প্রকৃতির মাঝে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব প্রকৃতির মাঝে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। এখন এই সময় হালকা গ্রামাঞ্চলে ঠান্ডা পড়তে লাগলো। যদিও তেমন বেশি ঠান্ডা নেই। তবে সকালবেলা একটু ঠান্ডা লাগে আর সন্ধ্যার পর একটু ঠান্ডা থাকে। আর বিকেল বেলা কিন্তু আবহাওয়া থাকে খুব চমৎকার। আর গ্রামাঞ্চলে এমনিতে বিকেল বেলা ঘোরাঘুরি করতে অনেক ভালো লাগে। যারা গ্রামাঞ্চল বসবাস করে তারা কিন্তু প্রকৃতির সৌন্দর্য সবসময় উপভোগ করতে পারে। কিছুদিন আগে চাচাতো ভাইকে নিয়ে ঘুরতে বাইর হলাম। মূলত শুনেছেন নদীতে অনেক জোয়ারের পানি আসলো।

ওই সময় অনেকে বলতে লাগলো রাস্তার পাশে পর্যন্ত জোয়ারের পানি আসলো। এই কারণে আমরা ঐদিন ঘুরতে বাহির হলাম। কারণ আমাদের বাড়ির পাশে নদী আছে। আর বর্তমানে সুইসগেট ভেঙে যাওয়ার কারণে নদীতে সকাল বিকাল জোয়ার আসে। এই কারণ আমরা দূর এলাকায় ঘুরতে গেলাম। মূলত আমরা ঐদিন মামুলার ঘাট ঘুরতে গেলাম। যদিও আমরা দুইজন সাইকেল নিয়ে গেলাম ঘুরতে। আর ওইখানে গিয়ে ছোট চাচাতো ভাই তার এক আত্মীয়কে দেখতে পেল। তার এক আত্মীয়ের বাড়ি ওইখানে। এই কারণে আত্মীয় কে পেয়ে তার কাছে ভালো লাগলো। তখন আমরা ওইখানে দোকান এর সামনে এবং চারপাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে লাগলাম।

আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে এমনিতে ঘুরতে বেশ ভালো লাগে। এবং গ্রামের এঁকেবেঁকে রাস্তাগুলো দুই পাশে গাছ এবং ফসলের মাঠ সত্যি অন্যরকম। তবে আমার ফটোগ্রাফির মধ্যে দেখা যাচ্ছে হালকা দূরে নদী। রাস্তার পাশে কিছু ধান ক্ষেত আছে সেগুলোর পরেই নদী। আর ওই সময় কিন্তু নদীতে যাওয়ার আসতে লাগলো। যখন নদীতে জোয়ার আসে তখন কিন্তু পানি অনেক বেড়ে যায়। আর যখন নদীতে জোয়ার থাকে না তখন নদীতে পানি একদম থাকে না। আর যখন জোয়ার আসে তখন কিন্তু অনেক জোরে আওয়াজ শোনা যায় জোয়ারের পানির। তবে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আছে এসব জায়গাতে ঘুরতে।

কারণ নদীর উপরে জমিগুলো এবং রাস্তা এ জায়গাতে পাতিল সৌন্দর্য খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করা যায়। আর নদীর একপাশে হচ্ছে ফেনী অন্য পাশে হচ্ছে কোম্পানীগঞ্জ। আর এ কারণে দুই পাশের লোক এসব জায়গাতে ঘুরতে আসে। আর আমরা যে জায়গাতে ঘুরতে গেলাম তার পাশে কিন্তু অনেক বড় একটি চর আছে নদীর উপরে। শুধু ওইখানে ধানের মাঠ দেখা যায়। আর এসব জায়গাতে যে ঘুরতে আসবে তার কাছে ভালো লাগবে। আমি কিন্তু চাচাতো ভাই ছোট হলেও তাকে নিয়ে ঘুরতে বাইর হলাম। কারণ ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা। আর এরকম জায়গাগুলোর মধ্যে ঘোরাঘুরি করলে মন ভালো হয়।

আর ঐদিন গ্রামের নদীর ধারে এবং প্রাকৃতির সৌন্দর্যের মধ্যে ঘুরতে গিয়ে যেমন ভালো লাগলো। তেমনি আমি চিন্তা করলাম এই সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। কারণ এসব জায়গা গুলো হচ্ছে ঘুরাঘুরি জায়গা। আর চাচাতো ভাই কিন্তু তার ছোট আত্মীয় বন্ধুকে পেয়ে অনেক খুশি হয়েছে। সে তার সাথে কতক্ষণ খেলাধুলা এবং দৌড়াদৌড়ি করল। আর এই সময় প্রাকৃতির সৌন্দর্যের মধ্যে ঘুরাঘুরি করার মজায় অন্যরকম। আমি চেষ্টা করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে বাইর হতে। আশা করি আমার এই ঘুরাঘুরি পোস্ট দেখে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

device : Huawei

_{লোকেশন}

আমার পরিচয়

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।