travel in India
ইতিহাস থেকে বলি, দিল্লির সুলতান তখন মোগলরা। সম্রাট বাবর, আকবর, জাহাঙ্গীর...। দিল্লি তো মরুময়। গ্রীষ্মের দাবদাহে দিল্লি হলো জ্বলন্ত আগুনের কুণ্ডলি। মোগল শাহীর মসনদ তখন ফুটন্ত কড়াই। তাই তাঁরা অবকাশ অন্বেষণ করতেন সে সময়। কাশ্মীর ছিল মোগল বাদশাহদের অবকাশযাপনেরই প্রমোদবাগান। এখনো যদি যান কাশ্মীরে দেখে আসতে পারবেন বিখ্যাত মোগল বাগানগুলো।
চশমাশাহী, পরিমহল, শালিমার, নিশাত, ভেরি নাগ, আচ্ছাবাল ইত্যাদি। উপলব্ধি করতে পারবেন পর্বতের ঢাল বেয়ে নামা পানির প্রবাহকে কীভাবে সুসজ্জিত করেছিল মোগলরা। মূলত গ্রীষ্মকালের অবকাশযাপনের জন্যই মোগল বাদশাহরা আকৃষ্ট হয়েছিল কাশ্মীরের প্রতি। মোগল বাদশাহ জাহাঙ্গীর কাশ্মীরকে প্রথম তুলনা করেছিলেন স্বর্গের সঙ্গে। তাঁর আকুল আকাঙ্ক্ষা ছিল কাশ্মীরের তৃণভূমিতে মৃত্যুবরণ করার। তিনি ফার্সি ভাষায় বলেছিলেন, ‘আগার ফেরদৌস বে-রোহী যামীন আস্ত্। হামীন আস্ত্, হামীন আস্ত্, হামীন আস্ত্। যদি পৃথিবীতে কোনো বেহেশত থেকে থাকে, তাহলে তা এখানে, এখানে, এখানে।
হিমালয়ান পর্বতমালার দুটি রেঞ্জের মধ্যবর্তী একটি উপত্যকা মূলত কাশ্মীর। ১৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ আর ৩২ কিলোমিটার প্রস্থের এ উপত্যকার একপাশে হিমালয়ের মাঝারি পর্বতমালা (Middle Himalayans), অন্য পাশে সুউচ্চ পর্বতমালা (Greater Himalayans)। মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে ঝিলাম (জেহলাম) নদী। দক্ষিণে অনন্তনাগ (স্থানীয়ভাবে বলে ইসলামাবাদ), সোপিয়ান, কুলগাম ও পুলওয়ামা; মধ্যখানে বাডগাম ও গ্যান্ডারবাল ও শ্রীনগর এবং উত্তরে বারামুলা, বান্ডিপুরা ও কপুওয়ারা। এই দশটি প্রশাসনিক জেলায় বিভক্ত এ উপত্যকা। ভৌগোলিকভাবে তিন ভাগে ভাগ করা হয়, সেন্ট্রাল, নর্থ ও সাউথ। পুরো জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীরের মোট জনসংখ্যা এক কোটি ২৫ লাখ। কাশ্মীর উপত্যকার জনসংখ্যা প্রায় ৫৩ লাখ।