1000 DAYS OF STEEM— THE DIARY GAME : 10/10/2020
আজকে ঘুম থেকে উঠেছি সকাল ৮টায়। সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছিলো। আবহাওয়া ঠান্ডা ছিল। তাই ঘুম থেকে ঠিক সময় জাগনাও পাইনি। ফজরের নামাজও কাজা হয়েছে।
আমার গাছের ফুল
বিছানা থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করি। তারপর মুখ ধুয়ে নেই। তারপর লেবু পানি খাই। আজকে আর গাছে পানি দিতে হয় নাই। বৃষ্টির পানি ছাদ ভরে গেছে। ছাদের পানি পরার জায়গা গুলো গাছের পাতার ময়লা দিয়ে বন্দ হয়ে গেছে তাই। আমি ছাদে গিয়ে পানি পরার জায়গা গুলো পরিস্কার করে দেই।
তারপরে আস্তে আস্তে সব পানি পরে যায়। নিচে এসে গোসল সেরে ফজরের নামাজ কাজা পড়ে নেই। তারপরে সকালে নাস্তা করি রুটি সবজি ও পায়েস দিয়ে। তারপর চা খেয়ে দোকান যাওয়ার জন্য তৈরি হই। ততক্ষণে বৃষ্টি থেমে গেছে ছাতা নিয়ে দোকান যাই। জাবেদ আসবেনা ওর জ্বর হয়েছে। ফয়সাল এর আসতে দেরি হয়। তাই দোকান খুলে ঝাড়ু দিয়ে মোছা মুছি করি। তার পরে কাজে হাত দেই। ততক্ষণে ফয়সাল আসে ওকে নিয়ে কালকের চার জোড়া বালা প্রস্তুত করি। তারপর বালায় চাজ ভরি। চাজ ভরা হলে অন্য কাজে হাত দেই।
দুপুরে যোহর নামাজ পড়তে মসজিদে যাই। নামাজ পড়ে দোকানে আসি। রুমেল দাদা আসে তার কাছে তিন ভরি সোনা কিনে ওনাকে চা নাস্তা পান খাওয়াই। উনি চলে গেলে ফয়সাল কে নিয়ে বাসায় আসি হাতমুখ ধুয়ে এক সাথে দুপুরের খাবার খাই। ফয়সাল কে দোকান পাঠিয়ে দিয়ে আমি বাসায় ঘন্টা খানেক ঘুমাই।
বিকেলে ঘুম থেকে উঠে আসরের নামাজ পড়ে আনারস খেয়ে দোকান যাই। কিছুক্ষণ পরে মাগরিবের আজান শুনে আমি মসজিদে নামাজ পড়তে যাই। নামাজ পড়ে দোকান আসি। ফয়সালকে চা নাস্তা খাবার জন্য টাকা দেই। ফয়সাল হোটেলে নাস্তা করে আসে।
তার পরে কিছু কাজ করি দুই তিন জন কাস্টমার আসে তাদের সাথে কথা বলি চা নাস্তা খাওয়াই। ওদের বিদায় দিয়ে এশার নামাজের জন্য মসজিদে যাই নামাজ পড়ে হুজুরের কথা গুলো শুনে তার পরে দোকান আসি। কাজ গুলো গুছিয়ে নিয়ে দোকান বন্ধ করে বাসায় আসি। তারপর ভালোভাবে হাতমুখ ধুয়ে টিভিতে খবর দেখি।
তারপর মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে রাতে খাবার জন্য ডাইনিং টেবিলের বসে সবাই এক সাথে রাতের খাবার খাই। ডাল, পটোল ভাজা আর ডিম ভাজা দিয়ে রাতের খাবার খাই।
তারপর কিছুক্ষণ টিভি দেখি। আজকে আমরা সবাই এক সাথে মুভি দেখেতে বসেছি। মুভি দেখতে আমারা পেয়ারা মাখা খাই। সারাদিন পেয়ারা মাখা খাওয়ার সময় হয় না। মুভিটি খুব সুন্দর।
একটু পর আমি ঘুমাতে যাবো।
বসবাস #Bangladesh
ধন্যবাদ।