ভ্রমণ :- নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। কিছুদিন আগে আমি আমার বিদেশের এক বন্ধুকে নিয়ে নদীর ধারে ঘুরতে গেলাম। মূলত ইমাম হোসেন এই লোকটি আমাদের পাশের এলাকায় তার বাড়ি। এবং বিদেশে আমি আর সেই একই জায়গায় অনেক বছর ছিলাম। আমি যখন বিদেশ গেলাম তখন এই লোক ও ওই সময় বিদেশ গেলেন। আর এই কারণে দুইজন একসাথে সব সময় চলাফেরা করতাম বিদেশে। এবং মাঝেমধ্যে তার কাছে বেড়াতে আমি যেতাম আবার সেই সময় পেলে আমার কাছে আসতেন বেড়ানোর জন্য। যদিও আমি কয়েক বছর যাবত দেশে চলে আসলাম এবং বর্তমানে দেশে থাকি।

আর এই লোক কিছুদিন আগে বাড়িতে আসলেন এবং আসার দুই দিন পর আমাদের এলাকায় আমাদের বাড়িতে আসলেন। যদিও বয়সে সে আমার বড় চলাফেরার করার কারণে একসাথে থাকার কারণে আমরা দুজন ফ্রি কথাবার্তা বলি। যখন আমাদের বাড়ির সামনে বিকালবেলা আসলো তখন আমরা কিছুক্ষণ সময় দোকানে বসে নাস্তা খেলাম। তারপর বলতে লাগলো একটু ঘুরে আসবে। তখন আমি তাকে বললাম নদীর ধারে ঘুরতে যাব কারণ নদীর ধারে ঘুরতে গেলে এমনিতে ভালো লাগে। আর চেয়ারম্যান ঘাট নদীর ধার আমাদের বাড়ি থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে। যদিও তাদের বাড়ি থেকে এই জায়গায় কিন্তু অনেক দূর। আর এই জায়গাতে তেমন আসে নাই বিদায় আমরা দুজন কথা বলতে বলতে যেতে লাগলাম।

আর কিছুক্ষণ হেঁটে যখন গেলাম আমরা নদীর ধারে পৌঁছে গেলাম। তবে নদীর ধারে কিন্তু অনেক ঠান্ডা এখন। আর নদীতে পানি একদম নেই। কারণ আমাদের এদিকে সুইচ গেট ভেঙে যাওয়ার কারণে এই নদীতে সকাল এবং সন্ধ্যা দুই সময় নদীতে কিন্তু জোয়ার আসে । আর যখন নদীতে জোয়ার আসে তখন কিন্তু নদীতে অনেক পানি থাকে। আর যখন নদীতে জোয়ার থাকে না তখন পানি নেই বললেই চলে। যদিও আমরা যে সময় নদীর ধারে গেলাম তখন নদীর ঐপাড় থেকে নৌকায় এই পাশে আসলো। এবং নৌকার মাঝি মনে করলেন আমরা নৌকা পার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। ওই সময় আমাদেরকে জিজ্ঞেস করতে লাগলো নদী পার হবে কিনা।

তখন আমরা বলতে লাগলাম আমরা এখানে ঘুরতে আসলাম। তবে ওই সময় কিন্তু সন্ধ্যার আগে এ কারণে পরিবেশে কিন্তু চমৎকার ছিল। নদীর উপরে ফসলের মাঠ ঠান্ডা বাতাস এবং নদীতে কাদামাটি দেখে অনেক ভালো লাগলো। তবে এই ঘাটে সব সময় কিন্তু কম বেশি মানুষ থাকে। আর বিকেলবেলা এইখানে ঘুরতে দূরদূরান্ত থেকে লোক আসে। আর নদীর উপরে জায়গা গুলোর মধ্যে কিন্তু কাশফুলও আছে। আবার এই কাশফুলের আশেপাশে কিন্তু অনেক শিয়াল ও আছে। সন্ধ্যার সময় কিন্তু এইখানে অনেক শিয়াল দেখা যায়। তবে আমরা দুজন কিন্তু ওইখানে অনেকক্ষণ সময় পর্যন্ত ছিলাম এবং ভালো সময় কাটালাম।

আর মাঝেমধ্যে এইখানে কিন্তু ঝাল মুড়ি বিক্রেতা লোকগুলোকে দেখা যায়। যদিও ওই সময় কোন ঝালমুড়ি বিক্রেতা লোক ছিল না। আর আমরা দুইজন যখন মাগরিবের আজান দেবে তখন নদীর ধার থেকে আবার আমাদের গন্তব্য উদ্দেশে রওনা দিলাম। এবং বিদেশি বন্ধুর কাছে ঘুরতে গিয়ে কিন্তু ভালো লাগলো। এবং অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরি করার পর কথা বলতে বলতে আবার দোকানের সামনের দিকে আমরা চলে আসলাম। তারপর আমি তাকে একটি গাড়ি ঠিক করে দিলাম সেই গাড়ি করে তার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিল। আর আমি আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। ঐদিন দুইজন নদীর ধারে ঘুরতে গিয়ে ভালো সময় কাটালাম। তাই আজকে এই পোস্ট আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার করলাম। আশা করি আমার এই পোস্ট দেখে আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।

device : Huawei

_{লোকেশন}

আমার পরিচয়

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।