তেলাকুচা পাতার বড়া রেসিপি🥰
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
গাছটির ভেষজ ব্যবহারের জন্য এর পাতা, লতা, মূল ও ফল ব্যবহৃত হয়। তেলাকুচা পাতা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার।
এই তেলালতার পাতার রস ডায়াবেটিস রোগে বিশেষ উপকারী। গ্রামে এ পাতার রস মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়। শাক হিসেবে খাওয়া হয় এ পাতা। পাড়া-মহল্লায় টুকরিতে করে এ শাক বিক্রি হতে দেখা যায়। পাতার রসে আছে অনেক পুষ্টি।
আমি এই তেলাকুচা বেশি ভাগ সময় শাক হিসেবে খেয়ে থাকি।গ্রামের আনাচে কানাচে এই তেলাকুচা শাক অনেক পাওয়া যায়।আমার বাড়িও ভর্তি এই শাক দিয়ে। শাক হিসেবে খেতে অনেক মজা।অনেকেই ঝোলও খেয়ে থাকে।ডায়াবেটিসের জন্য অনেক উপকারী জন্য ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যাক্তিরা তরকারি খায়।
আমাদের এলাকায় সবাই এই উপকারী তেলাকুচো শাকের।সবার কাছে শুনি অনেক সুস্বাদু তবে কখনো খাওয়া হয়নি।এবার মেয়ের জেদের কারণে বানালাম। মেয়ে তার খেলার সাথীর বাড়িতে গিয়ে খেয়েছে এবং ভালো লেগেছে খেয়ে আর আমার কাছে বায়না ধরেছে বানিয়ে দেয়ার জন্য।
মেয়ে বাড়ি থেকে তুলেছে তেলাকুচা শাক এবং সেগুলো ধুয়ে পরিস্কার করে দিয়েছে।মেয়ে আমার অনেক বড়ো হয়ে গেছে মনে হচ্ছে। মেয়ের আবদার মেটানোর জন্য তেলাকুচার বড়া ভাজার আয়োজন করে ভেজে দিলাম।খেয়ে এতো ভালো লাগলো যে মন চাচ্ছে প্রতিদিন ভেজে খাই এই সুস্বাদু বড়া।
তো চলুন দেখা যাক তেলাকুচা শাকের বড়া বানানো পদ্ধতি কেমন।
১.তেলাকুচা পাতা |
---|
২.চালের গুড়ি |
৩.ভেজ্যতেল |
৪.লবন |
৫.হলুদ |
প্রথম ধাপ
প্রথমে তেলাকুচা শাক গুলো ধুয়ে পরিস্কার করে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন শীল,পাটায় খুব ভালো করে বেঁটে নিয়েছি তেলাকুচা পাতা গুলো।
তৃতীয় ধাপ
এখন বেঁটে নেয়া তেলাকুচায় চালের গুড়ি লবন,হলুদ দিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন সব গুলো উপকরণ দিয়ে মেখে নিয়েছি।মাখার পরেও সবুজ লাগছে কারণ আমি চালের গুড়ি কম দিয়েছি।চালের গুড়ি কম দেওয়ার কারণে বড়া গুলো সুস্বাদু বেশি হ'য়েছে।
পঞ্চম ধাপ
এখন চুলায় একটা কড়াই বসিয়েছি ও তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম করে নিয়েছি ও আগে থেকে মেখে রাখা তেলাকুচা পাতা হাতের সাহায্যে বড়া আকারে বানিয়ে বানিয়ে গরম তেলে দিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন গরম তেলে দেয়া বড়া গুলো এপিঠ ওপিঠ করে ভালো করে মচমচে করে ভেজে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
এখন নামিয়ে নিয়েছি পরিবেশের জন্য।
পরিবেশ
এই ছিলো আমার আজকের চমৎকার সুন্দর তেলাকুচা পাতার বড়া রেসিপি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
তেলাকুচার পাতা খুবই উপকারী একটি জিনিস। এই পাতা যেকোনো শাকসবজির মধ্যে দিয়ে খাওয়া প্রয়োজন। এতে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দূর হয় শুনেছি। আপনি তো আজকে একেবারে বড়া তৈরি করে দেখিয়েছেন। জানিনা কতটা সুস্বাদু হয়েছে। তবে দেখে খুবই খাওয়ার ইচ্ছে হলো।
খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার।
তেলাকুচা পাতার বড়া রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপির পরিবেশোনা আমার কাছে ইউনিট লেগেছে। এভাবে কখনো এই রেসিপি তৈরি করা হয়নি। তাই দেখে শিখে নিলাম।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমাদের এলাকায় এটা প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এটার ঔষধি গুণ আছে সেটাও জানি। তবে এটা এইভাবে বড়া বানিয়ে কখনও খাইনি। আপনার পোস্টে প্রথম দেখলাম। এটা একদিন ট্রাই করতে হবে। দারুণ তৈরি করেছেন। চমৎকার লাগল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ঔষধি গুণ আছে।আপনাদের এলাকায় প্রচুর পাওয়া যায় জেনে ভালো লাগলো।খেয়ে দেখবেন একদিন বানিয়ে বেশ ভালো লাগবে।
তেলাকুচা পাতায় অনেক উপকার জানা ছিল। ছোটবেলায় মাথায় দিয়েছি। এতে মাথা অনেক ঠান্ডা হয়। আপনি খুব চমৎকারভাবে তেলাকুচা পাতার উপকারিতা বর্ণনা করেছেন। তাছাড়া এই পাতা দিয়ে যে বড়া বানানো যায় তাই তো জানা ছিল না। খুবই স্বাস্থ্যকর একটি বড়া তৈরি করেছেন। ভালো লাগলো দেখে।
শুনেছি মাথায় দিলে মাথা ঠান্ডা হয়।তেলাকুচা পাতায় ঔষধী গুণ আছে তাই স্বস্থ্যকর।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
তেলাকুচা পাতাগুলোকে আমরা কলা কচুর পাতা বলে থাকি। আজকে আপনি তেলাকুচা পাতা দিয়ে খুব মজার বড়া তৈরি করেছেন। তবে এই পাতা দিয়ে কখনো বড়া বানিয়ে আমি খাই নাই। একদিন চেষ্টা করব এভাবে বড়ার রেসিপি বানার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে মজার বড়া রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অঞ্চল ভেদে নাম ভিন্ন। খেয়ে দেখবেন আপু খুব ভালো লাগবে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বিভিন্ন ধরনের বড়া খেয়েছি কিন্তু কোনদিন তেলাকুচু পাতার বড়া খাইনি। আজকের রেসিপিটি আমার কাছে অনেক ইউনিক লাগছে ।ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
খেয়ে দেখবেন খুব ভালো লাগবে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য কারার জন্য।
তেলা কচুর পাতা শরীরের জন্য অনেক ভালো। আর এই তেলা কচু পাতার রেসিপিটি দেখে অনেক ভালো লাগলো কারণ এ ধরনের বড়া খেতে খুব ভালো লাগে।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।