ইন্দোনেশিয়া ও তাদের অদ্ভুত রীতিনীতি।।০৯ মার্চ ২০২৪
ইন্দোনেশিয়া সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের মন্ডিত একটি বৈচিত্র্যময় জাতি।অসংখ্য অনন্য এবং আকর্ষণীয় আচার-অনুষ্ঠান বিদ্যমান।যা এর জনগণের গভীর আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক বিশ্বাসকে প্রতিফলিত করে। এরকম একটি অদ্ভূত ও আকর্ষণীয় রীতিনীতি হলো একটি অল্প বয়স্ক ছেলের মৃত্যুকে ঘিরে।এটি একটি আচার যা স্থানীয় ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত এবং জীবন, মৃত্যু এবং পরকালের প্রতি সম্প্রদায়ের দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করে।
ইন্দোনেশিয়ার কিছু আদিবাসী উপজাতির জন্য নির্দিষ্ট এই আচার অনুষ্ঠানটি করা হয় যখন একটি ছোট ছেলে মারা যায়। বিশ্বব্যাপী অনেক সংস্কৃতির সাথে পরিচিত প্রচলিত দাফন বা শ্মশান প্রথার পরিবর্তে এই সম্প্রদায়গুলি একটি অন্য রকমের অনুষ্ঠান পরিচালনা করে যেখানে মৃত শিশুকে একটি গাছের নীচে বসিয়ে রাখা হয়। এই গাছটি প্রায়শই পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে শিশুর আত্মাকে আলিঙ্গন করে এই পবিত্র গাছ এবং পরকালের যাত্রায় সহায়তা করে।
গাছটি একটি প্রাকৃতিক সমাধি হিসাবে কাজ করে।এর শিকড়গুলি সময়ের সাথে ধীরে ধীরে শরীরকে আবৃত করে। এই প্রক্রিয়াটি জীবনের চক্রাকার প্রকৃতিতে বিশ্বাস করে এবং সমস্ত জীবের আন্তঃসংযুক্ততার প্রতীক। সম্প্রদায়গুলো এই গাছটিকে একটি অভিভাবক হিসাবে দেখে যা শিশুর আত্মাকে সুরক্ষা এবং নির্দেশিকা প্রদান করে।পরকালের শান্তি এবং ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করে এই পবিত্র গাছটি।
আচারের সময় পরিবারের সদস্যরা এবং গ্রামবাসীরা শিশুর স্মৃতি এবং আত্মাকে সম্মান জানাতে এই অনুষ্ঠানে যোগদান করে।যার মধ্যে খাদ্য, ফুল এবং মৃত ব্যক্তির ব্যক্তিগত আইটেম অন্তর্ভুক্ত থাকে। সবাই ভালোবাসা এবং সম্মানের অভিব্যক্তি দেয় যার লক্ষ্য শিশুর পরবর্তী রাজ্যে ভালো থাকা।
যাই হোক এই আচারটি প্রকৃতির প্রতি সম্প্রদায়ের শ্রদ্ধাকে প্রকাশ করে।একটি পরিবেশগত বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করে যা প্রাকৃতিক পরিবেশের পবিত্রতা এবং মানুষের জীবন ও মৃত্যুতে স্বীকৃতি দেয়।যে গাছের নীচে শিশুটিকে রাখা হয় সেই গাছ কে অত্যন্ত সম্মানের সাথে বিবেচনা করা হয় এবং এই জায়গাটি সম্প্রদায়ের জন্য পবিত্র হয়ে যায়।
যদিও এই অভ্যাসটি বহিরাগতদের কাছে অস্বাভাবিক বলে মনে হতে পারে।এটি বিভিন্ন উপায়ের একটি মর্মস্পর্শী সংস্কৃতি।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
জ্বী দাদা এটা আমাদের কাছে একটু ভিন্ন রকম কিংবা অবাক করার বিষয় বটে কিন্তু তাদের নিকট হয়তো আবেগ এবং বিশ্বাসের কিছু, তার সাথে তাদের সংস্কৃতির অংশ। এই রকম কিছু এই প্রথমবারের মতো জানলাম আপনার পোষ্টের মাধম্যে। অনেক ধন্যবাদ নতুন কিছু জানার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
জাতি ভেদে আচার-আচরণ এবং রীতি-নীতির পরিবর্তন আমরা প্রায়ই দেখে থাকি। তবে ইন্দোনেশিয়ার এই বিষয়টি আজ প্রথম শুনলাম আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে। যদিও আমাকে অদ্ভুত লেগেছে কিন্তু তাদের কাছে এই রীতিনীতি একদম স্বাভাবিক একটি বিষয়, সেটা আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম দাদা, সর্বোপরি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
I don't understand the text but the photo looks like art to me!
আসলেই এমন সংস্কৃতি সম্পর্কে আগে জানা ছিলো না। আমাদের গতানুগতিক ধারার থেকে বেশ বাহিরে গিয়ে এমন সংস্কার কিছুটা অবাক করার মতন ই। তবে প্রকৃতির সাথে একাত্বতা প্রকাশ এবং প্রকৃতির পবিত্রতা মেনে নেয়ার এই অদ্ভূত রীতি টি বেশ গভীর চিন্তাভাবনায় ফেললো।
ইন্দোনেশিয়ার এই বিশেষ জাতির রীতিটি আমার বেশ ভালো লাগলো দাদা।ছোট বাচ্চা মারা যাওয়ার পর একটি গাছের নিচে বসিয়ে সেই গাছটিকে তারা বিশেষ সম্মান প্রদান করেন এবং প্রকৃতির এক পবিত্র জিনিস হিসেবে মানেন।একটু অদ্ভুত হলেও আমার সুন্দর এই রীতি টি।এই অজানা বিষয়টি জানতে পারলাম দাদা আপনার পোস্টটির মাধ্যমে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
বিভিন্ন দেশের সাংস্কৃতি বিভিন্ন ধরনের। তাদের সাংস্কৃতি আচার-আচরণ সবকিছুই ভিন্ন ভিন্ন। দাদা আজকে আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারলাম।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
ইন্দোনেশিয়ার প্রথাটা জেনে একদমই অন্য ধরনের লাগলো। আমাদের দেশেও কিছু জায়গায় বৈরাগী জাতিদের মধ্যে বাচ্চার মৃত্যু হলে একটা বড়ো গাছের কাছাকাছি মাটি দেওয়া হয়। জানিনা এগুলোর মধ্যে সম্পর্ক কি তবে জিনিস গুলো মানুষের সাথে প্রকৃতির যে ভালোবাসা সেটাই তুলে ধরে।
দাদা আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম ।ইন্দোনেশিয়ায় মৃত শিশুদেরকে গাছের নিচে বসিয়ে এইভাবে প্রকৃতির সম্মান প্রদর্শন করে। ভিন্ন ধরনের আয়োজন আগে কখনো এই ধরনের রীতি সম্পর্কে জানা হয়নি । সত্যিই এটা মূলত প্রকৃতিকে ভালোবেসে এই রীতিটা তারা পালন করে থাকে সেটাই বুঝতে পারলাম।