খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
"খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি" এটা আমাদের এলাকার একটা প্রবাদ বাক্য। প্রায়শই অনেকের মুখে এটা শোনা যায়। প্রবাদ টার অর্থ আশাকরি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। আমরা যখন কোন কাজ করি, কিন্তু সেই কাজের থেকে বেশি আমরা ব্যয় করে ফেলি অথবা অতিরিক্ত কিছু করে ফেলি তখন এই প্রবাদ টা বলা হয়। হঠাৎ আজ আমি এই প্রবাদ নিয়ে কেন শুরু করলাম আজ সেটাই বলব। এই সেমিষ্টারে আমাদের পাবলিক স্পিকিং একটা কোর্স ছিল। যেখানে পুরো সেমিষ্টার জুড়ে আমরা বেশ কিছু স্পিচ দিয়েছি কয়েকটা প্রেজেন্টেশন দিয়েছি। এবং শেষ একটা ভাইবা ছিল জব ইন্টারভিউ যেটা আমাদের কোর্স টিচারই নেবে। সেটা ছিল গত শুক্রবার। ঐদিনই আমাদের আরও দুইটা সাবজেক্ট এর পরীক্ষা ছিল।
পরীক্ষা শেষে বিকেলে হবে আমাদের সেই ইন্টারভিউ। মোটামুটি সবাই স্যারের কথামতো ফর্মার ড্রেস পড়ে এসেছে। কারণ সেটাতে ছিল পুরোপুরি ৫ মার্ক। সবাই দেখলাম ঐ ৫ মার্ক পাওয়ার জন্য একটু বেশিই সিরিয়াস। কিন্তু আসল ঘটনা একেবারে অন্য জায়গাই। পরীক্ষা হলে আমি বসে আছি। কিছুক্ষণ পরেই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষা শুরু। তখন আমার এক ফ্রেন্ড পুরোপুরি স্যুটেট বুটেড হয়ে আমার কাছে এসে বলছে বন্ধু এই পরীক্ষায় একটু দেখাস। আমি প্রথমে ওর দিকে তাকালাম। তারপর বললাম কী রে তুই এতো ফিটফাট হয়ে আসছিস একটা ভাইবার জন্য অথচ এমন একটা পরীক্ষার জন্য প্রিপারেশন নিস নাই। আমার বন্ধু আমার কথা শুনে আর কিছু না বলে চলে গেল।
পরীক্ষা শেষ হলো। আমি বেশ কয়েকবার আমার ঐ বন্ধুর দিকে তাকিয়েছিলাম পরীক্ষার সময়। ও শুধু এদিক ওদিক উকি দিচ্ছিলো। কিন্তু স্যার একটু কঠোর হওয়াই দেখার সুযোগ খুব বেশি পায় নাই। যাইহোক সেটা চলে গেল। তারপর লাঞ্চ ব্রেক। লাঞ্চ ব্রেকের পরে আবার আরেকটা পরীক্ষা। আমি সাধারণত লাঞ্চ শেষ করে এসে একটু চোখ বুলিয়ে নেয় নোটগুলোতে। তখন দেখি আমার বেশ কিছু বন্ধু ছবি উঠছে। সবাই একটা দারুণ গেটাফে আছে ছবি না উঠলে হয়। সে কী একটা একটা স্টাইল। পরে আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। আমি নিজেও বেশ কিছু ছবি তুলে চলে আসি। কারণ পরীক্ষার আগে একটু প্রিপারেশন আমাকে নিতে হবে। কিন্তু ওরা ওদের মতো ছবি তুলেই যাচ্ছে। শুরু হলো দ্বিতীয় পরীক্ষা।
পরীক্ষার এক পর্যায়ে একজনের দিকে খেয়াল করলাম যে তখন খুবই আগ্রহ নিয়ে ছবি তুলছিল। সে শুধু আঙ্গুল কামড়াচ্ছিল হা হা। পরবর্তীতে পরীক্ষা শেষ হলে ভাইবার সময় চলে আসে। যথারীতি একে একে ভেতরে গিয়ে দিতে থাকি। যে উওর দিতে পারছিল তার মোটামুটি ৪-৫ মিনিট সময় লাগছিল। আর যে পারছিল না স্যার তাকে ১-২ মিনিটের মধ্যেই ছেড়ে দিচ্ছিল। তো আমার ঐ কয়েকজন বন্ধু যারা একটু অতিরিক্ত গেটাফে এসেছিল তারা মোটামুটি কেউই স্যারের সামনে দুই মিনিটের বেশি টেকেনি। তারা তাদের পোষাকের দিক ঠিক রাখলেও কোন প্রিপারেশন নেয়নি। তারা ঠিকই ফর্মাল ড্রেস আপের ৫ মার্ককে গুরুত্ব দিয়েছে কিন্তু বাকি ২০ মার্কের জন্য কোন লেখাপড়া করেনি কোন প্রিপারেশন নেয়নি। সহজ বাংলা ভাষায় যাহাকে বলে "খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি" ওদের ছিল ঠিক এই অবস্থা।।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।






.png)


