জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলাম | সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন |
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আমি এইচএসছি ব্যাচ ২০২২ নীলফামারী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসছি পরীক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে নিজের কলেজ লাইফ শেষ করি। এরপর শুরু হয় এডমিশন জার্নি। একে একে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা শেষ হলো না কিন্তু কোথাও চান্স হলো না। ভর্তিযুদ্ধে নেমে বুঝেছি কঠোর পরিশ্রমের সাথে ভাগ্য টাও লাগে। যাইহোক সকল পরীক্ষা শেষে, সিন্ধান্ত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি তে পড়বো। তাই অনেক ভেবে চিনতে সিন্ধান্ত হলো ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হবো। গতকাল আমি ও আম্মু মিলে ইউনিভার্সিটিতে যেয়ে ভর্তি হয়ে আসলাম। জীবনের এক নতুন অধ্যায়ে শুরু করলাম কালকে। আজকে আপনাদের মাঝে ইউনিভার্সিটিতে যেয়ে ভর্তির অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
আমরা এখন নারায়ণগঞ্জ এ ভাইয়ার এইখানে আছি। আর আমি যেই ভার্সিটিতে ভর্তি হাওয়ার জন্য যাবো সেটি হচ্ছে নতুনবাজার ভাটারা থানা এখান থেকে অনেক দূর। তাই আমি আর আম্মু সকাল সকাল এখান থেকে বের হয়ে পরি। আমরা প্রথমেই বরপা বাসস্ট্যান্ড থেকে লেগুনা করে স্টাফ কোয়ার্টার যাই এরপর স্টাফ কোয়ার্টার থেকে ডিরেক্ট বাসে নতুনবাজার এ নামি। প্রায় ২ ঘন্টা জার্নির পর আমরা নতুনবাজারে পৌঁছাই। এরপর নতুনবাজার থেকে একটি রিক্সা করে ভার্সিটিতে যাই।
ভার্সিটিতে ঢুকে সবার আগে আমরা এডমিশন ডিপার্টমেন্ট এ যাই। সেখানে প্রতিটি স্টুডেন্ট কে একটি করে পিসি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে অনলাইনে প্রাথমিক আবেদন এর জন্য। আমাকেও একটি পিসিতে বসে প্রাথমিক আবেদন সম্পূর্ণ করতে বলে। আমি পিসিতে বসে প্রাথমিক আবেদন সম্পূর্ণ করতে থাকি। এখান থেকেই প্রাথমিক আবেদন করে ফেলি।
এরপর আমার আবেদন সম্পূর্ণ হলে আমরা এডমিশন ডিপার্টমেন্ট এ যাই। সেখানে আমার একাডেমিক সার্টিফিকেট,মার্কশিট, প্রশংসাপত্র ইত্যাদি দেখে ও এইগুলোর ফটোকপি নিজেদের কাছে রেখে দেয়। এরপর আমাদের একটি স্লিপ দেয় এবং একাউন্ট ডিপার্টমেন্টে ভর্তির টাকা জমা দিয়ে এখানে স্লিপ দেখাতে বলে। আমরা কথামতো টাকা জমা দিয়ে এখানে এসে স্লিপটি দেখাই তখন সেখান থেকে আমাকে একটি ইমেইল,ও একটি আইডি কার্ড দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে আমার ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
এরপর আমি আর আম্মু মিলে পুরো ভার্সিটি ঘুরে দেখতে থাকি। ভার্সিটিটি অনেক বড়, এটির রয়েছে নিজস্ব অনেক বড় একটি মাঠ। মাঠটি অনেক বড় এবং এই ভার্সিটির ক্যাম্পাস দেখতে অনেক বেশি সুন্দর। আমরা প্রথমে ভার্সিটির মাঠটি দেখি যেটি আমার কাছে অনেক বেশি সুন্দর লেগেছে। এরপর আমরা আমার ডিপার্টমেন্ট অর্থাৎ কম্পিউটার সাইন্স ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট দেখতে যাই এখানে ক্লাস রুমগুলো অনেক সুন্দর ও প্রতিটি স্টুডেন্ট এর জন্য একটি করে পিসি বরাদ্দ রয়েছে। ক্লাসরুম গুলো ও আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
এরপর আমরা ভার্সিটির টপ ফ্লোরে যাই লিফটে করে, এখান থেকে বাইরের ভিউটি অসম্ভব সুন্দর আসছিলো যা দেখে চোখ জুড়ায় যাচ্ছিলো। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছিলো দেখার মতো। এরপর আমরা ভার্সিটির বেসমেন্টে যাই যেখানে জিমনেশিয়াম, গেমিং ও অনেক বড় অডিটোরিয়াম দেখতে পাই।
এরপর আরো কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে ভার্সিটির বাসে করে নতুনবাজার অব্ধি আসি। আজকের মতো এখানেই। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন যেন ভবিষ্যৎ এ ভালো কিছু করতে পারি। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।












অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা তোমার জন্য তুমি যেন ভবিষ্যতে মানুষের মত মানুষ হতে পারো এই দোয়াটাই করি। সফলতায় পূর্ণতা পাক জীবনের এই নতুন অধ্যায়।♥♥
আপনি ভার্সিটি জীবনের পদার্পণ করেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। পরিবারের আশাগুলো এবং নিজের স্বপ্নগুলো পূরণ করতে পারেন । আপনার জন্য ভালোবাসা ও দোয়া অবিরাম রইল। আপনি এবং আপনার আম্মু দুজন মিলে ভার্সিটি ঘুরে দেখেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।