ভ্রমণ:- ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব কিছুদিন আগে আমি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। এখন যেদিকে ঘুরতে যাওয়া হয় খুব ভালো লাগে। কারণ এখন আবহাওয়া খুব চমৎকার। গরম এবং ঠাণ্ডা কিছু নেই। আর এই সময় ঘুরাঘুরির মজাই অন্যরকম। আমি মাঝেমধ্যে চেষ্টা করি ঘুরতে যাওয়ার জন্য। কিছুদিন আগে আমি আমার হাজবেন্ডের সাথে মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে বাইর হলাম। মূলত দুপুর বেলা খাওয়া-দাওয়া করার পর চিন্তা করলাম একটু ঘুরতে বাইর হব। তখন আমার হাজব্যান্ড কে বললাম সে বলল ঠিক আছে। তাই বিকেল তিনটা দিকে আমরা বাহির হলাম ঘুরাঘুরি উদ্দেশ্যে।
প্রথমে আমরা বাড়ি থেকে বাইর হয়ে একটি রিকশা নিয়ে চলে গেলাম মালটা বাগানে। আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে একটু দূরে একটি জায়গা আছে ওইখানে মালটা চাষ করে। আর বর্তমানে ওই মালটা বাগানের কারণে ওই জায়গাকে মালটা বাগান বলা হয়। আর ওইখানে কিন্তু তাজা মালটা পাওয়া যায়। তবে বিগত এক বছর পর্যন্ত ওইখানে মালটা নেই বললেই চলে। কারণ নদী ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে ওইখানে নদীর লবণাক্ত পানি আসে। এই কারণে মালটা বাগান গাছগুলো নষ্ট হয়ে গেল। আগে কিন্তু দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসতো এখানে ঘুরতে। আর আমি নিজেও কয়েক একবার গেলাম ওইখানে ঘুরতে। যখন আমরা ওখানে গেলাম তখন দেখলাম মালটা বাগানের কোন অস্তিত্ব নেই।
তারপর আমরা হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম নদীর ধারে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে। নদীর ধারে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মধ্যে ঘুরতে গেলে এমনিতে ভালো লাগে। নদীর উপরে জমিগুলোর মধ্যে মানুষ ধান চাষ করেছে। আর প্রতিটি ধান এক সমান এবং সবুজ কালার এই কারণে দেখে বেশ ভালো লাগলো। তবে আমরা যখন ওইখানে গেলাম তখন বিকাল বেলার শেষ দিকে হয়ে গেল। তবে প্রতিটি জমির মধ্যে ধান। আর পরিবেশ অন্যরকম। সাথে হাজবেন্ড এবং মেয়ে সত্যি অন্যরকম ভালো লাগলো। আর আমরা যেখানে ঘুরতে গেলাম তার পাশে একদম নদী। ওইখান থেকে দুই মিনিটের রাস্তার নদীর কাছে যাওয়া। তবে নদীর ওপারে এপারে অনেক মানুষ ঘুরতে আসে এই সময়।
সবচাইতে মজার বিষয় হচ্ছে নদীর ধারে গাছগুলোর মধ্যে এবং ধান ক্ষেতের মধ্যে অনেক ধরনের পাখি দেখা যায়। জোরে হাতের তালি দিলে পাখিগুলো উড়ে চলে যায়। তবে এসব জায়গাতে যখন ঘুরতে যাওয়া হয় তখন মন ভালো হয়ে যায়। আর গ্রামাঞ্চলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে ঘুরতে গেলে মন এবং শরীর দুটো ভালো হয়ে যায়। শহরের তুলনা গ্রামে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সব সময় চমৎকার থাকে। আর ঐদিন আমি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে ঘুরতে গিয়ে নিজের কাছে খুব ভালো লাগলো। আমার মেয়ে তো অনেক খুশি হয়েছে ঘুরতে গিয়ে। আর আমরা নদীর উপরে জমিগুলোর মধ্যে ধানের সৌন্দর্য উপভোগ করলাম এবং অনেক ঘুরাঘুরিও করলাম।
আর এ সময় এসব জায়গাতে যে ঘুরতে আসবে তার কাছে অন্যরকম ভালো লাগবে। সবুজ শ্যামলা নীল আকাশ শীতল বাতাস এমনিতে ভালো লাগবে। আর আমি মাঝেমধ্যে চেষ্টা করি এরকম পরিবেশে ঘুরতে যেতে । আর আমরা ঐদিন যেমন ঘুরাঘুরি করেছি তেমনি সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। এবং আমরা ঘোরাঘুরির পর নদীর ধারে গিয়ে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছি। যদিও নদীতে কাদামাটি অনেক ছিল। তারপরও নদীর কাছে গিয়েও কিছুক্ষণ সময় কাটালাম। আর এই সময় যে এই সব জায়গাতে ঘুরতে আসবে তার কাছে অন্যরকম ভালো লাগবে। আশা করি আমার ঘোরাঘুরি পোস্ট দেখে আপনাদের ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।













https://x.com/bdwomen2/status/1983509420404601244?t=c1TAoVV4LmrxlWsc1TEQAg&s=19
https://x.com/bdwomen2/status/1983510546147082483?t=aG_Eg_GdSrSqh8puSOyXqg&s=19