রিয়াল মাদ্রিদ এভাবেই জেতে!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
SonyLiv channel থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
স্প্যানিস ভাষায় একটা কথা আছে "Asi, asi, asi gana el Madrid " এর অর্থ রিয়াল মাদ্রিদ এভাবেই জেতে। রিয়াল মাদ্রিদের ১৪ উচল এমনি এমনি হয় নাই। ঠিক এই মানসিকতার জন্য হয়েছে। তারা হারার আগে হারে না। গতকাল রাতে পুরো ফুটবল বিশ্ব তাকিয়ে ছিল ম্যান সিটি রিয়াল ম্যাচের দিকে। আগের লেগে ৩-৩ ড্র করা ম্যানসিটি যে এবার ঘরের মাঠে রিয়াল কে একেবারে গুড়িয়ে দেবে এইটাই সবাই ধারণা করেছিল। তারপর উপর ইতিহাদে কখনো রিয়াল মাদ্রিদ জিতে নাই। টানা দেড় বছর ইতিহাদে কোন ম্যাচ হারে নাই ম্যান সিটি। এইরকম কথা শুনে মাদ্রিদ বস কার্লো বললেন রেকর্ড গড়ায় হয় ভাঙার জন্য। তিনি যেন সেটাই করলেন। প্রথমবার সিটিকে তাদের মাঠে হারালেন। প্রমাণ করে দিলেন কেন রিয়ালের সেরাদের সেরা। কেন তাদের বলা হয় চ্যাম্পিয়ন লীগের রাজা।
গতকাল ম্যাচ টা ছিল বাংলাদেশ সময় রাত একটাই। সত্যি বলতে আমি বেশ ভয়ে ছিলাম কী না কী হয়। তবে আমার কেন জানি মনে হচ্ছিল রিয়াল মাদ্রিদ আজকে কিছু একটা করে দেখাবে। সিটি ম্যাচ জিততে পারবে না। রিয়াল মাদ্রিদের ফর্মেশন ছিল ৪-৩-১-২ অন্যদিকে ম্যানসিটির ফর্মেশন ছিল ৪-১-৪-১। গতকাল মাদ্রিদ বস কার্লো অসাধারণ একটা স্ট্যাটাজি নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। তিনি তার দলের খেলোয়াদের বলে দিয়েছিলেন তোমরা চিল করো প্যারা নিও না। সিটি বল নিয়ে পাস দেবে এই করবে সেই করবে তোমরা তোমাদের পজিশন ধরে রেখে ডিফেন্স করে সাধারণ খেলাটা খেল। রিয়ালের খেলোয়ার রা যেন সেটাই করল। যাইহোক ম্যাচ শুরু হতেই দুল দলই আক্রমণ করতে থাকে। কিন্তু ম্যাচের মাএ ১২ মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়র এর অ্যাসিস্টে গোল করে রদ্রিগো। এবং দলকে ০-১ গোলে এগিয়ে নিয়ে যায়। সবমিলিয়ে মাদ্রিদ তখন দুই লেগ মিলিয়ে এগ্রিগ্রেডে ৩-৪ গোলে এগিয়ে।
ঠিক এরপরেই যেন শুরু হলো সিটির আক্রমণ। একের পর এক শর্ট একের পর পাস একের পর এক আক্রমণ চলল হাফ টাইম পযর্ন্ত। বল যেন রিয়ালের ডি বক্সের সামনে থেকে যাচ্ছিল না। কিন্তু রিয়াল ডিফেন্ডার রা একেবারে শান্ত। তারা ঠান্ডা মাথায় ব্লক করছে সিটিকে। এবং গোলবারে দাঁড়িয়ে আছে লুনিন আর কী লাগে। অনেক চেষ্টা করেও অনেক চান্স ক্রিয়েট করেও গোল আদায় করতে পারেনি সিটি। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধে যেন রিয়াল কিছুটা গুছিয়ে খেলার চেষ্টা করছিল। কিন্তু সেই চেষ্টা আর বেশিক্ষণ থাকেনি। আবার শুরু হয় সিটির মুহুড় মুহুড় আক্রমণ। কিন্তু রিয়াল ডিফেন্ডার টা কোন ভুল করেনি। ৭০ মিনিটে গার্দিওয়ালা গ্রিলিস কে তুলে ডাকু কে মাঠে নামায়। ঠিক তার ৫ মিনিট পরে ডাকুর অসাধারণ পাসে গোল করে ডি ব্রুইনা। এবং ম্যাচে সমতা নিয়ে আসে। ম্যাচে তখন ১-১ গোলের সমতায়। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে আর কোন গোল আসেনি।
শুরু হয় অতিরিক্ত সময়ের খেলা। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে সিটি আক্রমণ বল পজিশনে অনেক এগিয়ে থাকলেও গোল পায়নি। অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদও কয়েকটা আক্রমণ করলেও কোন লাভ হয়নি। ততক্ষণে দুই কোচই বেশ কিছু পরিবর্তন করে। অতিরিক্ত ৩০ মিনিট মিলিয়ে ১২০ মিনিটেও ম্যাচের কোন রেজাল্ট না আসলে খেলা গড়ায় ট্রাইব্রেকারে। প্রথম শর্ট নেয় সিটির আলভারেজ এবং গোল করে। তারপর আসে রিয়াল মাদ্রিদের অভিজ্ঞ খেলোয়ার মদ্রিচ। কিন্তু এডারসন সেটা সেভ করলে সিটি এগিয়ে যায়। কিন্তু এরপরেই শুরু হয় লুনিন শো। লুনিন পর পর দুইটা ট্রাইব্রেকার অসাধারণ সেভ করে।
কিন্তু রিয়ালের খেলোয়ার রা আর ভুল করেনি। একে একে বেলিংহাম, লুকাস ভাসকেজ, নাচো গোল করলে এগিয়ে যায় তারা। সিটির হয়ে শেষ শর্ট টা নেয় তাদের গোলকিপার এডারসন এবং গোল করে। ম্যাচের শেষ শর্ট নিতে আসে রিয়ালের রুডিগের। তিনি গোল করলে রিয়াল ম্যাচ জিতবে আর ব্যর্থ হলে ম্যাচ ড্র আবার শ্যুট আউট হবে। এবং সত্যি সত্যি রুডিগের গোলটা করে ফেলল। রিয়াল ম্যাচ টা জিতে নিল ট্রাইব্রেকারে গিয়ে। রিয়াল এখন চ্যাম্পিয়ন লীগের সেমিফাইনালে। সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। সেমিফাইনালের প্রথম লেগ হবে আগামী ১ লা মে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।


















.png)


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.