প্রথমে ওরা এসেছিল!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
গতকাল হঠাৎ একটা ভিডিও চোখে পড়লো। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কোন একটা মুভিতে আবৃত্তি করেছে। ঐটা দেখে মূহুর্ত্তের জন্য আমি দাঁড়িয়ে গেলাম। ঐটা বেশ কয়েকবর দেখলাম। কারণ লাইনগুলো ছিল খুবই চমৎকার এবং উৎসাহ জাগানোর মতো। এমন লেখা আগে খুব একটা দেখিনি। তবে যাই বলেন ভিডিও দেখে তো আর পুরোপুরি বোঝা যায় না। এইজন্যই আমি সার্চ দিলাম গুগলে। ঐ কবিতাটার লেখকের নাম সহ পুরো ইতিহাস চলে আসলো। কবিতাটার পটভূমি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার। জার্মানির লুথেরান নিমোলার ১৯৪৬ সালের যুদ্ধের কাব্যিক রুপের অংশ বিশেষ ছিল ঐটা। যদিও সেটা ছিল ইংরেজিতে। কিন্তু আমি গুগল ট্রান্সলেটর এর সাহায্যে বাংলা করে নিয়ে যখন পড়লাম তখন বেশ অবাক হলাম। এটাকে "প্রথমে তারা এসেছিল" বলেই প্রকাশ করা হয়।
প্রথমে তারা কমিউনিস্টদের ধরতে এসেছিল
এবং আমি কথা বলিনি
কারণ আমি কমিউনিস্ট ছিলাম না।
এখানে লেখক বলছে প্রথমে কমিউনিস্ট দের ধরে এলে সে কোন প্রতিবাদ করেনি কারণ সে তো কমিউনিস্ট ছিল না। সে ছিল একজন সাধারণ মানুষ।
তারপর তারা সমাজতন্ত্রীদের ধরতে এলো
আর আমি কথা বলিনি
কারণ আমি সমাজতন্ত্রী ছিলাম না।
পরবর্তীতে যখন সমাজতান্ত্রীদের ধরতে আসে তখনও সে প্রতিবাদ করেনি। কারণ সে সমাজতন্ত্রীও ছিল না। এভাবেই সে চুপ করে ছিল।
তারপর তারা ট্রেড ইউনিয়নবাদীদের ধরতে এলো
আর আমি কথা বলিনি
কারণ আমি ট্রেড ইউনিয়নবাদী ছিলাম না।
পরবর্তীতে তারা আসে ইউনিয়নবাদীদের ধরতে। কিন্তু লেখক তখনও কথা বলেনি। কারণ সে তো ট্রেড ইউনিয়নবাদীও ছিল না। এভাবেই চলে যাচ্ছিল।
তারপর তারা ইহুদিদের ধরতে এলো
, আমি কথা বলিনি
কারণ আমি ইহুদি ছিলাম না।
এরপর তারা আসে ইহুদীদের ধরতে। তখনও তিনি কোন কথা বলেনি। কারণ সে তো ইহুদিও ছিল না।
তারপর তারা আমার জন্য এলো এবং আমার হয়ে কথা বলার মতো
কেউ রইল না।
কিন্তু অবশেষে তারা আসলো লেখকেই ধরতে। এবং স্বাভাবিকভাবেই তখন লেখকের হয়েও বলার মতো কেউই ছিল না।
প্রাথমিক দৃষ্টিতে এটা দেখতে সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু এটার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এক বিশাল অর্থ। এবং এটা বতর্মান সমাজের সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ। ভেবে দেখেন একে একে তারা যখন সবাইকেই ধরে নিয়ে যাচ্ছিল লেখক কোন কথা বলেনি। কিন্তু শেষে যখন লেখককেই ধরে নিয়ে যায় তখন তার হয়ে কথা বলার মতো আর কেউই ছিল না। এখন এটা বতর্মান সমাজের সাথে রিলেট করি। বতর্মান সমাজে বা রাষ্ট্রব্যবস্থায় যখন কারো সাথে খারাপ হয়। অথবা কারো উপর অত্যাচার হয় আমরা সাধারণত ভদ্র জনগণ হিসেবে চুপ থাকি। কোন কথা বলি না। এবং একটা মুখস্থ কথা বলে দেয় আমার সাথে তো হচ্ছে না। অথবা আমাকে তো আর কেন বলছে না আমি কিছু কেন বলব। এভাবেই চলতে থাকে।
এভাবে একের পর অন্যের উপর অত্যাচার হলে আপনি আমি চুপ থাকি। কিন্তু অবশেষে গিয়ে যখন সেই অত্যাচার সেই অবিচার আমার আপনার উপর হয় তখন আমাদের হয়ে কথা বলার মতো আর কেউই থাকে না। আমরা যেমন অন্যদের সময় কথা বলিনি প্রতিবাদ করিনি ঠিক তেমন অন্যরাও আমার সময় চুপ থাকবে। এখানে প্রতিবাদের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। সমাজের অথবা রাষ্ট্রের অনিয়ম দূর্নীতির সময় যদি আপনি চুপ থাকেন সমস্যা আপনার না বলে। একসময় যখন সেটা আপনার সমস্যায় হবে তখন কেউ কোন কথা একেবারেই বলবে না। এইজন্যই প্রতিবাদ করতে হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে। চুপ থাকলে সেটার মাএা আরও বাড়বে। এবং একসময় গিয়ে আপনি নিজেই এর স্বীকার হবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।



.png)



Daily task
https://x.com/Emon423/status/1985254442057560453?t=ZgjtCOwtzjsuju-t8gqdYQ&s=19
https://x.com/Emon423/status/1985254674010903014?t=6NT1lsbg6IgRuRXIsD_EQg&s=19