ঝাল ঝাল ডাল পুলি পিঠা

in আমার বাংলা ব্লগ10 days ago

"হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আসলে এটাকে রেসিপি পোস্ট কিংবা খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্তও বলা যায়। জ্বরে একদম কোনো কিছুই খেতে ভালো লাগছে না। আর জ্বর হইলে মুখটা একদম তেঁতো হয়ে থাকে মনে হয় করলা খেলাম মাএ।বাসায় আমার নানু আছে। নানুকে বললাম ঝাল ঝাল কিছু বানিয়ে দিতে। তাই সন্ধ্যায় আমার মা আর নানুকে দেখলাম রান্নাঘরে কি যেন একটা তৈরি করছেন। কৌতুহলবশত অসুস্থ শরীর নিয়েই রান্না ঘরে গেলাম দেখতে যে কি রান্না হচ্ছে।

গিয়ে তো আমার চোখ ছানাবড়া।কেননা সেখানে আমার পছন্দের খাবার রান্না হচ্ছে সেটা হচ্ছে ঝাল ঝাল ডালপুলি পিঠা।আমি তো খুবই খুশি আমার পছন্দের খাবার রান্না হচ্ছে দেখে। কিন্তু একদিক থেকে খুব আফসোস হচ্ছিল যে রেসিপিটা পুরোপুরি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারলাম না। আমি সাথে সাথে কয়েকটি ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছি। এই পিঠাটি অনেকে নারকেল দিয়ে বানিয়ে থাকে, মাংস দিয়ে বানিয়ে থাকে। তবে আমার নানু বেশিরভাগ সময় মসুর ডাল দিয়ে বানিয়ে থাকেন।

1000018330.jpg

1000018331.jpg

তো চলুন সংক্ষিপ্ত আকারে রেসিপিটি শেয়ার করি।

1000015079.png

এটি বানানোর জন্য প্রথমেই মসুর ডাল সকল প্রকার মসলা দিয়ে রান্না করে নেয়া হয়।

1000018333.jpg

এরপর পানিতে হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া এবং পরিমাণমতো লবণ দিয়ে পানি ফুটিয়ে নিয়ে চালের গুঁড়া দিয়ে ডো বানিয়ে নিয়ে সেই ডো পাতলা রুটি বানিয়ে নিয়ে ছোট ছোট করে গোলাকারে কেটে নিতে হয়।

1000018334.jpg

1000018335.jpg

ছোট ছোট করে যে গোল রুটি বানিয়ে নিয়েছিল সেগুলোতে অল্প করে রান্না করার ডাল দিয়ে মুখ চেপে সুন্দর করে ফুল তৈরি করে নিচ্ছিলেন আমার নানু এবং পাশের বাসার ভাবীরা মিলে। সাথে আমিও কয়েকটি তৈরি করে দিয়েছিলাম কারণ আমি এটি সুন্দর বানাতে পারি।

1000018316.jpg

1000018336.jpg

এরপর চুলায় কড়াইয়ের গরম তেলে বানানো পুলি পিঠা গুলো দিয়ে মচমচে করে আমার মা ভেজে নিচ্ছিলেন। অপরদিকে সবাই মিলে একদিকে ডাল পুলি পিঠাগুলো খাচ্ছিলাম আর বাকি গুলো বানাচ্ছিলাম।

1000018332.jpg

1000018331.jpg

তো এই ছিল ঝাল ঝাল ডালপুলি পিঠা রেসিপি এবং পিঠা খাওয়ার মুহূর্ত। আমি তো বেশ অনেক কয়েকটা খেয়েছি কারণ জ্বরের মুখে খেতে বেশ ভালো লাগছিল। তাছাড়া তো আমার পছন্দের খাবার তাই একটু বেশি করেই খেয়েছি। আরো একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম সেটা হচ্ছে আমার ছেলেও বেশ পছন্দ করেছে এই ডাল পুলি পিঠা। বাবুও খেয়েছে খুব মজা করে। আপনারা কখনো এই পিঠা খেয়েছেন কিনা জানাবেন। আর না খাইলে অবশ্যই একদিন সুন্দর ভাবে পুরো রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। কারণ এই ডালপুরি পিঠা আমার কাছে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আশা করছি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।

**আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।

1000000117.png

1000000119.gif

1000000118.png

Sort:  
 9 days ago 

ঝাল ঝাল ডাল পুলি পিঠা বাহ্ দারুন। এভাবে কখনো খাইনি। দেখে তো বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজাদার হয়েছিলো। আশাকরি সবাই মিলে জমিয়ে খেয়েছেন। ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।

 8 days ago 

হ্যাঁ ভাইয়া এই ঝাল ডাল পুলি পিঠা খেতে ভীষণ মজাদার হয়। আমরা খুবই মজা করে খেয়েছি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 10 days ago 

এটা আমার কাছে ইউনিক রেসিপি।
যাইহোক জ্বর এলে তেমন কিছুই খেতে ভালো লাগে না। তবে একটু ঝাল ঝাল কিছু হলে মুখে দেয়া যায়। আপনার মা আর নানু দুজনে মিলে লোভনীয় খাবার তৈরি করেছেন। পিঠাগুলো দেখতেও বেশ সুন্দর।

 8 days ago 

এভাবে বানিয়ে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া এই পিঠাগুলো খেতে খুবই মজার হয়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 10 days ago 

এরকম ঝাল ঝাল ডাল পুলি পিঠা খেতে খুবই মজা। সেই ছোটবেলা থেকে আমার পছন্দের পিঠার তালিকায় এই পুলি পিঠা এক নাম্বারে।আজকে আপনি খুবই সুন্দরভাবে ঝাল ঝাল পুলি পিঠা তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।এটা দেখে আমরা খুব সহজেই বাসায় তৈরি করতে পারব।

 8 days ago 

এই ঝাল ঝাল পুলি পিঠা আমারও পছন্দের ভাইয়া। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 9 days ago 

পিঠাপুলি বাড়িতে বানানো হলে সবাই মিলে যে একসাথে বানায় সেটারই আনন্দ বেশি। আর প্রথম খেপ পিঠে গরম গরম রান্না করে বাকিগুলো গড়ে নেওয়ার আনন্দ আরোই আলাদা। এই দৃশ্য আমি ছোটবেলা থেকে আমাদের বাড়িতে দেখে এসেছি। আপনার ঝাল পিঠে পুলি রেসিপিটি অসাধারণ লাগলো। সাথে সবাই মিলে বানানোর আনন্দটাও উপভোগ করলাম।

 8 days ago 

এটা ঠিক বলেছেন আপু সবাই মিলে একসাথে বসে পিঠা বানানোর আনন্দই আলাদা। একদিকে পিঠা খাচ্ছিলাম অপরদিকে পিঠা বানাচ্ছিলাম। সত্যি এই মুহূর্তটা খুবই ভালো লাগার ছিল। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 10 days ago 

ডাল দিয়ে তৈরি করা পুলি পিঠাগুলো আমি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি। কারণ এই পিঠাগুলো একটু ঝাল ঝাল হয়ে থাকে তাই খেতে ভালো লাগে। এছাড়াও নারিকেল দিয়ে যেগুলো তৈরি করে সেগুলো ভালো লাগে তবে বেশি একটা খেতে পারি না। খুব সুন্দর হয়েছে তেলে ভাজা এই পুলি পিঠা।

 8 days ago 

মিষ্টি জাতীয় খাবার খুব বেশি খাওয়া যায় না। তবে ঝাল খাবার হলে অনেকগুলো খাওয়া যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 9 days ago 

পুলি পিঠা শীতকালের অন্যতম একটি পিঠা। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে ঝাল ঝাল ডাল পুলি পিঠা‌ রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা পিঠা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। পিঠা তৈরিতে প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।

 8 days ago 

সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

 9 days ago 

ডাল দিয়ে পুলি পিঠা রেসিপিটি দেখে বেশ ভালো লাগলো। ঝাল ঝাল যেকোন পিঠা খেতে অনেক সুস্বাদু। পুলি পিঠা নারকেল দিয়ে ও তৈরি করা যায় সেটাও খেতে ভালো লাগে। তবে ঝাল পিঠার অন্যরকম স্বাদ। আপনিও বাবু বেশ মজা করে পিঠা খেয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 8 days ago 

হ্যাঁ আপু পলি পিঠা নারকেল দিয়ে তৈরি করলেও খেতে বেশ ভালো লাগে।আর এভাবে ডাল দিয়ে ঝাল ঝাল করে পুলি পিঠা বানালেও খেতে ভালো লাগে।

 9 days ago 

আপু প্রথমে আপনার সুস্থতা কামনা করছি। ঝাল পিঠা খেতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে।ডাল পুলি পিঠা দারুন হয়েছে। আপনার মা এবং আপনার নানু মিলে দেখছি মজার পিঠা তৈরি করেছে। দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। আপু অনেক লোভনীয় লাগছে দেখতে।

 8 days ago 

এই পিঠা খেতে সত্যিই অনেক মজার আপু। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।