ভারতের পুরিতে ভ্রমণ
পুরি ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের একটি শহর.এটা হিন্দুদের একটি তীর্থস্থান.রাজধানী ভুবনেশ্বরের 60 কিলোমিটার (37 মাইল) দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত.আমরা সপরিবারে গেয়েছিলাম এখানে ভ্রমণ করতে.এটি হিন্দুদের একটি পৱিত্ৰ স্থান .1২ তম শতাব্দীর একটি পুরাকীতি. শ্রী জগন্নাথ ধাম নামেও এটি পরিচিত। হিন্দু ও মুসলিম শাসকদের দ্বারা পুরি এবং জগন্নাথ মন্দিরটি 18 বার আক্রমণ করে, চতুর্থ শতাব্দী থেকে 19 শতকের প্রথম দিকে মন্দিরের ধনসম্পদ লুঠ করার উদ্দেশ্য নিয়ে হিন্দু ও মুসলিম শাসকরা আক্রমণ করেন। পুরি ও তার মন্দির সহ উড়িষ্যা, 1947 সালে স্বাধীনতা লাভ করে।এখানে জগন্নাত দেবের পূজা করা হয়.এখানে সবসময় প্রচুর লোক সমাগম হয় .ইন্ডিয়া,বাংলাদেশ.নেপাল, আরো অনেক দেশের লোকের দেখা পাওয়া যায় এখানে.এখানে যে ছবি গুলো আছে তা মন্দিরের একাংশ.এটা পুনঃনির্মাণ করা হচ্ছে.এটা সম্পপূর্ন পাথরের তৈরী .যার কারনে এটাতে কোন রং করা নেই.কিন্তু আবহাওয়া জনিত কারনে এর কিছু অংশ ধসে গেছে.বিশেষ দিনে এখানে প্রায় ২ থেকে ৩ লক্ষ লোকের সমাগম হয়.হিন্দু ধর্মের লোকেরা এই স্থানটিকে তীর্থস্থান হিসেবে গণ্য করে.রথের দিনে প্রায় ৩ লক্ষ লোকের খাবারের ব্যবস্থা করা হয় এখানে.এর ভিতরে সবাইকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না.এর আশেপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খুবই ভাল.এখানে শুধু সাধারণ মানুষই না বরং অনেক পুরাতত্ত্ববিদেরাও আসে.এই স্থান টি অনেক পুরাতন হবার কারনে এটি ভ্রমণার্থীদের কাছেও খুব প্রিয়.আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন কেবল রথ তৈরী করা হচ্ছে. এটি সাধারণ রথের থেকে অনেক বড় .আর এর কাজ করা হয় সম্পূর্ন মানুষের দ্বারা কোন যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয় না.এই রকম আরো ২ টি তৈরী করা হবে . হিন্দু দেবতা রামের তার ভাই বলরাম ও তার বোন সুভদ্রা র জন্য রথ তৈরী করা হয়.এর এক একটি রথের সাইজ হবে প্রায় ৪০ফুট লম্বা.রথের সময় প্রায় ২২ হাজার লোক এখানে কাজ করে.রথ ৩ টি ৩ রকমের সাইজের হয়.আর এগুলো মানুষ টেনে নিয়ে যায় কোন যন্ত্র ব্যবহার করা হয় না.
This post has received a 32.72 % upvote from @booster thanks to: @arnob25.