মুভি রিভিউ ( পুতুলনাচের ইতিকথা )!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর কালজয়ী উপন্যাস পুতুলনাচের ইতিকথা। আমি এই উপন্যাস টা পড়েছি। আমার পছন্দের বইয়ের তালিকায় এটা উপরের দিকেই আছে। এইজন্যই এটা সম্পর্কে ধারণা আছে আমার। গতবছর যখন শুনলাম এই উপন্যাসের মুভি নির্মিত হচ্ছে তখন বেশ কিছুটা উচ্ছসিত হয়েছিলাম দেখি পুতুলনাচের ইতিকথা সিনেমা হিসেবে কেমন উপস্থাপন করতে পারে পরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায়। পাশাপাশি আরেকটা সংশয় ছিল গল্পটা ঠিক কতটা বিকৃত করা হবে এটা নিয়ে। অবশেষে গতকাল ওটিটি প্লাটফর্ম হইচই তে মুক্তি পেয়েছে মুভিটা। গতকালই সময় করে দেখে নিয়েছি। সত্যি বলতে উপন্যাসের ধারে কাছেও যেতে পারেনি মুভিটা। কেন পারেনি সেটাই বলব আজ। কোন কাহিনী রিভিউ না। উপন্যাসের সাথে মিল অমিল তুলে ধরব মুভিটার আমার পয়েন্ট অব ভিউ থেকে।
যথারীতি শুরুটা ঠিকই ছিল গাওদিয়া গ্রামের হারু ঘোষের মৃত্যু দিয়েই শুরুটা হয়। গল্পটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে বেশ কিছু ছোট বিষয় মিস করে গিয়েছে। ঐগুলো বাদ দেওয়াই যায়। উপন্যাসের শশীর চরিএ অনেকটাই ফুটিয়ে তুলতে পেরেছে আবির চ্যাটার্জি। গাওদিয়া গ্রাম থেকে কবে মুক্তি পাবে সেই বাসনা এখানে থাকতে থাকতে তার ভবিষ্যতের চিন্তা করা। এবং কুসুমের প্রতি এক লুকানো প্রেম। সবকিছুই ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছে আবির। শশীর অনেকটাই পূরণ হয়েছে। কুসুম চরিএে জয়া আহসান মোটামুটি ভালো অভিনয় করলেও উপন্যাসের কুসুমের চেয়ে সিনেমার কুসুমের বয়স আমার কাছে বেশি মনে হয়েছে। কুসুমের বয়স আরও কিছুটা কম হওয়া উচিত ছিল। উপন্যাসের কুসুমের মধ্যে যে ছেলেমানুষী ভাবটা ছিল সেটার অনেক টাই পূরণ করতে পেরেছে জয়া আহসান।
তবে বলতে হয় কুমুদ এবং মতি চরিত্রের কথা। এরা দুজন অন্যতম প্রধান চরিত্র উপন্যাসের। কিন্তু পরিচালক মুভিতে এদের পার্ট খুবই ছোট করে ফেলেছে। মতি এবং কুমুদের বিয়ের পরে তাদের শহরের জীবন আবার গ্রামে ফিরে আসা এসব কিছুই দেখাইনি মুভিতে। পরবর্তীতে তাদের আর স্কিনে নিয়েই আসেনি। সম্ভবত সময়ের ঘাটতির জন্য। উপন্যাসে শশীর একজন বোন ছিল সম্ভবত বিন্দু নাম। স্বামীর সাথে সে শহরে থাকে। উপন্যাসে তার একটা গুরুত্বপূর্ণ পার্ট থাকলেও মুভিতে থাকে নিয়েই আসা হয়নি। এটা অনেক বড় একটা ঘাটতি ছিল বলা যায়। পাশাপাশি শশীর বাবা গোপালের চরিত্র টাও অনেক ছোট করা হয়েছে। সবমিলিয়ে তিনবার মতো সে স্কিনে এসেছে। যেখানে উপন্যাসে শশীর সাথে শশীর বাবার দীর্ঘ একটা পার্ট ছিল।
তবে যাদব পন্ডিত এবং তার স্ত্রীর পার্ট টা আবার দারুণভাবে তুলে ধরা হয়েছে। রথের দিন দুজনের সেচ্ছা মৃত্যুর ব্যাপার টা খুবই গুরুত্ব নিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শশী এবং কুসুম ছাড়া অন্যান্য চরিএে খুব একটা দৃষ্টিপাত এভাবে করা হয়নি। এটা পুরোপুরি পরিচালকের দোষ না। এমন একটা কালজয়ী উপন্যাসকে কখনোই দুই ঘন্টায় সিনেমায় প্রকাশ করা যায় না। এটা একপ্রকার অসম্ভব বলা যায়। যথারীতি পুতুলনাচের ইতিকথার ক্ষেএেও সেটাই হয়েছে। সিনেমা এবং উপন্যাসের সামগ্রিক মূলভাবের মিল থাকলেও উপন্যাসের অনেক কিছুই সিনেমায় নিয়েই আসা হয়নি। মুভিটা পুরোপুরি আমার আশা পূরণ করতে পারেনি। তবে গ্রামের দৃশ্য গুলো সুন্দর ছিল। মোটামুটি উপন্যাসের উপর গুরুত্ব দিয়েই গ্রামের দৃশ্য গুলো সেভাবেই ধারণ করা হয়েছে।
উপন্যাসের ধারে কাছেও মুভিটা যেতে পারেনি আমার পয়েন্ট অব ভিউ থেকে। তবে মুভি হিসেবে যতটা তুলে ধরা সম্ভব ততটা করা হয়েছে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।














.png)



Daily task
https://x.com/Emon423/status/1989605622682194229?t=tq6PnIlY4-P1rWw3_Q3gig&s=19
https://x.com/Emon423/status/1989605771043013088?t=x_DW_ozX6OLjRxMf57gHNA&s=19