কক্সবাজারে পাটুয়ার টেক ভ্রমণের মুহূর্ত।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
আজ চলে এলাম কক্সবাজারে কাটানো ৩য় দিনের মুহূর্ত নিয়ে।আসলে কক্সবাজারে গিয়ে যদি বাসায়ই বসে থাকি, তাহলে আর লাভ কি তাই না!সেজন্যই সেদিন ভোরে উঠে গেলাম।কারণ আমাদের জন্য একটা সিএনজি চলে আসবে ৮:৩০ এর মধ্যে।যথারীতি ভোরে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা সেরে নিলাম।তারপর রেডি হয়ে ড্রইভারকে কল করে জিজ্ঞেস করলাম,কতদূর আছে।তখন তিনি বললেন আর ৫ মিনিট লাগবে।
ততক্ষণে আমরা নিচে চলে গেলাম।আমরা বাইরে বেরিয়েই দেখলাম সিএনজি চলে এসেছে।তারপর আমরা রওনা দিলাম।আসলে ড্রাইভার বলেছিল যে ইনানীর দিকে সবগুলো পর্যটন স্পটেই আমাদের নিয়ে যাবে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এর মাঝে যত জায়গায় যাওয়া যায় যাবে। আর সেই উদ্দেশ্যেই পথ চলা।তবে কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই সমুদ্র সৈকতে সৌন্দর্য চোখে ধরা পড়লো।
প্রায় এক ঘন্টা লেগেছে আমরা পাটুয়ার টেক পৌঁছাতে। কারণ আমরা সবাই পূর্বেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ইনানীর পরে যদি কোন স্পট থাকে তাহলে আগে সেটাতে গিয়ে ঘুরে আসবো। তারপর আসার পথে সবগুলো স্পটে যাব। যেই ভাবনা সেই কাজ। যেতে যেতে সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। এক পাশে পাহাড় আরেক পাশে সমুদ্র এর মাঝখানে আমাদের গাড়ি এভাবেই চলছে তো চলছেই। এক ঘন্টা পথ পার হওয়ার পর চলে গেলাম পাটোয়ার টেক। আর সেখানে বেশ ভালোই মুহূর্ত উপভোগ করেছি।
ইনানী থেকেও পাটুয়ার টেক আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। এর কারণ হলো পাটোয়ার টেক রাস্তা থেকে অল্প খানিকটা দূরে ছিল। কিন্তু ইনানী রাস্তা থেকে অনেক দূরে ছিল। যেটা একপ্রকার রোদের মধ্যে হেঁটে হেঁটে সেখানে যাওয়াটা আমার কাছে কষ্টকর মনে হয়েছে। পাটোয়ার টেকে গিয়ে প্রথমে আমরা নিচে নেমে গেলাম। দেখলাম সেখানে এখনো তেমন কোনো মানুষই যায়নি। কারণ আমরা যেহেতু সকাল সকাল গিয়েছি সবাই ধীরে ধীরে আসবে।
যাইহোক সেখানে নামার পর নিভৃত কোল থেকে নামতেছিল না। তারপর যখন আমরা ওকে নামিয়ে দিয়েছিলাম তখন সে চারদিকে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দিয়েছিল। নিজে নিজেই হাটছিল। যা মজা সে করেছে। আসলে কক্সবাজারে গিয়ে নিভৃত অনেক বেশি খুশি ছিল।যতবার পানিতে নেমেছি তত বারই ও খুব আনন্দে সময়টা কাটিয়েছে সে। দৌড়ঝাপের উপরই ছিল। তারপর আমরা পাথরের উপরে বসে সবাই কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
আমি আবার খালি পায়ে পানিতে হেঁটেছিলাম একটু দূর পর্যন্ত। আসলে জায়গাটা আমার খুব ভালো লেগেছিল। তখন নিভৃত কিন্তু আমাকে দেখে নিজেই পানি দিকে চলে গিয়েছিল। ওকে নিয়ে কি আর আসলে এক পাশে দাঁড়ানো যায়? সব সময় পানির দিকে ঝোঁক বেশি। আর এজন্য সে পানিতে বেশ কিছুক্ষণ খেলা করেছিল। সেখানে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করার পর আমরা আবার ব্যাক করলাম।তবে সেটা নিয়ে অন্য একদিন আপনাদের মাঝে হাজির হব।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কক্সবাজারে পাটুয়ার টেক ভ্রমণের মুহূর্ত অসাধারণ ছিল। পরিবারের সাথে ভ্রমণের এই মুহূর্তগুলো সত্যি অনেক আনন্দের হয়ে থাকে। বিশেষ করে আপনাদের সেখানে পৌঁছাতে এক ঘণ্টা সময় লেগেছিল এবং সেখানে পৌঁছে আপনারা অনেক আনন্দ মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। সেই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভেবেছিলাম তো আপনিও যাবেন এইবার। কিন্তু সময় করতে পারেননি। যাইহোক আগামীতে কখনো যাওয়া হলে তখন আশা করি আপনাকেও সাথে পাব।
আসলে কক্সবাজার দুইবার গিয়েছি ইনানী বিচে সেখানে দারুন সময় কাটিয়েছি। জায়গাটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। আজকে আপনি নতুন একটি জায়গার ধারণা দিলেন তার পাশাপাশি সেখানকার দৃশ্য শেয়ার করলেন। যেখানে যাওয়া হয়নি। অনেক সুন্দর পরিবেশ দেখতে দারুন লাগছে। এর পরবর্তী বার গেলে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করবো। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ইনানীর পরেই হল এই পাটুয়ার টেক। আসলে ইনানী থেকে আমার কাছে এটাই বেশি ভালো লেগেছিল। কারণ প্রথমবারেই এখানে একদম কাছাকাছি সমুদ্র পেয়েছি সেজন্য।
আপনারা দেখছি এবারে কক্সবাজার পটুয়ারটেক গিয়ে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আপনাদের সবাইকে দেখে আমাদের গতবারের কক্সবাজার ট্যুরের কথা মনে পড়ে গেলো। নিভৃতকে দেখেও মনে হচ্ছে ভীষণ আনন্দ করেছে। আসলে কোথাও ঘুরতে গেলে ছোটরা সব থেকে বেশি আনন্দ করে। তাছাড়া জায়গাটা কিন্তু বেশ অসাধারণ লাগছে দেখতে।।
হ্যাঁ আপু নিভৃত তো অনেক বেশি খুশি ছিল। সে সব সময় পানিতে লাফ দিতে চেয়েছিল, অনেক মজা করেছিল সে।
কক্সবাজারে আপনাদের রোদের মধ্যে হাটা চলার মুহূর্তটা আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। কক্সবাজারে আমি আগে কখনো যায়নি তবে ওখানে আমার একটা বন্ধুর বাড়ি। ও আমাকে নিয়ে যেতে চাই কিন্তু সময়ের অভাবে যাওয়া হয় না, যাই হোক আপনারা আপনাদের সুন্দর মুহূর্তগুলো ভালোভাবে উদযাপন করেছেন এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো।
আমরা এই পর্যন্ত দুইবার কক্সবাজারে গিয়েছি। আশা করি পরবর্তী সময়ে আবারো যেতে পারব কারণ সমুদ্র আমার অনেক বেশি ভালো লাগে।
সেটাইতো কক্সবাজার গিয়ে ঘোরাঘুরি না করলে কি হয়। বেশ ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ঘুরতে বের হয়ে পড়লেন সবাই মিলে। ৯ টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত পুরো সময়টাই ঘুরেছেন তাহলে। বেশ ভালো লাগলো আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে। যদিও আমার কক্সবাজার যাওয়া হয়নি তবে শুনেছিলাম ইনানী বিচের থেকেও আরো কয়েকটা জায়গা রয়েছে আরও বেশি সুন্দর। পাটুয়ার টেক টাও বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু ইনানী বিচটায় একটু দূরে হেটে যাওয়া লাগে এজন্যই আমার কাছে বেশি কষ্টকর মনে হয়েছিল। পাটুয়ারটেক ছিল একদম রাস্তার পাশাপাশি এজন্যই ভালো লেগেছিল সেখানে।
কক্সবাজারে যত গুলো পরিচিত বিচ আছে। সে গুলোর মধ্যে পাটুয়ার টেক অন্যতম। সবাই ইনানী ও পাটুয়ার টেক এক সাথে দেখতে যায়। সেখানে বেশ কিছু পাথর আছে,তবে ইনানীর মত না। যায়হোক পাটুয়ার টেকে সবাই মিলে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। নিব্রতকে অনেক সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ।
আমরা প্রথমেই পাটুয়ার টেক গিয়েছিলাম, সেজন্য ইনানীর দিকে আর কষ্ট করে যাইনি । আসলে সেখানে যেমন এখানে হয়তো একটু বেশি পাথর থাকবে। তবুও এতদূর হাঁটতে ইচ্ছে করছিল না তাই যাওয়া হয়নি । একটুর ঘুরাঘুরি করে আবার অন্যদিকে গেলাম
ইনানী রোডে সিএনজি নিয়ে বেশ এনজয় করা যায় দেখে দেখে যাওয়া যায়। যেহেতু আপনারা সোজা পাটোয়ার টেক চলে গেলেন বেশ ভালোই করলেন। আসার সময় সিএনজি থেকে নেমে নেমে সবগুলো বীচ দেখার সুযোগ হয়। আপনারা কক্সবাজার এসে বেশ ভালোই আনন্দ করলেন। আপনাদের প্রিতিনিয়ত শেয়ার করা মুহূর্তগুলো পড়ে বেশ ভালো লাগে। পাটোয়ার টেক সমুদ্র সৈকতের দৃশ্য গুলো অনেক ভালো লাগলো দেখে।
জি আপু,রোডের একপাশে সাগর আরেকপাশে পাহাড়। দারুণ উপভোগ করেছি মুহূর্তগুলো।