাসন করো

in আমার বাংলা ব্লগlast year
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও ভাল আছি।আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি ছোট গল্প।

pexels-jimbear-2454785.jpg
সোর্স

বিশাল একটি শহর ইউটোপিয়া। এখানে যারা বাশ করে তারা কিন্তু মানুষ নয়।তারা পিপড়া। সব ধরনের পিপড়া এখানে শান্তিতে বসবাস করে। শহরের নাগরিকরা শান্তিপ্রিয়। তাই পুলিশদের বেশি খাটতে হয়না।শহরের মেয়র অপটিমাস সাধাসিধা ভদ্রলোক।তার মনে রাজনৈতিক প্যাচগোজ নেই। শহরের মানুষের শান্তি আর শহরের উন্নতি তার একমাত্র উদ্দেশ্য।

এজন্য শহরের সব পিঁপড়াই তাকে পছন্দ করে। তাকে শ্রদ্ধাও করে। পরপর তিনবার তাকে মেয়র নির্বাচিত করেছে। কিন্তু একটা শহরের সব মানুষ যে ভাল হবে তা তো না। এই শহরের ই একজন ডিসেপ্টিকন। সে অপটিমাস এর প্রতিদ্বন্দী। তার সমর্থক কম,তাছাড়া তার কর্মকান্ড প্রশ্নবিদ্ধ।তাই শহরের লোকজন তাকে নির্বাচিত করে নি।

এজন্য দিনদিন অপটিমাস এর প্রতি তার ক্ষোভ বাড়তে থাকে। আর ক্ষমতায় যাওয়ার ইচ্ছা তার প্রবল হয়ে ওঠে। এজন্য সে ভাবতে থাকে কি করা যায়।যতক্ষণ পর্যন্ত সবাই একত্রিত থাকবে ততক্ষণ তার ক্ষমতায় আসা হবে না।এজন্য সে একটি প্ল্যান করে। সে খেয়াল করে দেখে ইউটোপিয়ার অধিকাংশ পিপড়াই শ্রমিক শ্রেণীর।

তখন সে ভাবে যেকোন ভাবে এই শ্রমিক পিপড়া দের ক্ষেপিয়ে তুলতে হবে।তারপর তাদের নেতা হয়ে গেলেই আমাকে আর ঠেকায় কে। যেই ভাবা সেই কাজ। তখন সে তার সমর্থকদের ঢুকিয়ে দেয় শ্রমিকদের মাঝে। সেই সমর্থকদের কাজ ছিল শ্রমিকদের বুঝানো,যে তারা সবাই সব থেকে বেশি মেহনত করে। তাদের ছাড়া সমাজ অচল,অথচ তাদের গরমে কষ্ট করতে হয়,রোদে ভিজতে হয়।

আর উপর মহলেই লোকজন কোন মেহনত করে না,এসি ঘরে বসে থাকে অথচ সমাজে তাদের দামই বেশি। প্রতিনিয়ত এমন কথা শুনতে শুনতে একদিন শ্রমিকরা ঠিকই ভেবে বসে আরে সত্যই তো। তারা আস্তে আস্তে বিদ্রোহ করতে শুরু করে। আর এর মাঝে ঐ যে ব্রেন ওয়াশ এর দায়িত্বপাওয়া শ্রমিকরা এই শ্রমিকদের বোঝাতে থাকে ডিসেপ্টিকন ই পারে এই সিস্টেম চেঞ্জ করতে।

এভাবে শ্রমিকদের অজান্তেই করাপ্ট একজন তাদের নেতা হয়ে বসল। তারপর আস্তে আস্তে সে পুরো শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং তার ইচ্চামত দূর্ণিতী চালাতে থাকে।চারদিকে নেমে আসে নৈরাজ্য। বিরোধীদলের প্রতিটি নেতাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ইউটোপিয়ার সুখ শান্তি ধুলোয় মিশে যায়।সক্ষম পিপড়া,জ্ঞানী পিপড়া অন্য শহরে চলে যায়।

ইউটোপিয়া জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়তে থাকে, সঠিক ম্যানেজমেন্ট এর অভাবে কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেল। শ্রমিকরা হয়ে পড়ল বেকার। পেটের দায়ে জড়িয়ে পড়ল নানা অপরাধে।ফলে ইউটোপিয়া হয়ে উঠল ধংসপুরী।

গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক।বাস্তবের সাথে কোন মিল নেই।

আজকের পর্ব এপর্যন্তই। গল্পটি কেমন লাগল জানাবেন।ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।
Sort:  
 last year 

Screenshot_2024-11-29-23-25-48-910_com.android.chrome.jpg

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 
 last year 

Screenshot_2024-11-29-23-30-30-708_com.android.chrome.jpg

 last year 

এটা সৃষ্টির শুরু থেকেই ভাই। একদল অসাধু মানুষ সবসময় তৃণমূল পর্যায়ের মানুষদের ব‍্যবহার করে অরাজকতা তৈরি করে এবং পরবর্তীতে করে ক্ষমতা দখল। আর তার পরে কী হয় সেটা তো আপনি নিজেই বললেন। এটা কোন গল্প না এটা যেন বাস্তবতা। সুন্দর লিখেছেন আপনি।

 last year 

ধন্যবাদ ভাই৷ উৎসাহ পেলাম আপনার মন্তব্য থেকে।