নীলফামারী টু ঢাকা
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহতালার অশেষ রহমতে আমিও মোটামুটি ভালো আছি। গতকাল রাতে নীলফামারী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম এবং সেই বিষয়টি আজকে এই পোষ্টের মধ্যে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব, তবে চলুন শুরু করি।
গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই বাসায় যাওয়ার পরিকল্পনা হয়েছিল। যদিও বাসায় যাওয়ার কোন ধরনের পরিকল্পনা ছিল না। বাসায় একটু কাজ থাকার কারণেই আমাকে অতিসত্বর নীলফামারীতে যেতে হয়েছিল এবং সেই কাজগুলো শেষ করে আবার দ্রুত ঢাকায় ফিরে আসতে হতো। ঢাকায় অনেকগুলো কাজ আমার পেন্ডিং পড়ে আছে সব মিলিয়ে অনেকটা ব্যস্ততম সময় কাটাচ্ছি।
গত শুক্রবারে নীলফামারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম যেহেতু আমার দুলাভাই আমার সাথে ছিল এবং তিনিও আমার সাথে করেই নীলফামারীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। বাসায় যেয়ে যে কাজের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম সেই কাজগুলো করার চেষ্টা করেছি এবং অনেকটা সফল ও হয়েছি বটে। গতকাল যখন আমার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেব তখন কেন জানি অনেকটা বেশি খারাপ লাগছিল। আসলে পরিবারের মানুষজন থেকে দূরে থাকাটা অনেকটা কষ্টকর একটি বিষয় আমি অনেক ভালোভাবেই অনুধাবন করতে পারি, এই দশ-বারো বছর ধরে।
গতকাল রাত ৯ টার সময় আমার গাড়ি ছিল। নাবিল পরিবহনেই আমি গতকালের টিকিট করেছিলাম এবং রাত ৯ টায় আমাদের গাড়ি নীলফামারী বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে যায়। যদিও আমাদের উত্তরবঙ্গে মাত্রা অতিরিক্ত শীত পড়া শুরু হয়েছে। বিশেষ করে রাতের বেলা তাপমাত্রা অনেকটাই নিচে নেমে আসে এবং আমাদের উত্তরবঙ্গে যে সকল বাস বা চলাচল করে তারা সকলেই জানে রাস্তাঘাটে কতটা বেশি কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ থাকে।
শীতকালে বাসে ট্রাভেল করা একটি চ্যালেঞ্জিং সময়। বিশেষ করে আপনারা হয়তো বিভিন্ন সময়ে খবর দেখতে পারেন উত্তরবঙ্গে শীতকালে বেশিরভাগ সময় বাস দুর্ঘটনা হয়। এই দুর্ঘটনার মূল কারণ হচ্ছে শীতকালের কুয়াশা। যার কারণে খুব বেশি দ্রুত বাস চালানো অনেক কঠিন হয়ে যায় এবং রাস্তায় বেশি দূর পর্যন্ত দেখাও যায় না। তবে গতকাল রাতে খুব বেশি একটা কুয়াশা ছিল না। তাইতো খুব দ্রুত বাস চালিয়ে নিয়ে ঢাকা পর্যন্ত চলে এসেছিল।
রাত সাড়ে বারোটার সময় আমাদেরকে বগুড়াতে ফুডড ভিলেজে নামিয়ে দিয়েছিল। এত দ্রুত সেখানে নিয়ে এসেছিল সেটা আসলে বলার ভাষা রাখে না। বাসের গতি ৯০ এবং ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় চলছিল প্রায় সব সময়। যার কারণে ঢাকায় আমাকে নামিয়ে দিয়েছিল ভোর চারটার সময়।সেখান থেকে আবার আমার বাসাও দিয়ে আসাটাও অনেকটা বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। আর ঢাকা শহরের বর্তমান অবস্থা খুব একটা বেশি ভালো নয়।
কিন্তু এত রাতে রাস্তাঘাটে থাকাটাও ঠিক হবে না। তাই একটি পাঠাও কল করে সেই বাইকে করেই মূলত আমার বাসা পর্যন্ত এসেছি। যদিও রাস্তাঘাট একেবারেই শুনশান ছিল এবং বর্তমানে ঢাকার রাস্তার যা অবস্থা যেখানে সেখানে চুড়ি ছিনতাই এসব কাজকর্ম তো হয়েই থাকে। অনেকটা ভয় নিয়ে গতকাল রাতে বাসায় ঢুকেছি। যাইহোক তারপরও আল্লাহতালার অশেষ রহমতে ভালোভাবেই বাসায় পৌঁছাতে পেরেছি এবং বাসায় এসে যখন ঘুমিয়েছি। ঘুম থেকে উঠেছি সাধারণত ভূমিকম্পের কারণে। এত বেশি ভূমিকম্প আমি মনে হয় আমার জীবন দশায় কখনো অনুভব করিনি। আপনাদের এলাকার কি অবস্থা তা অবশ্যই মন্তব্য জানাতে পারেন। আজকের মত এখানে শেষ করছি ধন্যবাদ সকলকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: নীলফামারী টু ঢাকা
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......









ভূমিকম্পের কারণে আমারও ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। তাছাড়া বিল্ডিং যেভাবে নড়েছিল, এতে করে বেশ ভয় পেয়েছিলাম ভাই। যাইহোক নীলফামারি থেকে ঢাকায় ঠিকমতো পৌঁছাতে পেরেছেন, জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।