বাচ্চাদের নিয়ে জিরো গ্রাভিটিতে একদিন

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।



আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বাচ্চাদেরকে নিয়ে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন খেলার জায়গায় যেতে হয়। বসুন্ধরা আবাসিক এর মধ্যে কোন খেলার মাঠ নেই। তাদেরকে বিকাল বেলা একটু ঘুরতে নিয়ে যাব তার উপায় নেই। ঘরে থেকে বাচ্চারা বিরক্ত হয়ে যায়। সেজন্য মাঝেমধ্যে ইনডোর গেমসগুলোতে নিয়ে যাই। কিছুদিন আগে ছেলের আলোহাতে ফাইনাল এক্সাম হয়েছে। এক্সামে খুব ভালো করেছে। এ প্লাস পেয়েছে। তাই তার বাবা বলেছিল তাকে ঘুরতে নিয়ে যাবে এবং বাইরে খাওয়াবে। কিন্তু কোথায় নিয়ে যাবে তা বলেনি। সেদিন হঠাৎ করে আমাদেরকে নিয়ে জিরো গ্রাভিটিতে গিয়েছিল। এখানে ওরা আগে কখনো আসেনি। শেফস টেবিলের ভিতর। এর আগে অনেকবার শেফস টেবিলে গিয়েছি। কিন্তু ওই দিকটা কখনো যাওয়া হয়নি। তাই তাদেরকে ওখানে নিয়ে গিয়েছিল ওদের বাবা।



IMG_2526.jpeg


IMG_2528.jpeg


বাচ্চাদের ইন্ডোর গেমসগুলোর টিকিটের দাম এত বেশি যে আমার এখানে যেতে ইচ্ছা করে না। অন্যান্য ইনডোর গেম থেকে এখানে টিকিট আরো অনেক বেশি। এক একজনের ৩০ মিনিটে ৯০০ টাকা করে। মাত্র ত্রিশ মিনিটে ৯০০ টাকা মানা যায়। কিন্তু বাচ্চাদেরকে নিয়ে এসেছি এখন তো টিকিট কিনতেই হয়। আবার ভিতরে ঢোকার জন্য আলাদা মোজা কিনতে হয়। সব মিলিয়ে বারোশো টাকার মত খরচ হয়েছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম দুইজনের জন্য টিকিট কাটবো। পরে দেখলাম যে ছোট ছেলের সঙ্গে একজন গার্ডিয়ান ফ্রি। প্রথমে বুঝতে পারিনি ওর বাবাকে যেতে বলছিলাম। পরে টিকিট কাউন্টারের যে মেয়েটি ছিল সে বললো যে ছোট ছেলের টিকিট কেটে বড় ছেলেকে গাইড হিসেবে পাঠিয়ে দিতে পারবো। পরে ভেবে দেখলাম যে এটাই ভালো হবে। দুজনে খেলতে পারবে ভিতরে গিয়ে।


IMG_2527.jpeg


IMG_2532.jpeg


বাচ্চাদেরকে ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে আমরা উপরে চলে গেলাম। উপর থেকে বাচ্চাদের খেলা দেখা যায়। এটা অবশ্য ভালো সিস্টেম যে উপর থেকে নজর রাখা যায় বাচ্চারা কি করছে। ব্যথা পেল কিনা। আমরা ৩০ মিনিটের জন্য বসে ছিলাম। বাচ্চারা অনেক খেলাধুলা করেছে। ত্রিশ মিনিট সময় অনেক বেশি মনে হচ্ছিলো বসে থাকতে থাকতে। বাচ্চারাতো খুবই খুশি।


IMG_2533.jpeg


IMG_2534.jpeg


ভিতরে বিভিন্ন ধরনের স্লাইট, রোপওয়ে আরো বিভিন্ন অ্যাক্টিভিটি ছিল। বাচ্চারা ওগুলো খেলছিল আর আমরা উপর থেকে দেখছিলাম। ভিতরে ছোট বাচ্চাদের জন্য আর একটি জোন আছে। সেখানে অনেক বেশি বল রাখা ছিল। সেখানে আবার বড় ছেলে এলাউ না। সেখানে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ খেলাধুলা করেছে ছোট ছেলে।


IMG_2537.jpeg


IMG_2543.jpeg


৩০ মিনিট পর ওখান থেকে বেরিয়ে শেফস টেবিলে চলে গেলাম। এখন বাচ্চাদেরকে কিছু না খেলে তো হবে না। তাই আমরা চিকেন ফ্রাই অর্ডার দিয়েছিলাম। পরে ভাবলাম যে এখানে বসে খাওয়ার থেকে বাসায় নিয়ে গিয়ে খাই। মাগরিবের সময় হয়ে গিয়েছিল। নামাজ যেন মিস না যায় সেজন্য তাড়াহুড়া করে বাসায় চলে এসেছিলাম। এসে পরে আরাম করে চিকেন ফ্রাই খেয়েছি সবাই মিলে।


IMG_2530.jpeg


IMG_2551.jpeg


ওদের বাবা বাচ্চাদেরকে বেশ ভালো একটা সারপ্রাইজ দিয়েছে। ওরা খুব মজা পেয়েছিলো।
যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।



ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
PhoneI Phone 15 Pro Max
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

IMG_2740.webp

Sort:  
 last year 

IMG_2791.png

IMG_2792.png

IMG_2793.png

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। মাঝেমধ্যে এভাবে বাহিরে খাওয়া-দাওয়া করার জন্য গেলে ভালো লাগে। আর বাচ্চারা তো খেলাধুলা করতে অনেক বেশি পছন্দ করে। বাচ্চারা অনেক মজা করেছে দেখছি। ভালোই করেছেন বাসায় নিয়ে এসে। পরবর্তীতে সবাই একসাথে মজা করে খেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।

 last year 

ঠিক বলেছেন আপু মাঝেমধ্যে এরকম বাইরে বাচ্চাদেরকে নিয়ে গেলে ওরাও খুব খুশি হয়ে যায়। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আপু আজ আপনি অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। মাঝেমধ্যে বাচ্চাদের নিয়ে বাহিরে খাওয়া-দাওয়া ও ঘুরাঘুরি করতে গেলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। বাচ্চারা অনেক বেশি খেলাধুলা করতে অনেক পছন্দ করে। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

 last year 

বাচ্চাদেরকে মাঝে মাঝে বাইরে নিয়ে না গিয়ে উপায় নাই। ঘরে থেকে থেকে বিরক্ত হয়ে যায়। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

বাচ্চাদেরকে নিয়ে আপনি জিরো গ্রাভিটিতে গিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। ওখানে গিয়ে সুন্দর মুহূর্ত কাটালেন দেখে ভালো লাগলো। বিশেষ করে বাচ্চাদের কথা ভাবতে একটু বেশি ভালো লাগছে। কারণ তারা ওখানে অনেক ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিল। খাবার বাড়িতে নিয়ে এসে মজা করে খেয়েছেন শুনে ভালো লাগলো।

 last year 

বাচ্চারা বেশ মজা করেছিল ওখানে গিয়ে। ভালো সময় কাটিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

এতো বড় একটি আবাসিক এলাকা বসুন্ধরা আর খেলার মাঠ নেই।বেশ অবাক হলাম । আমরা কে্বল ব্যবসাই বুঝি কিন্তু বাচ্চাদের বিকাশের জন্য যে খেলাধুলা দরকার সেটা মাথাতেই রাখি না। আর এই জন্য ইনডোর গেমস এর প্রচলন দিন দিন বাড়ছে।ঢাকা শহরে বিভিন্ন নামের ইনডোর গেমস এর প্রতিষ্ঠান আছে। সে সকল এর টিকেট ফি অনেক বেশি যা মেনে নেয়া বেশ কষ্টকর। তবে বাচ্চাদের জন্য এটা মেনে নিতেই হচ্ছে। বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছন আপনারা জেনে বেশ ভালো লাগলো।

 last year 

এরা খুব ব্যবসায়িক মন মানসিকতার। তাই খেলার মাঠ করে জায়গা নষ্ট করে না। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।