এমবাপ্পের চার গোল!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
রিয়াল মাদ্রিদ কোচ শাবি এবং মাদ্রিদ খেলোয়াদের মধ্যে কোন একটা ঝামেলা হচ্ছে। অর্থাৎ খেলোয়ার ঠিক শাবির ট্যাকটিস এর উপর ভরসা রাখতে পারছে না মোটেই। এরই মধ্যে চ্যাম্পিয়ন লীগে গতরাতে রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচ ছিল গ্রীসের ক্লাব ওলিম্পিয়াকোস এর সাথে। কিলিয়ান এমবাপ্পে বেশ কিছু ম্যাচ গোলের দেখা পাইনি। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে যখন ওলিম্পিয়াকোস এর কোচের কাছে জিজ্ঞেস করা হয় এমবাপ্পে কে কীভাবে থামাবেন? তখন সে এমবাপ্পে কে কটাক্ষ করে বলে তাকে থামানোর কিছু নেই সে এমনিই থেমে গিয়েছে। কথাটা হয়তো এমবাপ্পে খুবই চ্যালেঞ্জের সাথে নেয়। এবং সেই কথার জবাব দিয়েছে সে মাঠে। রিয়াল মাদ্রিদের বেশ কিছু খেলোয়ার ইঞ্জুরি। ইঞ্জুরির কাছে শুরুর একাদশে ছিল না জুড বেলিংহাম। রিয়াল মাদ্রিদ ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে মাঠে নামে। অন্যদিকে ওলিম্পিয়াকোস এর ফর্মেশন ছিল ৪-২-৩-১।
খেলাটা ছিল ওলিম্পিয়াকোস এর মাঠে। খেলা শুরু হয় বাংলাদেশ সময় রাত দুইটার সময়। খেলার শুরুতেই ম্যাচের ৭ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় ওলিম্পিয়াকোস। তাদের খেলোয়ার চিকুইনহো ডিবক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শর্টে গোল করে। এবং দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এরপর ভিনিসিয়াস দারুণ একটা শর্ট নেয়। কিন্তু গোলরক্ষক সেটা সেভ দিয়ে দেয়। এর কিছুক্ষণ পরে ম্যাচের ২২ মিনিটের সময় দারুণ এক ট্রিভেলা পাস দেয় ভিনিসিয়াস। এবং এমবাপ্পে চমৎকারভাবে রান মেক করে এবং একটা সুন্দর ফিনিশিং দেয়। ম্যাচে ১-১ সমতা চলে আসে। এর দুই মিনিট পরে আর্দা গুলার চমৎকার একটা বল দেয় এমবাপ্পের উদ্দেশ্যে। এবং এমবাপ্পে হেড দিয়ে গোল দেয়। এটা ছিল ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপ্পের দ্বিতীয় গোল। রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে যায় ১-২ গোলের ব্যবধানে।
ম্যাচের তখন ২৯ তম মিনিট চলছে। কামাভিঙ্গার দারুণ এক অ্যাসিস্টে আবার গোল করে এমবাপ্পে। ম্যাচে এটা ছিল এমবাপ্পের তৃতীয় গোল। এবং রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে যায় ৩-১ গোলে। হ্যাট্রিট পূরণ হলেও এমবাপ্পে থেমে যাননি। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে যথারীতি খেলতে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ম্যাচের ৫২ মিনিটে একটা গোল খেয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। প্রতিপক্ষ দারুণ এক হেড করে গোল করে। ম্যাচের ৫৮ মিনিটের সময় ভিনিসিয়াসের দারুণ এক অ্যাসিস্টে আবার গোল করে কিলিয়ান এমবাপ্পে। এটা ছিল ম্যাচে তার চতুর্থ গোল। অর্থাৎ সে যেন প্রতিপক্ষ কে দেখিয়ে দিল আমিই এমবাপ্পে। আমি থেমে যায়নি হা হা। পরবর্তীতে ওলিম্পিয়াকোস হেড থেকে আরেকটা গোল করে। ম্যাচে ফলাফল এসে দাঁড়ায় ৩-৪ গোলের। তবে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ।
এই ম্যাচে ভিনিসিয়াস দারুণ খেলেছে। দুই অ্যাসিস্টের পাশাপাশি নিজেই চমৎকার সব সুযোগ তৈরি করেছে। যদিও সে গোল করতে পারেনি। তবে রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্সের অবস্থা একেবারে নাজেহাল। বিশেষ করে লং বলে। এয়ার বলে মাদ্রিদ খুবই দূর্বল। শেষ দুইটা গোল প্রতিপক্ষ করেছে হেড থেকে। অর্থাৎ ওখানে ঐ বলটা মাদ্রিদ ডিফেন্স হেড দিয়ে ক্লিয়ার করতে পারেনি। এখানে উন্নতি করতে হবে। মাদ্রিদ হয়তো ম্যাচ জিতে ঠিকই ফিরেছে কিন্তু ডিফেন্সের দূর্বলতা একেবারে পরিষ্কার যেটা মোটেই ভালো কিছু না। এই নিয়ে এই সিজেনে চ্যাম্পিয়ন লীগের ৫ ম্যাচে ৯ গোল করল কিলিয়ান এমবাপ্পে। যেটা এককথায় অনবদ্য। বতর্মানে যে সেরা খেলোয়ার কিলিয়ান এমবাপ্পে এটা নিয়ে অন্তত কারো দ্বিমত থাকার কথা না। অন্তত তার পারফরম্যান্স সেটাই বলছে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।














.png)



Daily task
https://x.com/Emon423/status/1993964230492774645?t=xdeKU97241IbSdQKAL3_Vw&s=19
https://x.com/Emon423/status/1993964424860983621?t=TH_JKwwAN98vg-bVP7KgSw&s=19