গ্ৰাম বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম আসসালামু আলাইকুম

শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।

প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, গ্ৰাম বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এই বিষয় সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।

আসুন শুরু করি

বলা হয়ে থাকে, সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই গ্রাম বাংলার প্রতিটি জনপদ। বাংলাদেশের গ্রাম বাংলার নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য আর কোথায় খুঁজে পাওয়া যায় না। এমন দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যি হৃদয় ছুঁয়ে যায়। গ্রাম বাংলার যে দিকে চোখ যায় সেদিকে মন হারিয়ে যায়। বৈচিত্রময় নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই বাংলার প্রতিটি গ্রাম। গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য দেখলে মন যেন হারিয়ে যায় প্রকৃতির ভালোবাসা। গ্রাম বাংলার সবুজের বৈচিত্রময় সৌন্দর্য দেখতে কি যে ভালো লাগে তা মুখের ভাষায় বলে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

বাংলা প্রতিটি গ্রাম অপার সৌন্দর্যে ভরপুর। গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তনশীল। সকাল বিকাল সন্ধ্যা যার বৈচিত্রময় সৌন্দর্য আমরা প্রতিমুহূর্তে দেখতে পাই। গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা আনন্দটাই অন্যরকম হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একবার উপভোগ করলে বারবার উপভোগ করতে মন চায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মন দোলা দেয় আনন্দের হাওয়াতে। বাংলাদেশের ঋতু পরিবর্তনের মাধ্যমে গ্রাম বাংলার বৈচিত্র সৌন্দর্যের ভিন্নতা রক্ষা করা যায়। সবুজের চাদরে মুড়ানো অপরুপ সৌন্দর্যে মন কেড়ে নেয় বারবার।

গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যিই মনকে আলাদা শান্তি দেয়। বিশাল সবুজ মাঠ, দিগন্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা ধানের ক্ষেত দক্ষিণের হাওয়া দুলে ওঠে। দেখলে যেন মনে হয় প্রকৃতি নিজে আনন্দে মেতে উঠেছে। গ্রামের সরু কাঁচা পথ ধরে হাঁটলে দুই পাশে সারি সারি তাল, নারিকেল, খেজুর আর বটগাছসহ নানা রকমের গাছ চোখে পড়ে। যেগুলো গ্রামের সৌন্দর্যকে আরও জীবন্ত এবং প্রাণবন্ত করে তোলে। বিশেষ করে শীতের সকালে ভোরবেলায় কুয়াশা ঢাকা মাঠ, হরেক রকম পাখিদের কিচিরমিচির ডাক ডাক, আর সূর্য ওঠার নরম আলো পুরো গ্রামকে সোনালি রঙে রাঙিয়ে দেয়।

দুপুরে নদীর ধারে বসে জলের কলকল শব্দ শুনলে মন অদ্ভুতভাবে হালকা হয়ে যায়। সূর্য থাকে মাথার উপরে সাদা মেঘের ভেলা ভেসে যায়। সন্ধ্যায় যখন গ্রাম জুড়ে পাখিরা বাসায় ফিরে, আকাশে লালচে আলো পড়ে, আর দূরে কোথাও বাঁশির সুর ভেসে আসে, তখন গ্রামের প্রকৃতি আরও শান্ত, আরও স্নিগ্ধ লাগে। গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য দেখলে চোখ জুড়ে যায় মনে প্রশান্তি চলে আসে। ব্যস্তময় ইট পাথরের শহরের মিথ্যা ভালবাসা আবেগের মোহনায় যেখানে জীবন সাদা কালো হয়ে থাকে প্রকৃতির মাঝে জীবন আবার ফিরে পায় তার নতুন ভাবে বেঁচে থাকার নতুন আশা। প্রকৃতির মাঝে ডুবে গেলে মনে হয় জীবন কত সুন্দর, কত সহজ, আর কত কাছের।

পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।

অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।

সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।

আমার পরিচিতি

আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।