মামার বাসা থেকে বিদায়।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো এবং সুস্থ আছেন।
মঙ্গলবারের দিনটা আমাদের জন্য ছিল একটু আলাদা, একটু বিশেষ। গাজীপুরের মেঘলা শুটিং স্পট ঘুরে আমরা বিকেলের দিকে বাসায় ফিরে আসি। সারাদিন হাঁটাহাঁটি আর ঘোরাঘুরির পর বাসায় এসে প্রথম কাজ ছিল ফ্রেশ হওয়া। শরীরের ক্লান্তি তখনো রয়ে গেছে, কিন্তু মনের ভেতর ছিল এক ধরনের তৃপ্তি কারণ আপন মানুষদের সঙ্গে কাটানো সময় কখনোই বৃথা যায় না।
ফ্রেশ হয়ে বের হতেই দেখি রান্নাঘর থেকে অসাধারণ একটা ঘ্রাণ ভেসে আসছে। মামানি গরুর মাংসের কালো ভুনা রান্না করছিলেন। সঙ্গে ছিল মাছ, টাটকা সালাদ আর গরম ভাত। আহা! কী যে স্বাদ। অনেক দিন পর এমন আন্তরিক ভালোবাসা দিয়ে পরিবেশিত খাবার খেলাম। শুধু পেট নয়, মনটাও যেন ভরে গেল। খাবার শেষে কিছুক্ষণ রেস্ট নিলাম। মনে হচ্ছিল, সময়টা যদি একটু থেমে যেত!
কিন্তু সময় তো আর কারো জন্য থেমে থাকে না। সন্ধ্যার একটু আগেই মামা-মামীর কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় হয়ে এলো। বিদায়ের মুহূর্তগুলো বরাবরই কষ্টের। আসার সময় মামার ছেলের হাতে চুপচাপ কিছু টাকা গুঁজে দিলাম। ওর মুখের হাসিটা এখনো চোখের সামনে ভাসে। আর মামানি তিনি তো একেবারে মায়ের মতো। আমার ওয়াইফের হাতে কিছু টাকা দিয়ে বললেন, এটা দিয়ে কিছু কেনাকাটা করে নিও। এই ছোট ছোট ভালোবাসার মুহূর্তগুলোই জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ।
বিদায়ের সময় মামা-মামী বারবার বলছিলেন, অফিস বন্ধ পেলেই যেন আবার তাদের বাড়িতে যাই। আপন মানুষদের সঙ্গে আসা-যাওয়া থাকাটাই তো জীবনের আসল সৌন্দর্য। কিন্তু সত্যি বলতে কী, সেদিন মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তাদের ছেড়ে আসতে একদমই মন চাইছিল না। তবুও বাস্তবতার টানে বিদায় নিতেই হলো।
অবশেষে আমরা অটোতে চড়ে টঙ্গীর দিকে রওনা দিলাম। সেখান থেকে ভিআইপি গাড়িতে করে আসলাম ফার্মগেট। তখনো মাগরিবের আজান শুরু হয়নি। সময়টা ছিল ঠিক সন্ধ্যার আগমুহূর্ত। হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিলাম, একটু জিয়া উদ্যানে ঢুঁ মারা যাক।
রিকশা করে যখন জিয়া উদ্যানে পৌঁছালাম, তখন যা দেখলাম তা সত্যিই অবাক করার মতো। মানুষের এমন ভিড়! রাস্তা-ঘাটে দাঁড়ানোর মতো জায়গা নেই। চুল পরিমাণ ফাঁকা জায়গাও খুঁজে পাওয়া দায়। অনেক কষ্ট করে শেষমেশ উদ্যানে প্রবেশ করলাম। চারপাশে শুধু মানুষ আর মানুষ। কোথাও পরিবার নিয়ে ঘুরছে, কোথাও বন্ধুদের আড্ডা, আবার কোথাও ছোট বাচ্চাদের দৌড়ঝাঁপ।
সেদিন জিয়া উদ্যানে গিয়ে কী কী দেখলাম, কী খেলাম, আর কী অভিজ্ঞতা হলো সেগুলো বিস্তারিতভাবে লিখবো পরের পর্বে, ইনশাআল্লাহ। আজকের লেখাটা শুধু এই দিনটার অনুভূতি আর ভালোবাসার মানুষদের কথা তুলে ধরার জন্যই।
কিছু দিন এমন হয়, যেগুলো খুব সাধারণ মনে হলেও পরে মনে হয় এই দিনগুলিই জীবনের সবচেয়ে সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকে। আবার একদিন যেতে হবেই মামা-মামীর বাড়িতে।।
Photographer- @joniprins
Device- Realme C53
Location-Dhaka
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server



















