মনপুরা পার্কে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা

হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব কিছুদিন আগে আমরা মনপুরা পার্কে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। মনপুরা পার্ক দাগনভূঞা বাজারের পাশে। যদিও বাজার থেকে এই পার্ক দুই থেকে তিন কিলোমিটার দূরে। আর আমার হাজবেন্ডের বাড়ি থেকে অনেক অনেক দূরে মনপুরা পার্ক। তারপরও মাঝেমধ্যে চেষ্টা করি ঘুরতে যাওয়ার জন্য। কারণ মাঝে মধ্যে ঘুরতে গেলে মন ও শরীর ভালো হয়। আর একদিন শুক্রবার থাকার কারণে আমরা চিন্তা করলাম ঘুরতে বাইর হব। তখন আমার হাজব্যান্ড কে বললাম সকালবেলা ঘুরতে যাব। আর কোথাও ঘুরতে গেলে বা কিছু খেতে চাইলে আমার হাজবেন্ড মানা করে না।

তারপর আমার হাসবেন্ড বলতে লাগলো কোথায় যাবে। তখন আমার এক ভাগ্নিরসহ ঠিক করলাম মনপুরা পার্কে যাব ঘুরতে। এরপর আমরা দুপুর বেলা খাওয়া-দাওয়া করে তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে বাইর হলাম। কারণ আমার হাজবেন্ডের বাড়ি থেকে মনপুরা পার্ক ১৩ থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে হবে। আর এসব জায়গাতে যেতে হলে সময় নিয়ে যেতে হয়। তারপর আমরা গাড়ি করে মনপুরা পার্কে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আর এক ঘণ্টার মধ্যে আমরা ওই জায়গাতে পৌঁছে গেলাম। মনপুরা গ্রাম অঞ্চলের সাইটে দেওয়ার কারণে এখানে প্রাকৃতিক পরিবেশ চমৎকার। কারণ রাস্তা পাশে গেট থেকে পার্ক অনেক ভিতরে। আর হেঁটে হেঁটে যেতেও অন্যরকম লাগে।

এরপর আমরা কথা বলতে বলতে পার্কেট গেটের সামনে গেলাম। আবার মনপুরা পার্কের বাহিরে হচ্ছে কাবাব হাউস। আর ভিতরের অংশে হচ্ছে পার্ক। আবার এইখানে কিন্তু কাবাব হাউজে যে কোন অনুষ্ঠান এবং কোন বিনোদন কিছু হলে অনেকে এইখানে আয়োজন করে। তবে মনপুরার পার্ক ছোট্ট হলেও পরিবেশ কিন্তু চমৎকার। আমরা ২০ টাকা করে টিকেট কেটে সবাই গেটের ভিতরে গেলাম। আর আমার মেয়ে তো অনেক খুশি হয়েছে গেটের ভিতরে গিয়ে। কারণ অনেক অনেক ছোট বাচ্চা এবং অন্যান্য মানুষ সবাই খেলাধুলা করতে লাগলো দেখে তার কাছে অন্যরকম ভালো লাগলো। আর আমার নিজের কাছেও ভালো লাগলো।

কারণ পার্কে গেলে খেলাধুলার এবং বিভিন্ন ধরনের খাওয়া দাওয়া খাওয়া যায়। এই কারণে এসব জায়গাতে ভালো সময় অতিবাহিত করা যায়। সত্যি বলতে পার্কের ভিতর অনেক ধরনের খেলনা জিনিস আছে। তবে আমার মেয়ে বেশিরভাগ দোলনার উপর বসে দুলতে পছন্দ করে। তবে অনেক ছোট বাচ্চা এবং বড় মানুষগুলো এই দোলনার উপর বসে বসে তুলতে লাগলো। যদিও আমার মেয়েকে নিয়ে আমার হাসবেন্ড অনেকক্ষণ ওইখানে বসে ধরলেন। তবে এইখানে কিন্তু মজার ফুচকা থেকে চটপটি এগুলো পাওয়া যায়। যদিও এইখানে একটু দাম বেশি এসব খাওয়াগুলোর।

আর এখানে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের পার্কের খেলাধুলা রাউন্ড আছে। অনেকে উঠে এইখানে রাউন্ড খেলাগুলো খেলতে লাগল। আর পার্কে গেলে কিন্তু যখন খাওয়া-দাওয়া করা হয় তখনও ভালো লাগে। যদিও আমরা খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম বাহিরে রেস্টুরেন্টে। আর সেই পোস্ট আমি অন্য দিন করব। তবে আমরা পার্কে গিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওইখানে ছিলাম। কারণ পার্কে গেলে একটু সময় নিয়ে গেলে তখন ভালো লাগে। আর আমার মেয়ের খুশি দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। কারণ পার্কের মধ্যে সে অনেক দৌড়াদৌড়ি করতে লাগল। এ কারণে মাঝেমধ্যে পার্ক বা কোথায় ঘুরতে গেলে নিজের কাজও ভালো লাগে মেয়ের খুশি দেখলে ভালো লাগে। আশা করি আমার আজকের পোস্ট দেখে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

🥰 ধন্যবাদ সবাইকে 🥰